বর্তমান সময়ে সাহিত্য জগতের সব থেকে বড় ট্রাজেডি হচ্ছে ইমদাদুল হক মিলন কে হুমায়ুন আহমেদ সমসাময়িক লেখক হিসাবে ধরা হয় । সত্যি বলছি এর থেকে বড় পরিতাপের বিষয় আর হয় না ! যাই হোক একজন ইমদাদুল হকের একটা বই পড়তে বলল । এমনই একজন বলেছে যে তাকে না করার উপায় নেই । নয়তো এই হক সাহেবের বই আমি পড়ার লোক না ।
বইয়ের ঘটনার শুরু হয় রাতে কবির ফোনে এক মেয়ে ফোন করে বলে তাকে যেন একটু কল ব্যাক করা হয় কারন তার মোবাইলে ব্যালেন্স নেই । তার বড় বিপদ !
গল্পের প্রধান চরিত্রের নাম হচ্ছে "কবি" । কিন্তু সে কোন দিন এক লাইন কবিতা লেখে নি । বয়স ৩৪, ভাই ভাবির সাথে থাকে । টাকা পয়সার কোন অভাব নেই । এখনও বিয়ে করে নি । গল্পের নায়িকা অর্থ্যাৎ যে ফোন করতে বলেছিলো তার নাম অনন্যা ।
এই অনন্যা মেয়েটি থাকে এক রাজবাড়িতে । বাবা মারা গেছে । মায়ের সাথে একা থাকে সে । বড়লোক না হলেও তাদের আর্থিক ভাবে কোন সমস্যা নেই । এই মেয়েটির পেছনে এক মাস্তান লাগে । তাকে বিয়ে করতে চায় । তাকে ২ সপ্তাহ সময় দেয় । এর ভেতরে যদি অনন্যা রাজি না হয় তাহলে বাসার ভেতরে ঢুকে তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করবে । প্রতিদিন তার বাসার সামনে এসে বসে থাকে । নয় দশ দিন থেকে অনন্যা বাসা থেকে বের হতে পারছে না । শেষে সে সাহায্যের জন্য ফোন দিয়েছে কবি কে ! কবির নাম্বার সে পেয়েছে জাহান নামের এক মেয়ের কাছ থেকে যাকে কবি একদিন বাঁচিয়েছিলো ।
কবি তারপর তার বন্ধুর পরিচিত এক র্যাব অফিসারকে দিয়ে সেই মাস্তানকে ধরিয়ে দেয় । মেয়েটির উদ্ধার পায় ! এবং মেয়ে কবির প্রেমে পড়ে যায় !
এই হচ্ছে গল্পের কাহিনী ! এই গল্পটা পড়লে আপনি খানিকটা বুঝতে পারবেন যে একটা মানুষ কত রকম টেনে টুকে একটা ছোট গল্প গল্পকে লম্বা করতে থাকে । আমি প্রায়ই বলি যে গল্পের প্রয়োজনে লেখক সংলাপ নিয়ে আসে এখানে লেখক গল্প বড় করতে হবে, পৃষ্ঠা বাড়াতে হবে এই জন্য একের পর এক প্রয়োজনহীন সংলাপের অবতারনা করেছেন । জোর করে হাস্যরস দেওয়ার চেষ্টা করেছেন যেটা ধারে কাছ দিয়েও যায় নি । পুরোপুরি সময় নষ্ট করা ছাড়া আর কিছুই হয় নি ।
বইয়ের নামঃ কাঁদছো কেন, রাজকন্যা
লেখকঃ ইমদাদুল হক মিলন
অনন্যা প্রকাশ থেকে প্রকাশিত
খবরদার এই বই পড়বেন না ! 🙄