বইয়ের নাম "তোমার তুলনা তুমি" ।
আমি বইটা পড়ার সময় যে আশা নিয়ে বসেছিলাম সেটা আসলে ঠিক পূরন হয় নি । বইয়ের কাহিনী যেমন হবে ভেবেছিলাম তার ধারে কাছেও যায় নি ।
আমি বইটা পড়ার সময় যে আশা নিয়ে বসেছিলাম সেটা আসলে ঠিক পূরন হয় নি । বইয়ের কাহিনী যেমন হবে ভেবেছিলাম তার ধারে কাছেও যায় নি ।
বইয়ের কাহিনী শুরু হয় রাজীব আর নীলুকে দিয়ে । রাজীব শহুরে জীবন থেকে নির্বাসন নিয়ে চলে আসে এক অজ পাড়াগায়ে ! স্কুল মাস্টারের চাকরি নিয়ে সবার কাছ থেকে দুরে থাকছে । তিন বছর ধরে সেখানেই আছে । লেখক অর্থ্যাৎ নীলু সেখানে বেড়াতে যায় । সেখানে তাদের দেখা হয় দেশের বিখ্যাত খেয়াল শিল্পী আলিম খাঁয়ের সাথে । আলিম খাঁ বলে, কিছু দিন পরেই সে কোলকাতায় যাবে গান শোনানোর জন্য । ওরা যেন সেখানে গিয়ে তার সাথে দেখা করে । রাজীব কোলতাকায় ফিরে আসে । সবাই খুশি । সেখানে গল্পের আরেক চরিত্র নন্দিতার সাথে পরিচয় হয় । নন্দিতা রাজীবের দূর সুম্পর্কের বোন । ওদের মাঝে একটা সুসম্পর্ক ছিল । নন্দিতার সাথে মন মালিন্য হওয়ার কারনেই রাজীব কোলকাতা ছেড়ে নির্বাসন নিয়েছে, এমনটা নীলুর মনে হয় ।
তারপর আলিম খাঁয়ের সাথে কোলকাতায় দেখা হয় । আলিম খাঁকে ঘিরেই কাহিনী এগোতে থাকে । একটা পর্যায়ে নীলু রাজীব আর নন্দিতার মাঝের দূরত্ব শেষ করতে এগিয়ে আসে । এক পর্যায়ে সফলও হয় । আলিম খাঁয়ের আসরে নন্দিতাও গিয়ে হাজির হয় ।
গল্পের শেষ পর্যায়ে আলিম খাঁ নন্দিতাকে ঘরে ভেতরে নিয়ে যায় । তার নারী আসক্তি আছে খানিকটা । ১১টা বিয়ে করেছে । নন্দিতাকে সে আপন করে পেতে চায়। রাজীব আলিম খাঁকে গুরু ভক্তি করে তাই সে কিছুই বলতে পারে না । নন্দিতা তখন আলিম খাঁকে কষে এক চড় মেরে বের হয়ে আসে ।
গল্পের একেবারে শেষ পর্যায়ে দেখা যায় যে আলিম খা গান ধরে । দরদ ভরা সেই কন্ঠ শুনে সবাই বিমহিত হয়ে যায় ! গল্প এখানেই শেষ । গল্প ভাল লাগে নি !
গল্পের শেষ পর্যায়ে আলিম খাঁ নন্দিতাকে ঘরে ভেতরে নিয়ে যায় । তার নারী আসক্তি আছে খানিকটা । ১১টা বিয়ে করেছে । নন্দিতাকে সে আপন করে পেতে চায়। রাজীব আলিম খাঁকে গুরু ভক্তি করে তাই সে কিছুই বলতে পারে না । নন্দিতা তখন আলিম খাঁকে কষে এক চড় মেরে বের হয়ে আসে ।
গল্পের একেবারে শেষ পর্যায়ে দেখা যায় যে আলিম খা গান ধরে । দরদ ভরা সেই কন্ঠ শুনে সবাই বিমহিত হয়ে যায় ! গল্প এখানেই শেষ । গল্প ভাল লাগে নি !
