tag:blogger.com,1999:blog-85755085140217942332024-03-26T23:37:07.258-07:00অপুর বইপত্রবিভিন্ন বই, গল্প, উপন্যাস সম্পর্কিত ব্যক্তিগত মনভাব প্রকাশের ব্লগ অপু তানভীরhttp://www.blogger.com/profile/15173362423476261246noreply@blogger.comBlogger101125tag:blogger.com,1999:blog-8575508514021794233.post-81382878385283803832024-03-24T04:15:00.000-07:002024-03-24T04:17:25.718-07:00ব্ল্যাক আউট<p style="text-align: justify;"><span style="font-family: "Times New Roman", serif; font-size: 11pt; text-align: justify; white-space-collapse: preserve;">গল্পটা পড়ার সময় আমার কেবল মাত্র দ্য ওয়ার অব দ্য ওয়ার্ল্ড এর কথা মনে হচ্ছিল । কারণ গল্পের প্লট বলতে একেবারেই এক রকম। মধ্য আমেরিকার ছোট একটা শহরের নাম পিকামোর ওয়ে। এখানে বিজ্ঞান স্কুল শিক্ষক জন বসবাস করেন তার স্ত্রী ক্যাথির সাথে। নির্জিব আর উত্তেজনাহীন তবে সুখী জীবন পার করছেন । তার এক মেয়ে আছে যে কিনা শিক্ষা সফরে ইতালী গিয়েছে। </span></p><span id="docs-internal-guid-38ab6e1c-7fff-785f-3371-f1432e44d27f"><p dir="ltr" style="line-height: 1.2; margin-bottom: 12pt; margin-top: 12pt; text-align: justify;"><span style="font-family: "Times New Roman", serif; font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">জন প্রতিদিনের মতই সাধারণ দিন কাটিয়ে এক রাতে ঘুমিয়ে রাতের বেলা । রাতে ঘুম ভেঙ্গে গেল তার । ঘুম ভেঙ্গে সে দেখল বাইরে প্রচন্ড ছড় হচ্ছে । কিন্তু এই ঝড় ঠিক স্বাভাবিক না । অন্য রকম এক ঝড় । আর এই সময়ে ঝড় হওয়ার কোন কথাই না। জন তার স্ত্রীকে খুজতে থাকে কিন্তু অবাক হয়ে আবিস্কার করে যে তার স্ত্রী কোথাও নেই । সে তার স্ত্রীকে খুজে পাচ্ছে না । স্ত্রী ক্যাথিকে খুজতে সে ঝড়ের ভেতরে বাইরে বের হয় । এলাকার আরও কত গুলো মানুষের সাথে তার দেখা হয় । সবাই খানিকটা বিভ্রান্ত । কেউ জানে না কী হচ্ছে ! শহর থেকে একে মানুষ গায়েব হয়ে যাচ্ছে । আকাশে নীল রঙয়ের অদ্ভুত এক আলো দেখা যাচ্ছে । যেন কোন একটা স্পেশ শীপ । সেখান থেকে কিছু তার নেমে আসছে । সেই তার গুলো যারাই একবার স্পর্শ করছে তারা সেউ তারের সাথে একেবারে যাদের স্পর্শ লাগছে তারা আর কোন ভাবেই নিজেদের সেই তার থেকে আলাদা করতে পারছে না । সেই তার গুলো একেকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে উপরে । এভাবে শহরের অধিকাংশ মানুষকে তুলে যায় । কেউ জানে না কী হচ্ছে কেন হচ্ছে কারা এসব করছে ! তারা কেবল নিজেদের রক্ষা করতে তারা পালিয়ে বেড়াচ্ছে । এমন এক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে তারা বেঁচে থাকার লড়াইয়ে নেমেছে যাকে কোন ভাবেই তারা ঘায়েল করতে পারছে না । এক মাত্র উপায় সেই ভয়ংকর জীবের কাছে পালিয়ে বেড়ানো । কিন্তু আদৌও কি তারা পালিয়ে বাঁচতে পারবে? </span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.2; margin-bottom: 12pt; margin-top: 12pt; text-align: justify;"><span style="font-family: "Times New Roman", serif; font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">লেখক টিম কারেনের নাম আমি এর আগে শুনি নি । আমি মূলত বইটা কিনলাম লাভক্র্যাফটিয়ান হরর লেখা দেখেই বইটা কিনেছিলাম। যদিও বইটিতে আমি খুব একটা লাভক্র্যাফটিইয়ান স্বাদ পেলাম না । বইটা আমার কাছে একেবারে দ্য ওয়ার অব দ্য ওয়ার্ল্ডের মত মনে হয়েছে । এলিয়েন আমাদের পৃথিবীতে এসেছে । তারা আক্রমন করেছে । সব মানুষকে মেরে ফেলছে । তারা এতোটাই শক্তিশালী যে আমাদের পৃথিবীর মানুষ তাদের বিরুদ্ধে কিছুই করতে পারছে না । ব্ল্যাক আউট বইটাও ঠিক তাই । এমন কী শেষ টুকুও অনেকটাই সেই রকম ! </span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.2; margin-bottom: 12pt; margin-top: 12pt; text-align: justify;"><span style="font-family: "Times New Roman", serif; font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">বইটির অনুবাদ করেছেন লুৎফুল কায়সার । তার অনুবাদ বেশ ভাল । তবে বেশ কয়েক জায়গায় আমার মনে হয়েছে শব্দ গুলো আরও ভাল ভাবে লেখা যেত । এতো ভলগার শব্দ না ব্যবহার করলে অনুবাদটা মূলত আরও ভাল লাগত পড়ত ! </span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.2; margin-bottom: 12pt; margin-top: 12pt; text-align: justify;"></p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEggkVmhD8ExFFFMHp6rK4o4cofE1c1nho5_k36ulo0-AyU7XLQkRA2djBqxq55eXzH6KPFmeQWqc1ThYER_gIbQJ6uEYcyZgnhdxPmYUXuAEhJaZq4xIHFfgi6UNEihDQJDTwxwqDpqk1hl8PUDhjz6GMuEki1b9qmv1P6fgYVYzmR9KY6TeGr1ZhfnWAQH/s640/spaceship-4828098_640.jpg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="426" data-original-width="640" height="213" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEggkVmhD8ExFFFMHp6rK4o4cofE1c1nho5_k36ulo0-AyU7XLQkRA2djBqxq55eXzH6KPFmeQWqc1ThYER_gIbQJ6uEYcyZgnhdxPmYUXuAEhJaZq4xIHFfgi6UNEihDQJDTwxwqDpqk1hl8PUDhjz6GMuEki1b9qmv1P6fgYVYzmR9KY6TeGr1ZhfnWAQH/s320/spaceship-4828098_640.jpg" width="320" /></a></div><br /><span style="font-family: "Times New Roman", serif; font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><br /></span><p></p><div><span style="font-family: "Times New Roman", serif; font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">বইয়ের নামঃ ব্ল্যাক আউট</span></div><div><span style="font-family: "Times New Roman", serif; font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">লেখক টিম কারেন</span></div><div><span style="font-family: "Times New Roman", serif; font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">অনুবাদঃ লুৎফর কায়সার</span></div><div><span style="font-family: "Times New Roman", serif; font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">পৃষ্ঠা সংখ্য্যা ১১২</span></div><div><span style="font-family: "Times New Roman", serif; font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">মুদ্রিত মূল্য ২২৫ টাকা</span></div><div><span style="font-family: "Times New Roman", serif; font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">আফসার ব্রাদার্স </span></div></span>অপু তানভীরhttp://www.blogger.com/profile/15173362423476261246noreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-8575508514021794233.post-8713707276833801472024-03-19T08:29:00.000-07:002024-03-19T08:29:19.849-07:00মরিসাকি বইঘরের দিনগুলো<p> <span style="font-family: "Times New Roman", serif; font-size: 11pt; text-align: justify; white-space-collapse: preserve;">তাকাকোর জীবনটা হঠাৎ করেই অন্ধকার হয়ে যায় । তার ভালবাসার মানুষ হিদেয়াকি যখন খুব স্বাভাবিক ভাবেই বলে যে সে অন্য একটি মেয়েকে বিয়ে করতে যাচ্ছে । অথচ তাকাকোর সাথেই হিদেয়াকির প্রেম চলছিল । হিদেয়ারি একই সাথে দুইজনের সাথে প্রেম করছিল । এই ব্যাপারটাই তাকাকো মেনে নিতে পারে না । কিন্তু প্রতারণার প্রতিবাদও করতে পারে না । নিরবে দূরে সরে আসে । একই অফিসে চাকরি করতো তারা । তাই চাকরি ছেড়ে দেয় তাকাকো । নিজের ভাড়া করা ফ্লাটে দিনরাত শুয়ে বসে দিন কাটাতে থাকে । কিন্তু তাকাকো খুব ভাল করেই জানে যে এভাবে সে খুব বেশি দিন পার করতে পারবে না । যখন তার জমানো টাকা শেষ হয়ে যাএ তখন তাকে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়ে তার হোম টাউনে ফিরে যেতে হবে।</span></p><span id="docs-internal-guid-f68b2a3f-7fff-a932-ad6e-8ef7ce770077"><p dir="ltr" style="line-height: 1.2; margin-bottom: 15pt; margin-top: 15pt; text-align: justify;"><span style="font-family: "Times New Roman", serif; font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">তাই বাধ্য হয়েই সে তার মায়ের পরামর্শ মত তার মামা সাতোরুর কাছে কিছু থাকতে গেল । তার মামার জিম্বোচোতে একটা বইয়ের দোকান রয়েছে । তিন পুরুষ ধরে তাদের এই বই বিক্রির ব্যবসা । মামা কোমরে ব্যাথার কারণে সকালে তাকে যেতে হয় । সেই সময়ে তাকাকোর দায়িত্ব থাকবে বইয়ের দোকানটা খোলা আর কাস্টমার সামলানো। তাকাকো হাজির হল মরিসাকি বইয়ের দোকানে। তার থাকার জায়গা হল বইয়ের দোকানের উপরের একটা ঘরে । সেখানেও বইয়ের রাজ্য । প্রথম কিছু দিন কেটে গেল কোন রকম পরিবর্তন ছাড়াই । তারপর একদিন তাকাকো খানিকটা কৌতূহল থেকেই একটা বই তুলে নিল হাতে । তারপর সে যেন প্রবেশ করলো নতুন এক জগতে । বই যে মানুষের জীবন যে কিভাবে বদলে দেয় সেটাই বইয়ের এই অংশে দেখা যায়। একেবারে নতুন একজন মানুষে পরিণত হয় । সেই বইয়ের দোকানের আশে পাশের মানুষ জনের সাথে পরিচয় হয় তাকাকোর । নতুন একটা জীবনে গিয়ে হাজির হয় ।