বুদ্ধিমান বিধুদা ঠিক ঠিক বুঝে যায় তাকে কে খুন করতে পারে আর কেন খুন করতে পারে । তাকে গুলি কে গুলি করেছিল । তাকে হাজির করা বিধুদার সামনে । বাধ্য হয়ে সব খুলে বলে বিধুদা কে । বিধুকে তাকে নিজের কাছে রেখে দেয় । মাসে মাসে মাসোয়ারা দিতে থাকে আর কয়েকদিন পরপর কন্ট্যাক্ত কিলিংয়ের কাজ চলে আসে ! এভাবে যখন ভাল চলছিলো সব কিছু তখন বিধুদা খুন হয়ে যায় !
সে এবার নিজেও থাকে ভয়ে । পরবর্তী নম্বর যে তার সেটাও সে জানে ! জান বাঁচাতে অবস্থা এমন হয় যে হয় মারো নয়তো মর এমন অবস্থা । নিজের অস্তিত্ব টিকে রাখতে করতে হবে খুন । নয়তো নিজেই খুন হয়ে যেতে হবে । সবাইকে খুন করার পরে যখন মনে হয়েছিলো এবার বুঝি শান্তি মিলল তখনই আবার আবিস্কার করলো যে মুক্তি তার নেই ।
নতুন প্রেম এসে হাজির হল । ভিন্ন দেশেও গিয়েও মুক্তি হল না । সেখানেও হাজির হল পুরানো জীবনের কৃতকর্ম । এবারও সেই একই অবস্থা হয় মারো নয়তো মর । শেষ পর্যন্ত অগোচরা আসলেই মুক্তি পাবে ! স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারবে?
এই গল্প নিয়েই হচ্ছে আমাদের অগোচরা !
বইটি যখন পড়া শুরু করি তখনই মনে হচ্ছিলো যে বইটা আমি আগেও পড়েছি যেন । পড়ে টের পেলাম আসলেই বইটা পড়া । তবে সম্পূর্ণ নয় । বইয়ের দুইটা অংশ । প্রথম অংশ টুকু পড়া আমার আগেই । পত্রিকাতে ছাপা হয়েছিলো । পরের অংশ টুকু পড়া হয় নি ।
বইটা এক বৈঠকে পড়ে ওঠার মত বই । হালকা মেজাজারের বই । এই বই পড়ার পরে মনে হবে যে সব কিছু যেন একটু বেশিই সিম্পল । সব কিছু বড় দ্রুত সহজ ভাবে শেষ হয়ে গেল যেন । নায়ক যখন যতবারে বিপদে পড়ে তাকে সেই বিপদ থেকে উদ্ধার করতে যেন সব কিছু ওভাবে কেউ বসিয়ে দেয় । যখন যা দরকার সেই জিনিস সেখানে এসে হাজির হয় ! সব সমাধান হয়ে যায় সহজে ।
হালকা মেজাজের বই হিসাবে ভাল ।
বইয়ের নাম অগোচরা
লেখক মোহাম্মাদ নাজিম উদ্দিন ।