তার পরের বইটার নাম "কবি ও নর্তকী"
গল্পের নায়কের নাম অরিন্দম । সে একজন কবি ! আধুনিক কবিতা লেখে । কয়েকটা বই বের হয়েছে । তার অহ্ংকারের শেষ নেই । তবে সে প্রচুর মিথ্যা কথা বলে । তার বন্ধু লিখিলের ছোট বোনকে সে ভালবাসে ।
লিখিল তাকে এক সিনেমার পার্টিতে নিয়ে যায় । সেখানে অনেক বিখ্যাত মানুষ থাকে । অরিন্দম মদ খেয়ে একটু মাতাল হয়ে যায় । বিখ্যাত এক নায়িকা ডালিয়ার সাথে সে একটু বেয়াদবি করে ।
এরপরে অরিন্দমের সাথে সেই নায়িকার আবারও দেখা হয় । এক সুটিংয়ে ঝামেলার কারনে ডালিয়াকে অরিন্দমের মামার বাসায় আশ্রয় নিতে হয় । সেখানে ডালিয়া অরিন্দমের সাথে খুব ভাল ব্যবহার করে । তারপর তাকে বলে সে যেন স্টুডিও যায় । হ্যাংলার মত অরিন্দম সেখানে গিয়ে হাজির হয় । এক প্রকার অপমানিত হয়ে সেখানে থেকে অরিন্দমকে বের হয়ে আসতে হয় । এবং ডালিয়ার বডিগার্ড তাকে একটু মাইরও দেয় । অরিন্দম পরে টেলিফোন করে ডালিয়ার কাছে জানতে চায় যে কেন সে এমন কাজটা করলো? তার কথাতেই তার বডিগার্ড তাকে মাইর দিয়েছে । সেই যখন তাকে যেতে বলেছে তাহলে এই আচরন কেন ! ডালিয়া তখন তার কাছে খুব করে ক্ষমা চায় ।
এরপর ডালিয়ার সাথে অরিন্দমের ভাব হয়ে যায় । বারবার দেখা হয় । নানান স্থানে তাদের দেখা হয়, কথা হয় । ডালিয়া তারপর অরিন্দমকে নিয়ে কোলকাতার বাইরে নিয়ে যায় তিন দিনের জন্য । সেখানে তারা এক ঘরেই থাকে । এবং ডালিয়া নিজেকে সপে দিয়ে এগিয়ে আসছে তখন অরিন্দম নিজেকে সামলে নেয় । সে ঝুমাকে ভালবাসে । সেখান থেকে অরিন্দম আবার ফিরে আসে ।
গল্পের নায়কের নাম অরিন্দম । সে একজন কবি ! আধুনিক কবিতা লেখে । কয়েকটা বই বের হয়েছে । তার অহ্ংকারের শেষ নেই । তবে সে প্রচুর মিথ্যা কথা বলে । তার বন্ধু লিখিলের ছোট বোনকে সে ভালবাসে ।
লিখিল তাকে এক সিনেমার পার্টিতে নিয়ে যায় । সেখানে অনেক বিখ্যাত মানুষ থাকে । অরিন্দম মদ খেয়ে একটু মাতাল হয়ে যায় । বিখ্যাত এক নায়িকা ডালিয়ার সাথে সে একটু বেয়াদবি করে ।
এরপরে অরিন্দমের সাথে সেই নায়িকার আবারও দেখা হয় । এক সুটিংয়ে ঝামেলার কারনে ডালিয়াকে অরিন্দমের মামার বাসায় আশ্রয় নিতে হয় । সেখানে ডালিয়া অরিন্দমের সাথে খুব ভাল ব্যবহার করে । তারপর তাকে বলে সে যেন স্টুডিও যায় । হ্যাংলার মত অরিন্দম সেখানে গিয়ে হাজির হয় । এক প্রকার অপমানিত হয়ে সেখানে থেকে অরিন্দমকে বের হয়ে আসতে হয় । এবং ডালিয়ার বডিগার্ড তাকে একটু মাইরও দেয় । অরিন্দম পরে টেলিফোন করে ডালিয়ার কাছে জানতে চায় যে কেন সে এমন কাজটা করলো? তার কথাতেই তার বডিগার্ড তাকে মাইর দিয়েছে । সেই যখন তাকে যেতে বলেছে তাহলে এই আচরন কেন ! ডালিয়া তখন তার কাছে খুব করে ক্ষমা চায় ।
এরপর ডালিয়ার সাথে অরিন্দমের ভাব হয়ে যায় । বারবার দেখা হয় । নানান স্থানে তাদের দেখা হয়, কথা হয় । ডালিয়া তারপর অরিন্দমকে নিয়ে কোলকাতার বাইরে নিয়ে যায় তিন দিনের জন্য । সেখানে তারা এক ঘরেই থাকে । এবং ডালিয়া নিজেকে সপে দিয়ে এগিয়ে আসছে তখন অরিন্দম নিজেকে সামলে নেয় । সে ঝুমাকে ভালবাসে । সেখান থেকে অরিন্দম আবার ফিরে আসে ।
এই গল্পটা মোটামুটি ঠিক ভাল লেগেছে । তবে একটা বিরক্তির কারন হয়েছে অরিন্দমের চরিত্রটাকে যেন একটু বেশি বিরক্তিকর ভাবেই উপস্থাপন করেছে । মাঝে মাঝে তাই খানিকটা বিরক্তি চলে আসছিলো ।
"তোমার তুলনা তুমি"
"কবি ও নর্তকী
লেখকঃ সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
"কবি ও নর্তকী
লেখকঃ সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়