</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.2; margin-bottom: 15pt; margin-top: 15pt; text-align: justify;"><span style="font-family: "Times New Roman", serif; font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">তারপর একদিন তাকাকো বইয়ের দোকানটা ছেড়ে আবারও টোকিওতে গিয়ে হাজির । মূলত এই বইয়ের দোকানে সে এসেছিল নিজের জীবনে যে অন্ধকার অবস্থার ভেতরে পরেছিল সেই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে। সেটা সে সফল ভাবেই পার করে ফেলে ।</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.2; margin-bottom: 15pt; margin-top: 15pt; text-align: justify;"><span style="font-family: "Times New Roman", serif; font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">টোকিও ফেরত যাত এবং নতুন ভাবে কাজ শুরু করে। গল্পের প্রথম অংশের শেষ এখানে। তাকাকো তার যে মামার কাছে গিয়ে উঠেছিল সেই মামা এক সময়ে উড়নচণ্ডি টাইপের মানুষ ছিল । তারপর তারপর তার একটা মেয়ের সাথে পরিচয় বিয়ে হয় । দুজন মিলে বইয়ের দোকানটা সামলাতে থাকে । তারপর তাকাকোর মামাকে ছেড়ে তার মামী চলে যায় । সেই সময়ে মামা অনেক বেশি ভেঙ্গে পড়েছিল। তাকাকো নিজের জীবনে ফিরে যাওয়ার পরে একদিন তার মামা ফোন করে জানায় যে তার স্ত্রী ফিরে এসেছে । যেমন করে একদিন কিছু না বলে চলে এসেছে ঠিক একই ভাবে ফিরে এসেছে । তার মামা তাকে দায়িত্ব দেয় যে তার মামী আসলে কী চায় সেটা জানার জন্য ! তাকাকো মামীর সাথে ভাব জমায় । তারা এক সময়ে এক সাথে বেড়াতে চায় পাহাড়ে । সেই সময়ে মামী তাকে জানায় যে কেন সে ছেড়ে চলে গিয়েছিল আর কেন ফিরে এসেছে । </span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.2; margin-bottom: 15pt; margin-top: 15pt; text-align: justify;"><span style="font-family: "Times New Roman", serif; font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">বইটা পড়ার পরে আমার মনে অদ্ভুত একটা অনুভূতি এসে ভর করেছিল । তাকাকো তার মামা আর মামীর জন্য । কিছুটা আনন্দ আর কিছু বলব না বইটা নিয়ে । বইটির পেছনে লেখা ছিল মরিসারি বইয়ের দিনগুলো কেবল একটি বইয়ের দোকানের গল্প না। বইয়ের দোকানের পেছনের মানুষের গল্প । সত্যিই তাই । মানুষের জীবনের গল্প আমাদের হাসায় আবার কাঁদায় ! মনকে করে উদ্বেলিত !</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.2; margin-bottom: 15pt; margin-top: 15pt; text-align: justify;"><span style="font-family: "Times New Roman", serif; font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">সা</span><span style="font-family: "Times New Roman", serif; font-size: 11pt; white-space-collapse: preserve;">লমান হকের অনুবাদ মোটামুটি ভালই । পড়তে বিরক্তি আসে নি । </span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.2; margin-bottom: 15pt; margin-top: 15pt; text-align: justify;"></p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhim2QYoEsNl7Zs7uF-2Jdy36rvhAMGMgcu5L5NgT5AzPoYK48hMK1Fm0IwZCrsUPUhn_ECCji2qv3LDq7SaZGjnjDibXXbHuLnQ6LQ0CoItUaLNzT4IFPlhudAGR8-HTxhHS26pPv32G8HQ5KQRxY6amGAKCT4rdLAS6jl51qrCPbAkjZMOhytKLs8r9Am/s640/%E0%A6%AE%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BF%20%E0%A6%AC%E0%A6%87%E0%A6%98%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0%20%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A7%8B.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="427" data-original-width="640" height="214" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhim2QYoEsNl7Zs7uF-2Jdy36rvhAMGMgcu5L5NgT5AzPoYK48hMK1Fm0IwZCrsUPUhn_ECCji2qv3LDq7SaZGjnjDibXXbHuLnQ6LQ0CoItUaLNzT4IFPlhudAGR8-HTxhHS26pPv32G8HQ5KQRxY6amGAKCT4rdLAS6jl51qrCPbAkjZMOhytKLs8r9Am/s320/%E0%A6%AE%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BF%20%E0%A6%AC%E0%A6%87%E0%A6%98%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0%20%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A7%8B.jpg" width="320" /></a></div><br /><span style="font-family: "Times New Roman", serif; font-size: 11pt; white-space-collapse: preserve;"><br /></span><p></p><div><span style="font-family: "Times New Roman", serif; font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><br /></span></div></span>অপু তানভীরhttp://www.blogger.com/profile/15173362423476261246noreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-8575508514021794233.post-24685863264072172782024-03-19T08:17:00.000-07:002024-03-19T08:17:44.949-07:00লাশ কাটার ঘরে<p><span style="font-family: "Times New Roman", serif; font-size: 11pt; text-align: justify; white-space-collapse: preserve;">দীপন একটি সরকারি হাসপাতালে ডোমের কাজ করে। তার প্রধান কাজই হচ্ছে মর্গে লাশের কাটাছেড়া করা এবং তার বিপরীতে রিপোর্ট তৈরি করা । সে কাজ কর্মে খুবই দক্ষ । কিন্তু একদিন এই সব কিছু ছন্দ পতন ঘটে । দীপ্ন আর নিজের কাজ ঠিক মত কাজ করতে পারে না। মর্গের লাশের সাথে দীপন ভয়ংকর আর নোংরা কাজ শুরু করে। মানসিক ভাবে ভারসাম্য হারিয়ে ফেলতে শুরু করে সে। বাধ্য হয়েই মনরোগ বিশেষজ্ঞ ডা নাবিলার কাছে গিয়ে হাজির হয় সে। চিকিৎসা শুরুর আগে নাবিলা পুরোপুরি ভাবে দীপনের রোগটা বুঝতে চেষ্টা করেন। কিন্তু নাবিলার কাছে মনে হয় যীন দীপন তাকে সব সত্যি কথা বলছে না । ফলে সে নিজেই দীপনের অতীত সম্পর্কে খোজ খবর শুরু করেন। এবং দীপনের অতীত সম্পর্কে ভয়ংকর সত্য জানতে শুরু করেন । দীপন নিজের সম্পর্কে যা বলেছিল তার প্রায় সব টুকুই মিথ্যা অন্য দিকে অতীতে সে এক ভয়ংকর অপরাধ করে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল । সেই ভয়ংকর অপরাধের থেকে তার নতুন জীবনের শুরু । নিজেকে একেবারে বদলে ফেলা এবং নতুন ভাবে বেঁচে থাকার চেষ্টা । যদিও পরে সেই সত্তার উদ্ভব ঘটে আবার । এরই ভেতরে থানা থেকে দীপনকে ধরার জন্য নোটিশ জারি হয় । কারণ যে কয়েকটা মেয়েকে রেপ করে হত্যা করা হয়েছে তাদের গোপনাঙ্গে দীপনের সিমেন পাওয়া গেছে । দীপনই কি তাহলে সেই মেয়ে গুলোকে ধর্ষন করে হত্যা করেছে? </span></p><span id="docs-internal-guid-a53f45f2-7fff-a9b1-7a75-a8a533fed5cc"><p dir="ltr" style="line-height: 1.2; margin-bottom: 12pt; margin-top: 12pt; text-align: justify;"><span style="font-family: "Times New Roman", serif; font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">কিন্তু নাবিলা এখনও বিশ্বাস করে যে দীপন নির্দোষ । বরং সে ভয়ংকর এক মানসিক রোগের শিকার। গ্রেফতার নয় তার আগে দরকার চিকিৎসার । সেটা করার জন্য আগে নাবিলাকে জানতে হবে দীপন আসলে কে? কী তার আসল পরিচয় ? সে কিভাবে আজকের এই অবস্থানে এল এটা নাবিলাকে খুজে বের করতে হবে!</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.2; margin-bottom: 12pt; margin-top: 12pt; text-align: justify;"><span style="font-family: "Times New Roman", serif; font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">থ্রিলার ঘরোয়ানার একটা বই । সেই একই সাথে এতে রয়েছে কিছুটা ভৌতিক স্বাদ । আমার সব সময় এই টাইপের বই পড়তে বেশি পছন্দ । তবে এই বইতে একটা ব্যাপার আমার কাছে একটু অদ্ভুত মনে হয়েছে সেটা হচ্ছে মাত্র মেট্রিক পাশ একটা ছেলের পক্ষে আসলেই এতো স্মার্ট আচরণ করা সম্ভব কিনা । লেখা এখানে আরও দুই তিন ক্লাস উপরে পড়ালে কিংবা এমন কিছু দেখালে যেখানে দীপন নিজেই সেলফ এডুকেশন নিয়েছে, প্রচুর বই পড়ার অভ্যাস সেই ক্ষেত্রে ব্যাপারটা মানান সই হত বেশি। এছাড়া খুনের কেস কখন আপনা আপনি চলে যায় না । ফাদারের খুনের ব্যাপারটা যেমন ভাবে দেখা গুনো হয়েছে সেটা আমার কাছে সঠিক মনে হয় নি । এছাড়া এই বইতে বেশ কিছু সাইকোলজি/মেডিক্যাল টার্ম রয়েছে । ব্যাপার গুলো আমার জানা ছিল না । কয়েকটা নিয়ে আমি নিজেই পড়াশোনা করলাম । লেখক সেই ব্যাপার গুলো বেশ সহজ ভাষায় প্রকাশ করেছেন । এটাও এক ঐঠকে পড়ে ফেলার মত বই। </span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.2; margin-bottom: 12pt; margin-top: 12pt; text-align: justify;"></p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjS0WYZBEz6BPbRmZJWmtQy2IVU0WOoDlBcmeZXhbC6aewHFtczbT84rTLt9kw2_MHdNKMinx4G2OMzb9w0ndsE6aI49RY9cYxXuqIB0l3DTQOIO4xAdZ3wF0hw5YE7sh1zMd0hT7KUVdjnSNH8MFosH9reeLcNp0hTNg8cgPmRngmT7LgKnpGtC4www1r0/s640/%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B6%20%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0%20%E0%A6%98%E0%A6%B0%E0%A7%87.