পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ জাপান সিংকস

দেখবেন আমাদের জীবনে এমন সব মানুষ আসবে যাদের দুর থেকে দেখে অন্য রকম মনে হবে । কিন্তু যতই আপনি তাদের কাছ থেকে দেখতে শুরু করবেন, তাদের ভেতরটা জানতে শুরু করবেন ততই তাদের উপর থেকে আপনার মন উঠে যাবে । ওয়েল এমন কেবল মানুষই না, আরও অনেক কিছু আছে । যেমন বই । একটা বই হাতে নিয়ে কিংবা ফ্ল্যাপের লেখা পড়ে আপনার মনে হবে যে ভেতরের কাহিনীটা কতই না চমৎকার হবে । কিন্তু যতই আপনি বইটা পড়া শুরু করবেন ততই

আপনি বুঝতে পারবেন যে বড়ই বেহুদা একটা বই পড়ছেন ।  সাকিও কোমাৎসুর লেখা জাপান সিংকস বইটাও আসলে তেমনই । বইয়ের ফ্ল্যাপে লেখা অংশ টুকু পড়ে মনে হয়েছিল যে খুবই চমৎকার একটা বই হতে যাচ্ছে । বইয়ের কাহিনী হচ্ছে একটা দ্বীপ রাতারাতি পানিতে ডুবে যায় । এরপর একের পর এক ভূমিকম্প হয়ে একের পর এক দ্বীপ ডুবে যেতে থাকে । বিজ্ঞানী রিসার্চ টিম খোজ খবর করে বের করে যে আর কিছু দিনের ভেতরেই জাপান ডুবে যাবে সাগরে । এবং সত্যিই ডুবে যায় । এই হচ্ছে কাহিনী । 

এই রকম বইয়ের কাহিনী বইতে পড়তে খুব বেশি যুতসই মনে হয় না আমার কাছে । এগুলো মুভিতে দেখতে ভাল লাগে । ২০১২ মুভিটা অনেকে দেখেছেন । অথবা এমন হতে অনুবাদক আসলে যুতসই অনুবাদ করতে সক্ষম হয় নি । আমি বড় বিরক্ত হয়েই বইটা শেষ করেছি । একই শিরোনামে একটা এনিমেটেড টিভি সিরিজ দেখা যাচ্ছে নেটফ্লিক্সে । দেখা যাক সেটা কেমন হয় !