সাদাত হোসাইনের লেখার যেদিকটা আমার সব থেকে বেশি অপছন্দ সেটা হচ্ছে তিনি অনেক বেশি লেখেন । সব কিছুরই খুব বিস্তারিত বর্ণনা দেন । মানবজনমের কাহিনী আমার ভাল লেগেছিল তবে সেই সাথে এটাও মনে হয়েছিলো বইটা যদি আরও ১০০/১৫০ পাতা কম হত তাহলে এর থেকে আরও উপন্যাস আর হত । তার পড়া প্রতিটি বই সম্পর্কেই আমার কেবল এই একই অভিযোগ ! একটা ঘটনা কাহিনী বর্ণনা করার ক্ষেত্রে এতো বিস্তারিত বর্ণনা করার আবশ্যকতা নেই । মাঝে মাঝে এই অতি বর্ণনা পাঠককে বিরক্ত করে তোলে !
যাই হোক তার নতুন উপন্যাস ছদ্মবেশ পড়ে শেষ করলাম । যদিও রহস্য আর থ্রিলার ধরনের উপন্যাস তবে পড়ার সময় সেই ফিলটা আসে নি । মানে, অন্যান্য থ্রিলার উপন্যাস পড়ার সময় যে অনুভূতি আসে সেটা ঠিক আসে নি তারপরেও বই পড়ে মজা পেয়েছি । এর সব থেকে বড় কারণ হচ্ছে এখানে লেখক তার চিরায়িত সেই অতি বর্ণনা দেন নি । প্রথম কয়েকটা পাতার দিকে একটু অতি বর্ণনা মত হয়েছে তবে পরে আর এই অনুভূতি হয় নি ।
গল্পের কাহিনী শুরু হয় লতিফুর রহমানের বাড়ি থেকে । তিনি সারা জীবনের সঞ্চয় দিয়ে একটা তিন তলা বাড়ি বানিয়েছেন বাড়ি । বাড়িতে তিনি তার স্ত্রী আর এক কাজের মেয়ে থাকে । গ্রাম থেকে এক ছেলেকেও নিয়ে এসেছেন সম্প্রতি ! বাড়ির কাজ এখনও কিছু বাকি আছে । ভাল ভাড়াটিয়া পেলে তার কাছ থেকে কিছু অগ্রিম নিয়ে বাকি কাজ টুকুস শেষ করার ইচ্ছে । এই জন্যই বাড়ি ভাড়ার টুলেট দেওয়া হয়েছে । একদিন ভাড়াটিয়াকে তিন তলার ফ্ল্যাট দেখানোর জন্য যখন দরজা খোলা হল তখন একটা তীব্র গন্ধ নাকে এসে লাগলো । বাথরুমের মাঝে গিয়ে দেখতেই দেখা গেল সেখানে একটা পঁচা গলা লাশ পড়ে আছে ! সাথে সাথেই দরজা বন্ধ করে দিয়ে তিনি বাইরে চলে এলেন !
তার বাড়ির সব দিক দিয়ে তালা মারা থাকে । যার চাবি থাকে তার । কোন ভাবেই সেই চাবি ছাড়া ঘরে প্রবেশ করা সম্ভব না । অর্থ্যাৎ তার অগোচরে কারো পক্ষে ঘরে প্রবেশ সম্ভব নয় । তাহলে এই লাশ কিভাবে এল এখানে ?
পলাশ বাড়িতে নতুন শহর গড়ে উঠছে । সেখানে একই রাজনৈতিক দলের দুই প্রতিপক্ষ চেষ্টা করছে সামনের বার দল থেকে নোমেনেশন পাওয়ার জন্য । লাশের পরিচয় পাওয়ার পর জানা গেল লাশটি এক পক্ষের নেতার ভাগনে । শুরু হয়ে গেল একে অন্যকে দোষারোপ করা । একজন বলল তার ক্ষতি করার জন্য প্রতিপক্ষ তার ভাগনে কে খুন করেছে অন্য পক্ষ্য বলল সে পাবলিক সিমপ্যাথি পাওয়ার জন্য নিজেই নিজের ভাগনে কে খুন করেছে । এস আই রেজা হককে সব দিক সামলাতে হচ্ছে । সে ঠান্ডা মাথায় ধীরে ধীরে রহস্য সমাধানের দিকে এগিয়ে যায় । এবং এক সময় সেটা সমাধান করে । লাশটা কিভাবে লতিফুর রহমানের বাসার ঐ বদ্ধ কামরাতে গিয়ে হাজির হল সেটা আবিস্কৃত হওয়ার সাথে সাথে আরও বেশ কিছু রহস্য জানা যায় । কেন লতিফুর রহমানের স্ত্রী অসুস্থ, তার ছেলে কেন তার সাথে কথা বলে না সে কেন দেশে আসে না । কেন তাদের বাড়িতে কোন কাজের মানুষ থাকতো না । পরে একজন কেন টিকে গেল ।