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="640" data-original-width="640" height="320" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjS0WYZBEz6BPbRmZJWmtQy2IVU0WOoDlBcmeZXhbC6aewHFtczbT84rTLt9kw2_MHdNKMinx4G2OMzb9w0ndsE6aI49RY9cYxXuqIB0l3DTQOIO4xAdZ3wF0hw5YE7sh1zMd0hT7KUVdjnSNH8MFosH9reeLcNp0hTNg8cgPmRngmT7LgKnpGtC4www1r0/s320/%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B6%20%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0%20%E0%A6%98%E0%A6%B0%E0%A7%87.jpg" width="320" /></a></div><br /><span style="font-family: "Times New Roman", serif; font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">বইয়ের নাম লাশ কাটার ঘরে</span><p></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.2; margin-bottom: 12pt; margin-top: 12pt; text-align: justify;"><span style="font-family: "Times New Roman", serif; font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">লেখক মহিউদ্দিন মোহাম্মাদ যুনাইদ</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.2; margin-bottom: 12pt; margin-top: 12pt; text-align: justify;"><span style="font-family: "Times New Roman", serif; font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">মোট পৃষ্ঠা ১২৮</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.2; margin-bottom: 12pt; margin-top: 12pt; text-align: justify;"><span style="font-family: "Times New Roman", serif; font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">মুদ্রিত মূল্য ৩৪০টাকা</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.2; margin-bottom: 12pt; margin-top: 12pt; text-align: justify;"><span style="font-family: "Times New Roman", serif; font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">বাংলার প্রকাশন থেকে প্রকাশিত</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.2; margin-bottom: 12pt; margin-top: 12pt; text-align: justify;"><span style="font-family: "Times New Roman", serif; font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><br /></span></p><div><span style="font-family: "Times New Roman", serif; font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><br /></span></div></span>অপু তানভীরhttp://www.blogger.com/profile/15173362423476261246noreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-8575508514021794233.post-71939477202472135482024-03-19T07:51:00.000-07:002024-03-19T07:51:15.463-07:00কে জানে কী মন্দ ভাল<p><span style="font-family: "Times New Roman", serif; font-size: 11pt; text-align: justify; white-space-collapse: preserve;">বইয়ের নাম ‘কে জানে কী মন্দ ভাল’। বইটির লেখক রুবাইয়াত কাইমুম চৌধুরী। বইটির কাহিনী শুরু একজন পুলিশ অফিসারের মেয়েকে কিডন্যাপের করা দিয়ে। পুলিশ অফিসার রাশেদ যখন একটা এনকাউন্টার শেষ করে বাসায় ফিরে আসে তখন দেখে তার মেয়ে তার ঘরে নেই । তাই বউ গেছে এক বন্ধুর বাসায় দাওয়াত খেতে । পুরো বাসায় মেয়ে ছিল একা । এই ফাঁকে একজন এসে মেয়েকে তুলে নিয়ে গেছে। <span></span></span></p><a name='more'></a><p></p><span id="docs-internal-guid-696c96c0-7fff-dd29-696d-61ca3303b4c2"><p dir="ltr" style="line-height: 1.2; margin-bottom: 12pt; margin-top: 12pt; text-align: justify;"><span style="font-family: "Times New Roman", serif; font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">রাশেদকে নিজের মেয়েকে পাগলের মত খুজতে শুরু করে। কিন্তু কিডন্যাপারের টিকিটাও খুজে পায় না । এদিকে কিডন্যাপার রবিনের রয়েছে আরামে । ঢাকা শহরের একজন প্রভাবশালী পুলিশ অফিসারের মেয়েকে সে তুলে নিয়ে এসেছে । সব কিছু সে পরিকল্পনা করেছে দুই বছরের বেশি সময় ধরেই সে রাশেদের উপর নজর রাখছে। কোন কাজটা কিভাবে করতে হবে সব কিছু পরিকল্পনা করেছে। তারপর তার মেয়েকে তুলে নিয়ে এসেছে।</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.2; margin-bottom: 12pt; margin-top: 12pt; text-align: justify;"><span style="font-family: "Times New Roman", serif; font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">কিডন্যাপার রবিন রাশেদের কাছে কোন মুক্তিপন চায় না । মেয়েকে ফিরিয়ে দেওয়ার বদলে রাশেদ বেশ কিছ কাজ করতে হবে । আরও ভাল করে বললে বেশ কয়েকজন কে খুন করতে হবে । সেই তালিকাতে রয়েছে তারই ডিপার্টমেন্টেরই বস । যদি সে খুন না করে কিংবা কাজে ব্যর্থ হয় তাহলে তার মেয়ের লাশ পাবে ।</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.2; margin-bottom: 12pt; margin-top: 12pt; text-align: justify;"><span style="font-family: "Times New Roman", serif; font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">দীর্ঘ ১৮ বছরের জীবনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে রাশে আস্তে আস্তে কিডন্যাপারের দাবী পুরণ করতে থাকে । এদিকে খুনের তদন্তে নামে তারই সহকারী যাকে সে নিজের হাতেই কাজ শিখিয়েছে। গল্পটা ঠিক দুই পক্ষ নয় বরং তিন পক্ষ নিয়ে এগিয়ে চলে । শেষ পর্যন্ত আসলে কে জেতে? রাশেদ কি কিডন্যাপারের সব দাবী পূরণ করে নিজের মেয়েকে রক্ষা করতে পারে? নাকি তার আগেই পুলিশের হাতে ধরা পরে যায় আর অন্য দিকে রবিন আসলে কেন ঐ লোকগুলোকে খুন করতে চায় ? এর ভেতরে আসল কারণ কী?</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.2; margin-bottom: 12pt; margin-top: 12pt; text-align: justify;"><span style="font-family: "Times New Roman", serif; font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">থ্রিলার বই হিসাবে বইটা বেশ ভাল বলা যায়। থ্রিলার বইয়ের অন্যতম একটা ভাল বৈশিষ্ট্য হচ্ছে গতি। এই বইটা সেই হিসাবে চমৎকার । আমি এক বসাতেই বই পড়ে শেষ করে ফেলেছি । পড়তে গিয়ে কোথাও বিরক্তি আসে নি। তবে বই পড়তে গিয়ে মনে হয়েছে লেখক বইয়ের ঘটনা গুলো যেন খুব বেশি সরল করে ফেলেছেন । গল্পের মূল চরিত্র সব পারে, কোন কিছুই তার অসাধ্য নয় এমন। পড়ার সময়ে আমার মনে হয়ে যে আসলেই কী এতো সহজে ব্যাপারটা হয় । পুলিশের হেডকোয়ার্টারে একজন বোম নিয়ে চলে যাবে এবং সেই বোমা ফাঁটিয়ে বড় অফিসারকে মেরে ফেলবে ! এটা কী এতোই ছেলে খেলা ! একজন পুলিশ অফিসারের বাসায় এতো সহজে কেউ ঢুকতে পারে । আবার যেখানে তার মেয়ে কিডন্যাপ হয়েছে কিডন্যাপার কিভাবে সেই আসায় ঢুকে পড়ল এতো সহজে ! এতো সহজেই ড্রাগ অপারেশন সম্পন্ন হয়ে যায় ! এছাড়া আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে পুরো বইটা নাম পুরুষে লেখা হলেও দুই তিন জায়গায় লেখক উত্তম পুরুষে বর্ণনা দিয়ে ফেলেছেন । এটা ব্যাপারটা আমার খুবই দৃষ্টি কটু লেগেছে । পরের সংস্করণে এটা অবশ্যই ঠিক করে নেওয়ার পরামর্শ রইল। </span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.2; margin-bottom: 12pt; margin-top: 12pt; text-align: justify;"><span style="font-family: "Times New Roman", serif; font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">সব মিলিয়ে টাইম পাস মূলক বই । হালকা মেজাজে বইটা পড়ে শেষ করে ফেলতে পারবেন । </span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.2; margin-bottom: 12pt; margin-top: 12pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Times New Roman, serif;"><span style="font-size: 14.6667px; white-space-collapse: preserve;"><br /></span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.2; margin-bottom: 12pt; margin-top: 12pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Times New Roman, serif;"><span style="font-size: 14.6667px; white-space-collapse: preserve;"></span></span></p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><span style="font-family: Times New Roman, serif;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhlqRR1y0mS9C7_4e9tDBDhK8B50kyOvE_yWd2niMv3Ww7WP8BMOcuSUTr0qAzgB4xVtRtpCGVgkISTbiODPPCbeqV_RcMU8vxVOax4KzJcpdmkX4fghoA06RMSzZySE3pRTDWVD-E5_6io8AvLO2Z1wEAyjvc6v71i33xsN6HuedtxJ67DUS0GS0pEwkZM/s640/soldier-1447008_640.