দ্য হ্যাম্পঃ প্লেস অব নো রিটার্ন

গতকালকের পড়া আরেকটা বইয়ের নাম হচ্ছে দ্য হ্যাম্পঃ প্লেস অব নো রিটার্ন

আহমেদ ফারুকের লেখা আমার ভালই লাগে । হালকা পালতা ভৌতিক কিংবা রহস্যের লেখক হিসাবে তার লেখা গুলো ভাল বেশ । মন ফুরফুরে থাকলে সময় ভাল কাটে !

এই বছরের তার নতুন বইয়ের নাম   দ্য হ্যাম্পঃ প্লেস অব নো রিটার্ন

গল্পে বলা হয়েছে যে হ্যাম্প স্থানটা মায়ানমার এবং চীন সীমান্তের এমন একটা গহীন বনে অবস্থিত সেখানে একবার যে যায় আর ফিরে আসে না । সিভেতা আর পাবলো দুই বন্ধু । সমু আঙ্কেল তাদেরকে একটা অভিযানে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করে । অভিযানটা পরিচালিত হবে খাগড়াছড়ির সীমান্ত ঘেষে । ভারত ও মায়ানমার সীমান্তের কাছে তারা যাবে । প্রায় ৩০ জনের একটা দল । সমু আঙ্কেল ন্যাশনাল
জিয়োগ্রাফি চ্যানেজের অন্য অনেক বন জঞ্জলে ঘুরে বেরিয়েছেন । এই বনেও একটা অদ্ভুদ পাখির খবর তিনি জানতে পেরেছেন । পাখিটা প্রায় ১২ ফুট লম্বা আর ৭ ফুট তার লেজ । এই পাখির উপর একটা ডকিউমেন্টারি সে বানাতে চায় ।
বনে ঘুরতে ঘুরতে দলটা একটা সময় পথ ভুল করে মায়ানমারের ভেতরে ঢুকে পড়ে । সেখানেই পাখিটা দেখতে পায় তারা ।  পাখিটার পেছন ছুটতে ছুটতে এক সময়ে তারা সেই হ্যাম্পের ভেতরে ঢুকে পড়ে ।

গল্পের কাহিনী আমার কাছে খুব একটা আহামরি কিছু মনে হয় নি । আগেই বলেছি হালকা ভৌতিক কিংবা রহস্যের লেখা হিসাবে তার লেখা ভাল তবে একটু গভীর ভাবে চিন্তা করতে লেগে আর ভাল লাগবে না । অতিরিক্ত সময় থাকলে বইটা পড়তে পারেন । তার লেখায় সাবলিল । পড়তে খুব একটা খারাপ লাগবে না । কাহিনীর ভেতরে খুব একটা প্যাঁচও নেই ।

এই হ্যাম্প হ্রদ নামে মায়ানমার চীন সীমান্তের কাছে আসলেই কোন স্থান আছে কি না আমার জানা নাই । গুগল করে জানলাম হ্যাম্প হ্রদ আছে তবে সেটা মিসিসিপিতে । তবে একটা ইন্টারেস্টিং ব্যাপার জানতে পারলাম এই বই পড়ে সেটা হচ্ছে নারীলতা নামের একটা গাছ । গাছটার ফল নাকি একেবারে হুবাহু মেয়েদের আকৃতির হয় !  একটা ইউটিউব লিংক দিয়ে দিলাম ।