সব মিলিয়ে বইটা উপভোগ্য । বলবো না থ্রিলার উপন্যাস হিসাবে এটা একেবারে পার্ফেক্ট তবে পড়তে পড়তে যে বিরক্তি আসে নি বরং সামনে কি হবে সেটা সেটা জানার আগ্রহ রয়েই গেছে সেটাই বড় ব্যাপার ।
রহস্য বই পছন্দ করলে অবশ্যই পড়তে বলবো ।
বইয়ের নামঃ ছদ্মবেশ
লেখকঃ সাদাত হোসাইন
যাই হোক তার নতুন উপন্যাস ছদ্মবেশ পড়ে শেষ করলাম । যদিও রহস্য আর থ্রিলার ধরনের উপন্যাস তবে পড়ার সময় সেই ফিলটা আসে নি । মানে, অন্যান্য থ্রিলার উপন্যাস পড়ার সময় যে অনুভূতি আসে সেটা ঠিক আসে নি তারপরেও বই পড়ে মজা পেয়েছি । এর সব থেকে বড় কারণ হচ্ছে এখানে লেখক তার চিরায়িত সেই অতি বর্ণনা দেন নি । প্রথম কয়েকটা পাতার দিকে একটু অতি বর্ণনা মত হয়েছে তবে পরে আর এই অনুভূতি হয় নি ।
গল্পের কাহিনী শুরু হয় লতিফুর রহমানের বাড়ি থেকে । তিনি সারা জীবনের সঞ্চয় দিয়ে একটা তিন তলা বাড়ি বানিয়েছেন বাড়ি । বাড়িতে তিনি তার স্ত্রী আর এক কাজের মেয়ে থাকে । গ্রাম থেকে এক ছেলেকেও নিয়ে এসেছেন সম্প্রতি ! বাড়ির কাজ এখনও কিছু বাকি আছে । ভাল ভাড়াটিয়া পেলে তার কাছ থেকে কিছু অগ্রিম নিয়ে বাকি কাজ টুকুস শেষ করার ইচ্ছে । এই জন্যই বাড়ি ভাড়ার টুলেট দেওয়া হয়েছে । একদিন ভাড়াটিয়াকে তিন তলার ফ্ল্যাট দেখানোর জন্য যখন দরজা খোলা হল তখন একটা তীব্র গন্ধ নাকে এসে লাগলো । বাথরুমের মাঝে গিয়ে দেখতেই দেখা গেল সেখানে একটা পঁচা গলা লাশ পড়ে আছে ! সাথে সাথেই দরজা বন্ধ করে দিয়ে তিনি বাইরে চলে এলেন !
তার বাড়ির সব দিক দিয়ে তালা মারা থাকে । যার চাবি থাকে তার । কোন ভাবেই সেই চাবি ছাড়া ঘরে প্রবেশ করা সম্ভব না । অর্থ্যাৎ তার অগোচরে কারো পক্ষে ঘরে প্রবেশ সম্ভব নয় । তাহলে এই লাশ কিভাবে এল এখানে ?
পলাশ বাড়িতে নতুন শহর গড়ে উঠছে । সেখানে একই রাজনৈতিক দলের দুই প্রতিপক্ষ চেষ্টা করছে সামনের বার দল থেকে নোমেনেশন পাওয়ার জন্য । লাশের পরিচয় পাওয়ার পর জানা গেল লাশটি এক পক্ষের নেতার ভাগনে । শুরু হয়ে গেল একে অন্যকে দোষারোপ করা । একজন বলল তার ক্ষতি করার জন্য প্রতিপক্ষ তার ভাগনে কে খুন করেছে অন্য পক্ষ্য বলল সে পাবলিক সিমপ্যাথি পাওয়ার জন্য নিজেই নিজের ভাগনে কে খুন করেছে । এস আই রেজা হককে সব দিক সামলাতে হচ্ছে । সে ঠান্ডা মাথায় ধীরে ধীরে রহস্য সমাধানের দিকে এগিয়ে যায় । এবং এক সময় সেটা সমাধান করে । লাশটা কিভাবে লতিফুর রহমানের বাসার ঐ বদ্ধ কামরাতে গিয়ে হাজির হল সেটা আবিস্কৃত হওয়ার সাথে সাথে আরও বেশ কিছু রহস্য জানা যায় । কেন লতিফুর রহমানের স্ত্রী অসুস্থ, তার ছেলে কেন তার সাথে কথা বলে না সে কেন দেশে আসে না । কেন তাদের বাড়িতে কোন কাজের মানুষ থাকতো না । পরে একজন কেন টিকে গেল ।
সব মিলিয়ে বইটা উপভোগ্য । বলবো না থ্রিলার উপন্যাস হিসাবে এটা একেবারে পার্ফেক্ট তবে পড়তে পড়তে যে বিরক্তি আসে নি বরং সামনে কি হবে সেটা সেটা জানার আগ্রহ রয়েই গেছে সেটাই বড় ব্যাপার ।
রহস্য বই পছন্দ করলে অবশ্যই পড়তে বলবো ।
বইয়ের নামঃ ছদ্মবেশ
লেখকঃ সাদাত হোসাইন