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="427" data-original-width="640" height="214" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhlqRR1y0mS9C7_4e9tDBDhK8B50kyOvE_yWd2niMv3Ww7WP8BMOcuSUTr0qAzgB4xVtRtpCGVgkISTbiODPPCbeqV_RcMU8vxVOax4KzJcpdmkX4fghoA06RMSzZySE3pRTDWVD-E5_6io8AvLO2Z1wEAyjvc6v71i33xsN6HuedtxJ67DUS0GS0pEwkZM/s320/soldier-1447008_640.jpg" width="320" /></a></span></div><span style="font-family: Times New Roman, serif;"><br /><div style="text-align: center;">বইয়ের নাম</div></span></span><p></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.2; margin-bottom: 12pt; margin-top: 12pt; text-align: center;"><span style="font-family: Times New Roman, serif;"><span style="font-size: 14.6667px; white-space-collapse: preserve;">কে জানে কী মন্দ ভাল </span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.2; margin-bottom: 12pt; margin-top: 12pt; text-align: center;"><span style="font-family: Times New Roman, serif;"><span style="font-size: 14.6667px; white-space-collapse: preserve;">লেখক- রুবাইয়াত মাইমুম চৌধুরী</span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.2; margin-bottom: 12pt; margin-top: 12pt; text-align: center;"><span style="font-family: Times New Roman, serif;"><span style="font-size: 14.6667px; white-space-collapse: preserve;">থ্রিলার </span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.2; margin-bottom: 12pt; margin-top: 12pt; text-align: center;"><span style="font-family: Times New Roman, serif;"><span style="font-size: 14.6667px; white-space-collapse: preserve;">মোট পাতা সংখ্যা ১১১</span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.2; margin-bottom: 12pt; margin-top: 12pt; text-align: center;"><span style="font-family: Times New Roman, serif;"><span style="font-size: 14.6667px; white-space-collapse: preserve;">স্ব অ থেকে প্রকাশিত</span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.2; margin-bottom: 12pt; margin-top: 12pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Times New Roman, serif;"><span style="font-size: 14.6667px; white-space-collapse: preserve;"><br /></span></span></p><div><span style="font-family: "Times New Roman", serif; font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><br /></span></div>অপু তানভীরhttp://www.blogger.com/profile/15173362423476261246noreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-8575508514021794233.post-4074697010590439252023-09-11T21:30:00.001-07:002023-09-11T21:30:26.256-07:00জাদুঘর পাতা আছে এই এখানে<p> বর্তমান সময়ে যে কয়জন লেখক খুব ভাল করছে তাদের ভেতরে কিশোর পাশা ইমন অন্যতম । এতো কম বয়সে এতো চমৎকার লেখার হাত সবার ভেতরে থাকে না । তবে লেখায় এখনও তার পরিরপূর্ণ পরিপক্কতা আসে নি । তবে সেটা কোন সমস্যা না । সময়ের সাথে সেটাও চলে আসবে । এই বয়সেও তার লেখা অন্য যে কোন লেখক থেকে অনেক এগিয়ে । আপনারা যারা তার লেখা আগে পড়েছেন সেটা ভাল করেই জানেন । এরই ভেতরে তার অনেক বই পাঠক প্রিয়তা পেয়েছে । এমনই একটা বইয়ের নাম ''জাদুঘর পাতা আছে এই এখানে''। </p><p><br /></p><p>বাংলাদেশের দুর্নীতি অরাজকতা সমাধানের ক্ষেত্রে অনেক মানুষ অনেক রকম ভাবেই মত দেন । কারো মতে দেশে সঠিক গনতন্ত্র আনতে পারলেই বুঝি সব সমাধান হয়ে যাবে । কেউ ভাবে আর্মির হাতে ক্ষমতা দিয়ে সব ঠিক আবার কেউ মনে করে যে ইসলামী শরিয়া শাসন হলেও সব ঠিক হয়ে যাবে । তবে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া দুই ছাত্র মনে করে যে আসলে এই দেশের সব জায়গায় দুর্নীতি এমন ভাবে জেঁকে বসেছে, সব কিছু এমন ভাবে ঘুণে খেয়ে ফেলেছে যে এই সিস্টেমকে আর কোন ভাবেই ঠিক করা সম্ভব না । এখন এটাকে সম্পূর্ন ধ্বংশ করে ফেলা ছাড়া আর কোন উপায় নেই । সব ভেঙ্গে ফেলে একেবারে নতুন করে শুরু করতে হবে । এই লক্ষ্যেই তারা দুজন মিলে গড়ে তোলা জাদুঘর নামে এক জঙ্গী গোষ্ঠী । বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের দুজনের সাথে পরিচয় হয় এক মারামারির মাঝে । তারপর দুজন একে অন্যের বন্ধু হয়ে ওঠে । দুজন মিলে ডিম ওয়েভে গড়ে তোলে এক ওয়েবসাইট । অনেকটা সোস্যাল ক্লাবের মত । বিভিন্ন নির্দেশনা দেয় এই ক্লাবের মেম্বারদের । তারা সেটা শেষ করে । </p><p><br /></p><p>কাজ শুরু করে নিজেদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে । ছাত্র নেতার উপর হামলা আসে । সেখান থেকেই জাদুঘরের আত্মপ্রকাশ । এরপর একের পর এক কাজ করতে থাকে । দেশ জুড়ে জাদুঘরকে নিয়ে তৈরি হয় মিশ্র প্রতিক্রিয়া । কেউ ভাবে জাদুঘর যা করছে তা স্রেফ সন্ত্রাসী কার্যক্রম অন্য দিকে অনেকে ভাবছে এটা বিপ্লব । এভাবেই দেশে পরিবর্তন আনতে হবে । প্রেমিকা তমালিকা প্রথমে এই জাদুঘরের ব্যাপারে পজেটিভ মনভাব থাকলেও যখন গাজীপুরের এক রিসোর্টে তারই সামনে ধ্বংশ লিলা আর রক্তের বন্যা বইয়ে দেয় তখন সে সরে যায় । তারপর এক সময়ে কর্তৃপক্ষ জেনেই যায় আসলে জাদুঘরের পেছনে কে রয়েছে । </p><p><br /></p><p>বইতে গল্প এগিয়ে চলে দুই সময়ে । এক সময়ে বর্তমান কালের ঘটনা । এই ঘটনাতে দেখা যায় স্মৃতি হারিয়ে এক কন্ট্রাক্ট খুনী গিয়ে হাজির হয় বান্দারবানের গহীনে । সেখানে থাকতে শুরু করে এক আদিবাসী পরিবারের সাথে । তবে তার চোখ পড়ে মাইকেলের সাথে । বিশেষ করে মাইকেলের স্ত্রীর দিকে তার বিশেষ নজর যায় । সে কেন বান্দারবান গিয়েছে কী কারে গিয়েছে এসব তার কিছুই মনে পড়ে না । কেবল মনে পড়ে যে বিপুল পরিমানের টাকা এবং পিস্তল রয়েছে তার কাছে । কোন ভয়ংকর কাজ সে করেছে । সেই কাজ করে পালিয়ে সে বান্দারবন রয়েছে । </p><p><br /></p><p>অন্য দিকে অন্য একটা ধারায় আগে কী হয়েছে দুই ছাত্র কেন এবং কিভাবে জাদুঘর গড়ে তুলে সেটার বর্ণনা রয়েছে । এভাবেই দুটো কাহিনী প্রবাহ একটা অন্যটার সাথে এগিয়ে যায় এবং শেষে একে একটার সাথে আমরা অন্যটার সংযোগ দেখতে পাই । শেষ পর্যন্ত কী হয়ে সেটা অবশ্য বই পড়েই জানতে হবে । পুরোটুকু বলে দিকে তো বই পড়ার আগ্রহ থাকবে না কারো । </p><p><br /></p><p>এই বইয়ের ভাল দিক হচ্ছে বইয়ের গল্প এবং কাহিনী বিন্যাস । আমি এর আগে এই কন্সেপ্টের বই আর পড়েছি বলে মনে নেই । আগেই বলেছি বর্তমান সময়ের অন্যতম ভাল লেখকদের তালিকা করলে কিশোর পাশা ইমনের নাম আসবে । </p><p>অন্য দিকে বই পড়ে আমার মনে হয়েছে যে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে নিয়ে লেখকের কোন ধরনের ক্ষোভ রয়েছে । খুব বেশি নেগেটিভ ভাবে তাদের তুলে ধরা হয়েছে । এই ধারণা সে কোথা থেকে পেয়েছে সেটা আমার জানা নেই । অন্য দিকে লেখক নিজে কখনও বান্দরবনের গহীনে ট্রেকিং করেছে বলে মনে হয় না । এই অভিজ্ঞতা তার থাকার সম্ভবনা কম । এই কারণে এই ব্যাপারে লেখায় একটু অপরিপক্কতা রয়েছে । এটা স্বাভাবিক । </p><p><br /></p><p>সব মিলিয়ে বেশ চমৎকার বই । এর আরেকটা পার্ট বের হয়েছে যা আামর সামনে রয়েছে বর্তমানে । সেটা পড়ে শেষ হলে, সেটারও রিভিউ লেখার চেষ্টা করবো । </p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgbRwvko7783voIy2ZUEmKjmxIsAdpOPMNJ6rpDx_vYfIdfB0mKZAlbrV70VnGmA-ag4WkKaFu06fPUT38PfRh9Q294VAINAx29pO0KEcj9AsTPrmRJ2G7aMOdhEMFRY1LUArp9MXBo09HGnnJ-sMaFo9Gxk0zYtofYJaYGwq0NI9W9aNovzBrLio4lBZ-B/s1600/oputanvirfgd.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1200" data-original-width="1600" height="240" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgbRwvko7783voIy2ZUEmKjmxIsAdpOPMNJ6rpDx_vYfIdfB0mKZAlbrV70VnGmA-ag4WkKaFu06fPUT38PfRh9Q294VAINAx29pO0KEcj9AsTPrmRJ2G7aMOdhEMFRY1LUArp9MXBo09HGnnJ-sMaFo9Gxk0zYtofYJaYGwq0NI9W9aNovzBrLio4lBZ-B/s320/oputanvirfgd.jpg" width="320" /></a></div><br /><p><br /></p><p style="text-align: center;"><span style="color: red;"><b>বইয়ের নাম জাদুঘর পাতা আছে এই এখানে</b></span></p><p style="text-align: center;"><span style="color: red;"><b>লেখক: কিশোর পাশা ইমন </b></span></p><p style="text-align: center;"><span style="color: red;"><b>মোট ৪৪৬ পৃষ্ঠার বই, মূল্য ৫০০ টাকা </b></span></p>অপু তানভীরhttp://www.blogger.com/profile/15173362423476261246noreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-8575508514021794233.post-65289890887718369322023-07-30T20:40:00.003-07:002023-09-08T00:03:01.865-07:00পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ জীবনানন্দের হাসি ও অন্যান্য <p><br /> যে বই পড়ার শেষ করে আমার কেবল দুইটা অনুভূতি সব সময় হয়। বইটা পড়ে সময়টা ভাল গেল । বইটা পড়ে সময়টা নষ্ট হল । রবিন জামান খানের জীবনানন্দের হাসি ও অন্যান্য মনে হল বইটা পড়ে খানিকটা সময় ভাল গেলেও বেশির ভাগই সময় নষ্ট হল । অথচ আমি সব সময় গল্প সংকলন ভালবাসি । সব ধরনের ছোট গল্পই আমার সব সময় পছন্দ , এই বইটার অপছন্দের আরেকটা কারণ হচ্ছে এই বইয়ের প্রায় সব গল্পই আমি আগেই পড়েছি । লেখকের আগে বিভিন্ন গল্প সংকলনে প্রকাশিত গল্প গুলোই এখানে স্থান পেয়েছে । তাই তিনশ টাকা দিয়ে এই বই কিনে একটু গায়ে বেঁধেই গেল । বই দামী হলেও ভেতরের ভাল কিছু থাকলে সেটা সয়ে যায় তবে এই বইয়ের ক্ষেত্রে সেটা সইলো না মোটেই । হয়তো আগে পড়া থাকার কারণেই বইটা আমার ভাল লাগে নি । <span></span></p><a name='more'></a><p></p><p><br /></p><p>বইটা একটা গল্প সংকলন । মোট এগারোটা গল্প আছে বইতে । প্রথম গল্পের নাম সুইসাইড । গল্পের প্রধান চরিত্র মি হাসান কোন গূরুত্বপূর্ণ পদে আছেন । কী পদ সেটা অবশ্য গল্পে উল্লেখ নেই । লেখকের লেখাতে এই ব্যাপারগুলো আছে আমি আগেই খেয়াল করেছি । সে গল্পের চরিত্র কিংবা কাহিনী বর্ণনাতে এই ডিটেইল গুলো দেন না । গুরুত্বপূর্ন কাজে আছে, গুরুত্বপূর্ণ চাকরি করেন এই টাইপের বক্তব্য দিয়ে কাজ সারেন । এটা গল্পের নামকে সময় নামিয়ে দেয় । যাই হোক মিস্টার হাসান সকল তার সকল কর্ম ব্যস্ততা থেকে গুটিয়ে নির্জন এক স্থানে এসেছে গুরুত্বপূর্ণ কোন কাজের জন্য । প্রতিদিন সকালে সে মর্নিং ওয়াকে যান এবং কাছের একটা রেল স্টেশনে বসেন কিছু সময় । আজকে দেখলেন সেখানে একজন ইয়াং ছেলে বসে আছে । কাঁদছে । সে আসলে সুইসাইড করতে এসেছে ট্রেনে ঝাপ দিয়ে । কিন্তু ঘটনা দেখা যায় সে সুইসাইড নয় অন্য কিছু করতে এসেছে । এরপরের গল্পটার নাম হোমিসাইড । এই গল্পটা আগের গল্পটার সাথে যুক্ত । এই গল্পে দেখা যায় প্রবল নিরাপত্তা বেষ্ঠিত একটি বাড়ি । বাড়িটি মিস্টার ড. জাফরের । এই . জাফর হচ্ছে আমাদের আগের গল্পের মি. হাসানের বাবা । সেই বাড়িতে তারিক আজিজ নামের একজন ঢুকে পড়ে । এবং ড. জাফরকে তার ছেলের মৃত্যুর কারণ জানায় । কিন্তু শেষে দেখা যায় সে তারিখ আসলে সব টুকু সত্য বলে নি । পরের গল্পের নাম কুইন অব হার্টস । এই গল্পে মাহবুব সাহেব তার স্ত্রীকে খুন করার জন্য একজন ভাড়াতের সাথে দেখা করতে যায় তার বন্ধুআলমের মাধ্যমে । কিন্তু খুনী তাকে জানায় যে তার স্ত্রীর পরকীয়া চলছে আসলে তার বন্ধুর সাথেই এবং আলম তাকে পাঠিয়েছে মাহবুব সাহেবের সাথে দেখা করতে নয় বরং তাকে খুন করতে । এখন টাকা না দিলে এখানেই তাকে খুন করবে । মাহবুব তাকে টাকা দিয়ে দেয় । এই গল্পটা আমি আগেও পড়েছি । এই গল্পটার থিম ইন্ডিয়ান সিআইডি সিরিয়ালের একটা এপিসোডের সাথে হুবাহু মিলে যায় । এরপরের গল্পটা কিং অব স্পেডস, এই গল্পের পরের পর্ব । জীবনান্দের হাসি গল্পটা আমি আগে পড়েছি বলে মনে পড়ে না । এই গল্পতে ডক্টর মাসুদের কাছে একজন অদ্ভুত রোগী আসে । এবং তাকে উল্টাপাল্টা কথা বলে রাগিয়ে দেয় । মাদুক তাকে আঘাত করতে পিস্তল বের করে । এবং গুলি চালায় । তবে সেটা উপরের দিকে । কিন্তু পরে জানতে পারে সব টুকুই সাজানো । এই গল্পটার প্লট সাজানোর ভেতরে খুব বড় গলদ রয়েছে । বিশেষ করে যেভাবে একজন মনরোগ বিশেষজ্ঞকে উপস্থাপন করা হয়েছে সেই দিকটা । গল্পে বলা হচ্ছে ডক্টর মাসুদ বড় ও বিখ্যাত ডক্টর অথচ তার আচরণে সেটা মোটেই মনে হয় নি । একজন মনের ডাক্তার যদি এমন আচরণ করেন তাহলে সে কোন কালেই বিখ্যাত হতে পারে না । আরো বুদ্ধিমত্তার সাথে এখানে মাসুদকে উপস্থাপন করা দরকার ছিল । বাগিচা আর্মি গল্পটা ভাল হতে পারতো। এখানে একজন লেখককে পুলিশ তুলে নিয়ে যায় । কারণ একটা ব্যাংক ডাকাতির সাথে তার লেখা একটা বইয়ের হুবাহু মিল । লেখক ঠিক যেভাবে যেভাবে বর্ণনা দিয়েছে সেভাবেই ডাকাতিটা হয়েছে । এবং এই কারণে পুলিশ ধরে নেয় যে ডাকাতিটা লেখকই করেছে । বড় হাস্যকরল একটা কারণ বাংলাদেশের পুলিশ এতো বোকা তো না ! একবার ভাবুন, একজন লেখক একটা বই বের করলো সেই বইয়ের মত করে একটা ডাকাতি হল । তাহলে লেখকে ধরে নিয়ে গিয়ে পুলিশ কি বলবে তুই বেটা বই লিখেছিস তুই ডাকাত ! বইটা হাজার কপি বিক্রি হয়েছে যে কেউ পড়ে ডাকাতি করতে পারে । এই রকম আরো কিছু গল্প রয়েছে । </p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgP-wdbQxFPMFDpiy-T0slM9-QLADZju1eBQTri66CUbTDz7jdDSEOvvJfGkChxr7pDRtr3VyHdgPJMkoaiVqXZH3vrUwsXnOYcK4DiuEGidoEiHGjL1kuJSjCVm52fjI7dIS-CRGX8d6AP4pR2TjiEkrtVeAAmuWZE17aZl03aCrfwsn74K-ooKu4X-m5-/s1799/329435980_1858435914524509_4837214929117494603_n.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1799" data-original-width="1440" height="320" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgP-wdbQxFPMFDpiy-T0slM9-QLADZju1eBQTri66CUbTDz7jdDSEOvvJfGkChxr7pDRtr3VyHdgPJMkoaiVqXZH3vrUwsXnOYcK4DiuEGidoEiHGjL1kuJSjCVm52fjI7dIS-CRGX8d6AP4pR2TjiEkrtVeAAmuWZE17aZl03aCrfwsn74K-ooKu4X-m5-/s320/329435980_1858435914524509_4837214929117494603_n.jpg" width="256" /></a></div><p></p><br /><p><br /></p><p>যারা আগে বাতিঘর থেকে বিভিন্ন গল্প সংকলন পড়েছেন, বিশেষ থ্রিলার সংকলন গুলো পড়েছেন তাদের গল্প গুলো আগে থেকেই পড়া থাকবে । সেখান থেকে গল্প গুলো নিয়ে এই সংকলন টা করা হয়েছে । তাই বই কেনার আগে এটা মাথায় রাখবেন । হয়তো বইয়ের প্রায় সব গল্পই আপনার আগে থেকেই পড়া হয়ে থাকবে । যারা আগে কোন গল্প পড়েন নি তারা পড়তে পারেন । তবে মনের ভেতরে উচ্চ আশা রাখবেন না গল্প গুলোর ব্যাপারে । সাথে মানের থ্রিলার হিসাবে গল্প গুলো ভাল । </p>অপু তানভীরhttp://www.blogger.com/profile/15173362423476261246noreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-8575508514021794233.post-87655965349163768582023-07-24T07:56:00.009-07:002023-09-08T00:25:31.264-07:00পাঠপ্রতিক্রিয়াঃ অগোচরা<p></p>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;">
<span style="text-align: left;">বইয়ের নাম অগোচরা । বইতে লেখক বলেছেন স্নাইপার শব্দের বাংলা হচ্ছে অগোচরা ।
ঘটনা চক্রে আমাদের গল্পের নায়ক হয়ে যায় গুপ্তঘাতক । স্নাইপার কন্ট্রাক্ত কিলার
। সহজাত সুটার সত্ত্বা ছিল তার ভেতরে । পাড়ার বড় ভাইয়ের সাথে একদিন স্যুটিং
ক্লাবে গিয়ে হাজির হয় সে । তারপর সেখানে পরপর একই স্থানে লক্ষ্য ভেদ করে সবাইকে
অবাক করে দেয় । জন্ম হয় তার বিশ্বসেরা স্যুটার হওয়ার স্বপ্ন । কিন্তু ক্ষমতার
বলে এক মন্ত্রীর ভাগ্নেকে পাঠানো হয় । স্বপ্ন ভেঙ্গে পড়ে । তারপর সে নিজেও ।
নেশায় বুদ হয়ে যায় । বাবা মা মরা ভাইয়ের বাসার থাকতো আশ্রিত হয়ে ।</span>
</div>
<span></span>
<p></p>
<a name='more'></a>
<div style="text-align: justify;">
নেমে পড়ে নিজের ভাগ্যের সন্তানে । রাজনীতির মার প্যাচে পড়ে হয়ে ওঠে খুনী । পাড়ার
সজল ভাই তাকে মোটা টাকার অফার করে ক্যাম্পাসের একজনকে খুন করার জন্য । তখন তার
টাকার দরকার খুব । বাসা থেকে বের হয়ে এসেছে অনেক আগেই । হাতে কোন টাকা নেই ।
বন্ধুর ঘাড়ে বসে আর কত খাওয়া যায় । নিজের কিছু আয় রোজগার দরকার তার। তারপর রাজি
হয়ে যায় । আর যাকে মারতে হবে সে হচ্ছে সেই মন্ত্রীর আত্মীয় যার কারণে তাকে বাদ
দেওয়া হয়েছিলো নির্বাচন থেকে । তাই খুন করতে রাজি হয়ে গেল সে । নির্ধারিত দিন
হাজির একটা বড় বিল্ডিংয়ের উপর সজলের সাথে হাজির হয় । স্নাইপার রাইফেল দিয়ে তাক
করে থাকে আর খুজতে থাকে সেই মন্ত্রীর আত্মীয়কে । কিন্তু তাকে দেখতে পায় না কোথাও
। তার বদলে গেটের সামনে দেখা যায় এলাকার আরেক রাজনীতির নেতা বিদুধা । সজল তখন
তাকে বিদুধাকে গুলি করতে হবে । অবাক হয় সে । কিন্তু কিছুই করার থাকে না তার ।
কারণ সজল ততক্ষণে পিস্তল বের তার মাথায় তাক করেছে । যদি গুলি না করতো তাহলে সজল
তাকে গুলি করে দিতো । বাধ্য হয়ে গুলি চালায় সে । মাটিতে লুটিয়ে পড়ে বিধুদা । তবে
মারা যায় না ।
</div>
<p></p>
<p style="text-align: justify;">
বুদ্ধিমান বিধুদা ঠিক ঠিক বুঝে যায় তাকে কে খুন করতে পারে আর কেন খুন করতে পারে ।
তাকে গুলি কে গুলি করেছিল । তাকে হাজির করা বিধুদার সামনে । বাধ্য হয়ে সব খুলে
বলে বিধুদা কে । বিধুকে তাকে নিজের কাছে রেখে দেয় । মাসে মাসে মাসোয়ারা দিতে থাকে
আর কয়েকদিন পরপর কন্ট্যাক্ত কিলিংয়ের কাজ চলে আসে ! এভাবে যখন ভাল চলছিলো সব কিছু
তখন বিধুদা খুন হয়ে যায় !
</p>
<p style="text-align: justify;">
সে এবার নিজেও থাকে ভয়ে । পরবর্তী নম্বর যে তার সেটাও সে জানে ! জান
বাঁচাতে অবস্থা এমন হয় যে হয় মারো নয়তো মর এমন অবস্থা । নিজের অস্তিত্ব টিকে
রাখতে করতে হবে খুন । নয়তো নিজেই খুন হয়ে যেতে হবে । সবাইকে খুন করার পরে যখন মনে
হয়েছিলো এবার বুঝি শান্তি মিলল তখনই আবার আবিস্কার করলো যে মুক্তি তার নেই
।
</p>
<p style="text-align: justify;">
নতুন প্রেম এসে হাজির হল । ভিন্ন দেশেও গিয়েও মুক্তি হল না । সেখানেও হাজির হল
পুরানো জীবনের কৃতকর্ম । এবারও সেই একই অবস্থা হয় মারো নয়তো মর । শেষ পর্যন্ত
অগোচরা আসলেই মুক্তি পাবে ! স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারবে?
</p>
<p>এই গল্প নিয়েই হচ্ছে আমাদের অগোচরা ! </p>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgHh6ZhgRXgU0nwTb3ZR1k-sF3QfBZjvtUInIKG4Vnjlq5f3DK67f-v77BKYUqGP18ZifOE46NckhYcTIzG_tS3fi8Ga6zRiwMqHQ_K9tl7BqHHzp0wa4GSOvkLmhzwXLIx8I83nEISW4R6r7jFUu60StgiDap7rB2-0ncVLL4ZMghRHh8EqPZ8ttm8Fudl/s640/agochora.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="423" data-original-width="640" height="212" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgHh6ZhgRXgU0nwTb3ZR1k-sF3QfBZjvtUInIKG4Vnjlq5f3DK67f-v77BKYUqGP18ZifOE46NckhYcTIzG_tS3fi8Ga6zRiwMqHQ_K9tl7BqHHzp0wa4GSOvkLmhzwXLIx8I83nEISW4R6r7jFUu60StgiDap7rB2-0ncVLL4ZMghRHh8EqPZ8ttm8Fudl/s320/agochora.jpg" width="320" /></a></div><br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><br /></div>
<br />
<p><br /></p>
<p style="text-align: justify;">
বইটি যখন পড়া শুরু করি তখনই মনে হচ্ছিলো যে বইটা আমি আগেও পড়েছি যেন । পড়ে টের
পেলাম আসলেই বইটা পড়া । তবে সম্পূর্ণ নয় । বইয়ের দুইটা অংশ । প্রথম অংশ টুকু পড়া
আমার আগেই । পত্রিকাতে ছাপা হয়েছিলো । পরের অংশ টুকু পড়া হয় নি ।
</p>
<p style="text-align: justify;">
বইটা এক বৈঠকে পড়ে ওঠার মত বই । হালকা মেজাজারের বই । এই বই পড়ার পরে মনে হবে যে
সব কিছু যেন একটু বেশিই সিম্পল । সব কিছু বড় দ্রুত সহজ ভাবে শেষ হয়ে গেল যেন ।
নায়ক যখন যতবারে বিপদে পড়ে তাকে সেই বিপদ থেকে উদ্ধার করতে যেন সব কিছু ওভাবে কেউ
বসিয়ে দেয় । যখন যা দরকার সেই জিনিস সেখানে এসে হাজির হয় ! সব সমাধান হয়ে যায়
সহজে ।
</p>
<p style="text-align: justify;"><br /></p>
<p>হালকা মেজাজের বই হিসাবে ভাল । </p>
<p><br /></p>
<p><span style="color: red;">বইয়ের নাম অগোচরা</span></p>
<p><span style="color: red;">লেখক মোহাম্মাদ নাজিম উদ্দিন । </span></p>
অপু তানভীরhttp://www.blogger.com/profile/15173362423476261246noreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-8575508514021794233.post-18068721027398044712023-05-21T21:37:00.004-07:002023-09-08T00:09:09.277-07:00পাঠ-প্রতিক্রিয়াঃ এক পশলা বৃষ্টি<p> এক পশলা বৃষ্টি বইটা শেষ করেছি কয়েকদিন আগেই কিন্তু এটা নিয়ে লিখবো লিখবো করেও লেখা হয় নি । আসলে ছোট গল্প সংকলন নিয়ে লেখা হয়ে ওঠে না বললেই চলে । তবুও আজকে মনে করে গল্প গুলো নিয়ে কিছু লিখে রাখি । বইটার প্রকাশ পেয়েছে ছাপাখানা থেকে । এটা কেনার মুল কারণ হচ্ছে এখানে আমার পছন্দের লেখিকার একটা গল্প রয়েছে । সেটা পড়ার জন্যই বইটা কেনা । <span></span></p><a name='more'></a><p></p><p>বইতে মোট ৫টা গল্প রয়েছে । আমার কাছে দুইটা বেশ চমৎকার মনে হয়েছে । প্রথম গল্পটার নাম ''<b>অন্য যুগের সখা</b>'' । এই গল্পে গল্পের নায়ক তার বন্ধু পত্নীর প্রেমে পড়ে সেই শুরু থেকে । এবং এই কারণে সে বিয়ে করে না । বন্ধু হঠাৎ দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার পরে সেই মেয়েকেই বিয়ে করতে চায় । নায়কের বাসায় প্রথম রাজি না থাকলেও পরে এক সময়ে রাজি হয় । তবে এর মাঝে অন্য আরেকজন এসে হাজির হয় নায়কের জীবনে । এবং সব হিসাব বদলে যায় । </p><p>পরের গল্পের নাম ''<b>এমনই বরষার দিন ছিল</b>'' । গল্পে ডিভোর্সী এক মেয়ে সদ্য জন্মানো মেয়েকে নিয়ে থাকে ঢাকাতে । একদিন এক ডেলিভারি প্রডাক্ট দিতে একজন আসে তার বাসায় । সেই মানুষটি তার পুরানো দিনের প্রেমিক । তারপর তার কাছে ফিরে যাওয়া । নতুন করে ঝামেলা হওয়া । আবার মিলন । বইয়ের ভেতরে এই গল্পটা পড়তেই সব থেকে বেশি বিরক্ত লেগেছে আমার । </p><p>''<b>দেনা পাওনা</b>'' গল্পে দেখা যায় একটু চল-চাতুরীর আশ্রয় নিয়ে স্কুল ডিবেটে নায়ককে হারিয়ে দেয় নায়িকা । তারপর থেকে নায়ক তার পেছনে ঘুরঘুর করতে থাকে । স্কুল কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় জীবন চলে এভাবেই । বিয়ের প্রস্তাবও আসে কিন্তু সেটা নায়িকার বাসা থেকে গৃহীত হয় না । নায়িকার বিয়ে ঠিক হয় কিন্তু বিয়ের আগে তাদের জীবনে নেমে আসে বিপদ । বিয়ে ভেঙ্গে যায় । তারপর নায়ক আবারও আসে তার জীবনে । তার পাওনা নিতে । </p><p>''<b>তপ্ত ভালোবাসা</b>'' গল্পটা ছেলেমানুষ এক মেয়ের গল্প । নায়িকা তার পছন্দের মানুষকে ভালোবাসা কিন্তু পাত্তা পায় না । পাত্তা না পাওয়ার কারণে নানান রকম পাগলামো করতে শুরু করে । এক সময়ে নিজের ইচ্ছে বিয়ে করতে উঠে পরে লাগে । </p><p>''<b>অনিচ্ছা পূরণ</b>'' গল্পের শুরুতেই ক্যাম্পাসে নায়িকা ধাক্কা খায় এক ছেলের সাথে । তার চেহারা না দেখলেও তার পারফিউমের গন্ধ তার নাকে এসে লাগে । বলা যায় সেখানেই তার প্রেমে পড়ে । তারপর খানিকটা নাটকীয় ভাবেই সে গিয়ে হাজির হয় সেই নায়কের বাড়িতে । সব কিছু ঠিকঠাক চলছিলো । নায়িকা নায়কের জন্য পাগল এবং নায়কও তাই । মূলত তার ইচ্ছেতেই নায়িকা তাদের বাসায় গিয়ে হাজির হয়েছে । কিন্তু যখন বিয়ের দিন আসে তখন দেখা যায় অন্য ঘটনা। এখানেই রয়েছে টুইস্ট </p><p>''<b>অতঃপর পূর্নতা</b>'' বইয়ের সব থেকে বড় গল্প এটাই । এখানে একটি মেয়ের স্ট্রাগল তুলে ধরা হয়েছে । কিভাবে বাবার ননীর পুতুল একটা মেয়ে কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখী হয়ে সব কিছু পার করে সেটা নিয়ে এই গল্প । ভালোবাসায় প্রথমে প্রতারিত হয়ে পরে আবার কিভাবে সত্য ভালোবাসা খুজে পায় সেটা নিয়ে গল্প । মেয়েটার প্রথমে বিয়ে হয় একজনের সাথে তবে পরে দেখা যায় বিয়েটা সেই ছেলে করেছিলো কেবলই স্বার্থ চরিতার্থ করতে । আলাদা হয়ে যায় তারা কিন্তু ততদিনে মেয়েটার ভেতরে নতুন প্রাণ বাসা বেঁধেছে । কঠিন জীবন পার করে মেয়েটা তার বাবা মারা যাওয়ার পরে । দেশের পড়াশোনা শেষ করে চাকরি তারপর উচ্চতর পড়াশোনার জন্য বিদেশে পাড়ি জমানো । সেখানেই পরিচয় হয় নতুন আরেকজনের সাথে । সেই মানুষটিও কিনা তীব্র ভাবে ভালোবাসার মানুষের কাছে প্রত্যাখ্যত হয়েছিলো । যখন তারা এক হতে যাবে তখন আবারও মেয়েটির জীবনে এসে হাজির হয় তার প্রাক্তন । মেয়েটা তখন কী করবে? প্রাক্তন কে ক্ষমা করে দিয়ে নতুন করে জীবন সাজাবে নাকি নতুন সেই মানুষটির হাত ধরবে ! </p><p><br /></p><p><br /></p><p>গল্পের বই হিসাব বেশ ভালই বলা চলে । দুটো গল্প আমার কাছে বেশ চমৎকার মনে হয়েছে । একটা একদম ভাল লাগে নি । বাকি দুইটা চলন সই । আপনারা চাইলে কিনতে পারেন বইটা । </p><p><br /></p><h2 style="text-align: center;"><span style="color: red;">বইয়ের নাম <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhxxkjqg8tQwq17IS0heiUDWoHYsOrzGE8n9MPnaqD4-fkkCqY2FskKlRWBRe05Nd_ebu-rHFXgI9ZOlSmxYCpQg832AF_NVjsMEn2DxOXlN4SAlhz4D5JcI-eWqpXUapYLIXg-DQmwvHnLaqNeDMbMQaGBw46XhRqBFjXLQ7JfU_nAmE34uAJDvn0SCTrs/s640/oputanvir2.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="640" data-original-width="513" height="320" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhxxkjqg8tQwq17IS0heiUDWoHYsOrzGE8n9MPnaqD4-fkkCqY2FskKlRWBRe05Nd_ebu-rHFXgI9ZOlSmxYCpQg832AF_NVjsMEn2DxOXlN4SAlhz4D5JcI-eWqpXUapYLIXg-DQmwvHnLaqNeDMbMQaGBw46XhRqBFjXLQ7JfU_nAmE34uAJDvn0SCTrs/s320/oputanvir2.jpg" width="257" /></a></div><br />এক পশলা বৃষ্টি । <br /></span><span style="color: red;">ছাপাখানা প্রকাশনি থেকে প্রকাশিত হয়েছে । </span></h2><p><br /></p><p><br /></p><p><br /></p><p><br /></p><p> </p>অপু তানভীরhttp://www.blogger.com/profile/15173362423476261246noreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-8575508514021794233.post-84069386210123806912023-03-21T21:20:00.010-07:002023-09-08T00:22:53.141-07:00পুরুষ, পিতৃত্ব ও অন্যান্য গল্প<p> আমি শেখ পরিবার কে নিয়ে অনেক লেখা পড়েছি । তবে তার প্রায় পুরোটাই হচ্ছে নন ফিকশন কাহিনী । আমার কাছে প্রায়ই মনে হয়েছে যে কেন শেখ পরিবারকে নিয়ে ফিকশন গল্প লেখা হয় না? এটা অবশ্য এখন জানি যে তা নিয়ে লেখাটা বেশ বিপদজনক । হয়তো লেখক জেলে চলে যেতে পারে । তাই হয়তো কেউ লেখে না । অনেক দিন আগে ইমন জুবায়ের ভাই রাসেলকে নিয়ে একটা কাল্পনিক লেখা লিখেছিলেন ব্লগে । এতো চমৎকার হয়েছিল লেখাটা যে বলার অপেক্ষা রাখে না । <span></span></p><a name='more'></a><p></p><p><br /></p><p>গতবছর বইমেলা থেকে রাজীব নূর নামের একজন লেখকের বই কিনেছিলাম । সেই বইয়ের শেষ গল্পের নাম ''যখন কান্নায়ও আড়াল তুলতে হয়েছিল'' । গল্পটার প্রথম লাইন হচ্ছে ''রাসেল প্রায়ই আসতো আমাদের বাড়িতে ।'' আমি গল্প শুরু তখনও ঠিক বুঝতে পারি নি যে এই রাসেল আমাদের শেখ রাসেল। গল্পের পটভূমি ছিল মুক্তি যুদ্ধ এবং তার পরের সময় । জমজ ভাইবোন থাকতো রাসেলদের বাড়ির পাশেই । মাঝে একটা দেওয়াল । সেই দেওয়ালে বাসা বেঁধেছে টুনটুনি । এই নিয়ে জমজ ভাইবোন আর রাসেলের আগ্রহের শেষ নেই । সবার বয়স ৫ এর আশে পাশে । </p><p><br /></p><p>যুদ্ধের সময়ে পরিবারটি চলে যায় গ্রামে তারপর আবার যুদ্ধ শেষ করে ফিরে আসে । রাসেলের সাথে তার কত খেলা গল্প এক সাথে ঘোরাঘুরি । গল্পটা শেষ হয় ১৫ই আগস্টের হামলার পরদিন সকাল বেলা । তখনও জমজ ভাইবোন বিশ্বাস করতে পারে না যে রাসেলকে মেরে ফেলা হয়েছে । </p><p><br /></p><p>গল্পটা পড়ে কী যে এক বিষণ্ণতা এসে ভয় করলো মনে সেটা বলে দেওয়ার মত না । মোট ৯টা গল্প রয়েছে । রাসেলকে নিয়ে এটা বইয়ের শেষ গল্প । প্রথম গল্পের নাম পুরুষ । পুরুষ গল্পের কাহিনী এক চর দখলকে কেন্দ্র করে । চর দখলের সময় পুরো একটা হিন্দু পাড়াকে উচ্ছেদ করে একজন চেয়ারম্যান । তার রয়েছে নিজেস্ব লাঠিয়াল বাহিনী । সেই লাঠিয়াল বাহিনীর একজনকে খুন করে সেই চেয়ারম্যান দোষ চাপায় হিন্দু পাড়ার লোকেদের উপরে । তারপর লাঠিয়ালের সুন্দরী বউকে বিয়ে করে । লাঠিয়ালের ছেলে রমজানকে বাড়ি থেকে বিদায় করে । সেই ছেলেকে আশ্রয় সে হিন্দু মালো পাড়ার সাধন । সেখানেই সে বড় হয় । দক্ষতা অর্জন করে বাপের মত বর্ষা নিক্ষেপে । এভাবেই কাহিনী এগিয়ে চলে । এক সময়ে আবারও সেই চর দখলের যুদ্ধ শুরু হয় । রমজানকেও নামতে হয় যুদ্ধে । </p><p><br /></p><p>পরের কাহিনীটার নাম পিতৃত্ব । পরপর সাত মেয়ে জন্মানোর পরে আরেকটা যখন মেয়ে হয় তখন মালতী পাড়ার মসজিদের মুয়াজ্জিন হাফেজ মোতালেব তার মেয়েকে খুন করে । তাকে জেলে পাঠানো হয় । রিমান্ডে সে সব কিছু স্বীকারও করে নেয় । তার আর রক্ষা পাওয়ার আর কোন উপায় নেই । নিশ্চিত ফাঁসি হবে । কিন্তু তখন তাকে রক্ষা করতে দৃশ্যপটে হাজির হয় রমলা মাসি । মোতালেপকে অদ্ভুত এক প্রস্তাব দেয় সে । তার পাড়ার জন্য অনেক গুলো মেয়ে দরকার । আর মোতালেবের তো কেবল মেয়ে হওয়ার রেকর্ড রয়েছে । তাকে জেল থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বেশ্যাপাড়ায় । তারপর সেখানে থাকা বেশ্যাদের চারজনের সাথে বিয়ে দেওয়া হয় । তার কাজই কেবল সন্তান তৈরি করার জন্য স্পার্ম দেওয়া । সে অনেক কয়বার পালাতে চায় কিন্তু পারে না । এভাবে কাহিনী শেষ পর্যন্ত এগিয়ে যায় । শেষ পর্যন্ত কি মোতালেব পারবে পালাতে ঐ নষ্ট পাড়া থেকে ? সেই সাথে কি পারবে নিজের সদ্যজাত সন্তানের পিতার ভূমিকা পালন করতে ! গল্পের শেষেৎা জানা যাবে । </p><p><br /></p><p>এই তিনটা বাদ দিয়েও আরও চারটা গল্প রয়েছে । গল্প গুলো পড়েকেবল এই কথাই মনে হয়েছে যে লেখকের লেখার উপর ভাল দক্ষতা রয়েছে । তার লেখার হাত দক্ষতা প্লটকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সব মিলিয়ে সে একজন চমৎকার কথা শিল্পী । সামান্য একটা ঘটনাকে এতো চমৎকার করে বর্ণনা করতে পারা নিঃসন্দেহে দক্ষতার কাজ । ছোট গল্প যারা পছন্দ করে তারা এই বই অবশ্যই পড়তে পারে । </p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhZ7dwzsDbOupqn2khaIPlm4gzOwbR1V4KXyUwBxSEM5JkcIgt128yN2g_mgjcBvpOQ1UmIJn152N4ymfBh6OtV1Jy9uCroMmRJOrnhJAK_VNdUfljgVt3lBo3lODNPPPOxBTqyTmiesMBdxfkRZ7fsEuTCjn3Aus7y9VyMc6wYyCX-kwm_vSbwqGsk0I5R/s640/opupurus.png" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="481" data-original-width="640" height="241" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhZ7dwzsDbOupqn2khaIPlm4gzOwbR1V4KXyUwBxSEM5JkcIgt128yN2g_mgjcBvpOQ1UmIJn152N4ymfBh6OtV1Jy9uCroMmRJOrnhJAK_VNdUfljgVt3lBo3lODNPPPOxBTqyTmiesMBdxfkRZ7fsEuTCjn3Aus7y9VyMc6wYyCX-kwm_vSbwqGsk0I5R/s320/opupurus.png" width="320" /></a></div><br /><p></p><p><br /></p><h2 style="text-align: left;"><div style="text-align: center;"><span style="color: red;">বইয়ের নামঃ পুরুষ, পিতৃত্ব ও অন্যান্য গল্প</span></div><span style="color: red;"><div style="text-align: center;">লেখকঃ রাজীব নূর</div></span><span style="color: red;"><div style="text-align: center;">বাতিঘর থেকে প্রকাশিত</div></span></h2><p><br /></p>অপু তানভীরhttp://www.blogger.com/profile/15173362423476261246noreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-8575508514021794233.post-85860343888611461742023-03-17T20:42:00.006-07:002023-09-08T00:16:26.469-07:00মোহাম্মাদ নাজিম উদ্দিনের বইঃ ঢাবাকা <p> যারা থ্রিলার গল্প পড়তে ভালোবাসেন তাদের কাছে এবার বইমেলায় অন্যতম আকর্ষীয় অপেক্ষার নাম ছিল ''ঢাবাকা'' । মোহাম্মাদ নাজিম উদ্দিন তাদের কাছে খুবই পরিচিত নাম । তার বই মানেই অন্য কিছু । </p><p>যদিও ঢাবাকাকে বলা হয়েছে গ্রাফিক নোভেল তবে আদতে আসলে সেটা তেমন কিছু নয় । বিশেষ করে গ্রাফিক নোভেল বলতে আমরা যা বুঝি এই বইটা তেমন নয় । আমরা বাইরের দেশে গ্রাফিক নোভেলে যেমনটা দেখি এই বইতে ছবি গুলো আসলে তেমন কিছু নয় । দৃশ্যের বর্ণনার পাশাপাশি সেই দৃশ্য সম্পর্কিত একটা ছবি আঁকা রয়েছে পাতায় । আমরা একটা যেমন একটা চরিত্র পড়ে তার চেহারা নিজে নিজে কল্পনা করে নিতাম ।<span></span></p><a name='more'></a> এই বইয়ের বেলাতে তেমন কিছু করতে হয় । মুখের কিংবা দৃশ্যের একটা চিত্র একে দেওয়া হয়েছে যা আমাদের সাহায্য করবে গল্পটা আরো ভাল ভাবে উপভোগ করতে । <p></p><p><br /></p><p>এবার আশি গল্প নিয়ে । ঢাবাকা আসলে একটা শহরের নাম । এই শহর কল্পনার শহর । যে শহরের সব কিছুই লেখকের কল্পনার আদতে তৈরি । বইয়ের শুরুতে ঢাবাকার একটা আলাদা ম্যাপ একে দেওয়া আছে । সেখানে নানান স্থানের নামও রয়েছে । তবে এটা বলে দেওয়ার অপেক্ষা রাখে না বাস্তবের চিরো পরিচিত শহরের আদলেই সেই শহর গড়ে উঠেছে । </p><p><br /></p><p>গল্প শুরু হয় একটা লাশকে শশানে পোড়ানো দিয়ে । গল্প প্রথমে বর্ণনা হয় উত্তম পুরুষে । সে একজন কন্ট্যাক্ট কিলার । তাকে কন্ট্যাক্ট দেওয়া হয়েছে একজনকে খুন করে তার লাশ পুড়িয়ে ফেলার জন্য । আর লাশ গায়েব করার ক্ষেত্রে সেটাকে পুড়িয়ে ফেলার থেকে ভাল উপায় আয় হয় না । শহর থেকে দুরে একটা শ্বশানে লাশ নিয়ে আসা হয় । ব্যাপারটাকে বিশ্বাসযোগ্য করতে সাথে একজন নাটক দলের কর্মীকেও নিয়ে আসা হয় কাঁন্নাকাটির জন্য ।</p><p><br /></p><p>পুরো কাহিনী এই শ্বাসনেই শেষ হয় । তবে কাহিনীর বিস্তৃতি পুরো ঢাকাবা জুড়েই । এখানে আসা প্রতিটি চরিত্রের পেছনের গল্প আস্তে আস্তে বর্ণনা করা যায় যেমন শ্বশানে যে মরা পোড়ায় সেই চন্ডাল । সে কিভাবে চন্ডাল হল কিভাবে এখানে এসে হাজির হল তার গল্প । কান্নার জন্য যাকে ভাড়া করে আনা হয়েছিলো সেই পরিমলের জীবনের কাহিনী । পরিমলের বউ সেজে আসা সেই আটোসাটো পোশাক পরা মেয়েটি কিভাবে এই ঢাবাকায় নিজের শুরু করলো । সাথে পাণ্ডবদা যে কিনা একটা খুনী ক্লাব চালায় । অদ্ভুদ কঠিন নিয়ম সেই ক্লাবের যা কোন খুনী ভাঙ্গতে সাহস করে না । সেই আণ্ডবদাই বা কিভাবে একজন সাধারণ বেবি চালক থেকে এই খুনী হয়ে বসলো একে একে সব গল্প বর্ণনা করা হয় । গল্প যখন শেষ হয় তখন আপনি বুঝটে পারবেন যে পুরো বইয়ের প্রতিটি চরিত্র একে অন্যের সাথে কিভাবে জড়িতো । </p><p><br /></p><p>নাজিম উদ্দিনের লেখা নিয়ে আসলে কিছু বলার নেই । তার লেখা মানেই অন্য কিছু । সেই শুরু থেকে তিনি যে নিজের ব্যাপারে যে একটা মানদণ্ড ধরে রেখেছেন সেটা এই লেখাতেও দেখতে পাবেন । </p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi-gQ-Qnw11aWiRhL37XN9mncdjRkrMqKjmFvh0sAHpvVaJd6q9hBUyCquL8ReUvX65DQE45tgOt-FIENRdfT-nCxgPPglHi9R9kO7cIQYJqsOkcRj8GI2Yllf6gLNJcqHDHC_5z7TsuYveM2zG5csKytVY46PdbkpjpDqq2_1BcSTyWQY1b6fTGiyCMhDv/s640/Dhabaka.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="427" data-original-width="640" height="214" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi-gQ-Qnw11aWiRhL37XN9mncdjRkrMqKjmFvh0sAHpvVaJd6q9hBUyCquL8ReUvX65DQE45tgOt-FIENRdfT-nCxgPPglHi9R9kO7cIQYJqsOkcRj8GI2Yllf6gLNJcqHDHC_5z7TsuYveM2zG5csKytVY46PdbkpjpDqq2_1BcSTyWQY1b6fTGiyCMhDv/s320/Dhabaka.jpg" width="320" /></a></div><br /><p><br /></p><h3 style="text-align: center;"><b><span style="color: red;">বইয়ের নাম ঢাবাকা <br /></span></b><b><span style="color: red;">লেখক মোহাম্মাদ নাজিম উদ্দিন </span></b></h3>অপু তানভীরhttp://www.blogger.com/profile/15173362423476261246noreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-8575508514021794233.post-13107562921074327382023-03-17T20:05:00.009-07:002023-09-08T00:34:11.543-07:00পাঠপ্রতিক্রিয়াঃ শরীরে সূর্যোদয় <p> বই মেলা থেকে বইটা কিনেছিলাম এমনিতেই । নেড়ে চেড়ে আর প্রথম কয়েকটা লাইণ পড়ে মনে কিনি । পরিচিত কোন লেখক নয় আমার । লেখকের আগে কোন লেখা আমি পড়ি নি । গল্পটা শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রনেতাকে গুলির ভেতর দিয়ে । এক কুয়াশাছন্ন সকালে কামাল নামের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতাকে গুলি করে তারই দলের একজন ক্যাডার । মূলত গুলিটা করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতা বড় ভাইয়ের নির্দেশে । কারণ হিসাবে দেখানো হয় যে কামাল ইদানীং বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে যা বড় ভাইয়ের জন্য মোটেও ভাল কিছু নয় । <span></span></p><a name='more'></a>তবে এখানেই ভুলটা হয়ে যায় । যে ক্যাডারকে দিয়ে কাজটা করানো হয় তার হাত কেঁপে যায় । নির্দেশ ছিল কেবল কাধে কিংবা পায়ে গুলি করা অথচ গুলিটা লাগে বুকে । হাসপাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় নেতা । তবে বড় ভাই ঠিক ঠিক সামলে দেয় ব্যাপারটা । নিজ দলের ক্যাডারের গায়ে কোন আঘাত আসে না । তবে মানসিক ভাবে সেই ক্যাডার ঠিকই ভেঙ্গে পড়ে । বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে চলে যায় একেবারে । অন্য দিকে দলের আরেক কর্মী যে কিনা বড় ভাইয়ের খুব কাছের ।<p></p>তাকে ঘিরে কাহিনী এগোতে থাকে । তার রিপন । হিন্দু সে । বড় ভাইয়ের ছোট ছেলেকে সে পড়ায় । সেই সুবাধে তার বাসায় খুব যাতায়াত তার । এবং বড় ভাইয়ের খুব কাছের মানুষ । বড় ভাইয়ের সকল কুকর্মের সাক্ষী সে । সব কিছু জানে রিপন । এছাড়া রিপনকে বড় ভাই তার বউয়ের পেছনে লাগিয়ে রেখেছে কখন কোথায় আর কার সাথে দেখা করে এই খোজ করার জন্য । গল্পের এক পর্যায়ে জানা যায় যে ছাত্রনেতা কামালকে সে কেন খুন করিয়েছিলো । বড় ভাইয়ের আন্ডারে আরও কত ক্যাডার রয়েছে যারা কখন টার্গেট মিস করে না । তাহলে বড় ভাই ইচ্ছে কেন নতুন একজন ক্যাডারকে নিয়োগ দিলেন ঐ কাজের জন্য । এর পেছনের কারণ মূলত রয়েছে তার স্ত্রী লিজা এবং কামালের ভেতরের একটা সম্পর্ক । <p></p><p>তবে কথায় আসে পাপ বাপকেও ছাড়ে না । বড় ভাইয়ের এতো ক্ষমতা নিজের বউয়ের ব্যাপারে এতো সেন্সেটিভ সে সেই সব কিছু বড় ভাইয়ের হাত থেকে এক সময় চলে যায় । তাকে দেশ ছেড়ে পালিয়ে বাঁচতে হয় । নিজেদের সন্তান এতো ভালোবাসার বউ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষমতা সব কিছু হারিয়ে যায় তার কাছ । </p><p>মূলত এটাই গল্প । বর্তমান আবর্তে পরিচিত একটা প্লট । তবে এই কথা বলতেই হবে সে লেখক খুব চমৎকার ভাবে তার গল্পকে ফুটিয়ে তুলেছে । পুরো বইতে কাহিনী এগিয়ে গিয়েছে খুব দ্রুত । একটার পর একটা দৃশ্য এসেছে । চলে গিয়েছে । চিন্তার খোরাক যুগিয়েছে । পড়তে পড়তে অনেকটাই যেন আমি দৃশ্য গুলো চোখের সামনে দেখতে পচ্ছিলাম চোখের সামনে সব কিছু । শেষটা যদিও খানিকটা প্রেডিক্টেবল ছিল তবে মনের ভেতরে একটা তাড়না অনুভব ঠিকই করছিলাম যে এর পরে কি না কী হয় ! </p><p>আপনারা পড়ে দেখতে পারেন । সময় ভাল কাটবে আশা করি । </p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiS6LE1s2JEXo1dDfaTIqliGxq-SHij2sZRHcqs7z0jpWxi4BUJcfMKRdwIOU-tS7ty0UwqhVb7IMobk7DDhenSs5AWe2GMqiX68RaT_28UlOOfpQRAsW2c6weg5V80B9cywDFt_jAYorV_OwmAjPutjuWX8Fy19wYzP7pUfuen1V1fvAupRxe5aA7_KyfP/s640/woman-570883_640.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="427" data-original-width="640" height="214" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiS6LE1s2JEXo1dDfaTIqliGxq-SHij2sZRHcqs7z0jpWxi4BUJcfMKRdwIOU-tS7ty0UwqhVb7IMobk7DDhenSs5AWe2GMqiX68RaT_28UlOOfpQRAsW2c6weg5V80B9cywDFt_jAYorV_OwmAjPutjuWX8Fy19wYzP7pUfuen1V1fvAupRxe5aA7_KyfP/s320/woman-570883_640.jpg" width="320" /></a></div><br /><p><br /></p><h2 style="text-align: center;"><span style="color: red;"><b>বইঃ শরীরে সূর্যোদয়<br /></b></span><span style="color: red;"><b>লেখকঃ মনীশ রায় <br /></b></span><span style="color: red;"><b>পানকৌড়ি থেকে প্রকাশিত </b></span></h2>অপু তানভীরhttp://www.blogger.com/profile/15173362423476261246noreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-8575508514021794233.post-36837326808037450932023-03-08T21:31:00.010-08:002023-09-08T19:58:37.272-07:00নিষিদ্ধ বইঃ প্রেসিডেন্টের লুঙ্গি নাই<p></p> কয়েকদিন আগে লিখেছিলাম মেলায় নিষিদ্ধ হওয়ার একটা বই নিয়ে । আজকে বইমেলা থেকে আরেকটি নিষিদ্ধ হওয়া বই নিয়ে হাজির হলাম । আজকের বইয়ের নাম প্রেসিডেন্টের লুঙ্গি নাই । আগেই বলে নি এই বইটাও আমি কেবল মাত্র পড়েছি বইটা নিষিদ্ধ হয়ে বলেই । নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি মানুষের একটা আগ্রহ বেশি থাকে সব সময় । আমার আসলে জানার আগ্রহ ছিল যে বইতে এমন কী আছে যা বইটাকে নিষিদ্ধ করতে হবে । <br /><span><a name='more'></a></span><p></p><p><br /></p><p>বইতে সরকারের বিরুদ্ধে কোন কথা বলা হয় নি । এমন কি এটা আসলে কোন বাস্তবধর্মী কাহিনীও নয় । বইতে একটা কল্পনার রাজ্যের গল্প রূপকথার আদলে বর্ণনা করা হয়েছে । বইটি একজন এতিম তার নিজের জবানীতে বর্ণনা করেছেন । সে প্রথমে হিন্দু ছিল পরে পরে সে মুসলমান নাম ধারণ করে । তার নাম এখন খালিদ বিন ওয়ালিদ । ইতিহাসের বিখ্যাত যোদ্ধার নামে । </p><p>কল্পনার এক আজব দেশ তৈরি করা হয়েছে পোকামাকড়েরা । দেশের গুরুত্বপূর্ণ পদ দখল করে আছে এই সব পোকামাকড় গুলো । বইয়ের একদম শুরুতেই দেশের প্রেসিডেন্টকে তুলে নিয়ে যেতে তার বাসায় এসে হাজির হয় টিকটিক ভাই এবং মাকড়শা ভাই। এখানেই তারা খালিদকে বলে প্রসিডেন্টকে তারা হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে তার শরীর খারাপ । তার জন্য কিছু জামা কাপড় গুছিয়ে দিতে । </p><p>এখানে বলে রাখা ভাল যে প্রেসিডেন্ট যখন দেশের রাজা ছিল তখন সে এই ছোট খালিদকে নিয়ে এসেছিলো নিজের কাছে । তারপর নিজের ছেলের মত করে মানুষ করেছে । এই খালিদ এখন প্রেসিডেন্ডের সব কিছ দেখা শোনা করে । তার কখন কী প্রয়োজন সেটা সমাধান করে । </p><p></p><p>যখন মাকড়শা আর টিকটিকি বলে প্রেসিডেন্টের জন্য লুঙ্গি দিতে তখন খালিদ বলে যে ''স্যারের তো লুঙ্গি নাই । প্রেসিডেন্টের তো লুঙ্গি নাই'' । পুরো বই য়ে এই একবারই শব্দ গুলো ব্যবহার করা হয়েছে । </p><p>প্রেসিডেন্টকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । এরপর নানান স্থান থেকে নানান মানুষ আসতে থাকে । খালিদ নিজেদের ভাষায় তাদের বর্ণনা করতে থাকে । এক সময়ে তাকেও ধরে নিয়ে যাওয়া হয় পোকামাকড়দের হেড কোয়াটারে । তাকে এবার হুমকি দেওয়া হয় সে যাতে প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে রাজসাক্ষি হয় । যদি না হয় তবে তার নামে ধর্ষনের মামলা দেওয়া হবে । এবং এই মামলা দেওয়ার জন্য তারই দলের একজন নেত্রীকে তার সামনে নিয়ে আসা হয় । </p><p>তবে শেষ পর্যন্ত খালিদকে আর প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে সাক্ষি দিতে হয় না । সে মুক্তি পেয়ে যায় । </p><p>বইটা মূলত লেখা হয়েছে খানিকটা মেফরিক ভাবে । এখানকার বেশ কয়েকটি চরিত্রের নাম বেশ হাস্যকার ভাবে তুলে ধরা হলেও লেখকদের ভেতরে অন্য কোন মিলিং বোঝানোর চেষ্টা করেছেন। যেমন নাম আছে শ্রমিক ভাই, বড়ো ম্যাডাম, ছোট ম্যাডাম, স্বচ্ছ ভাই, প্রলোভব আপা ইত্যাদি । এসব চরিত্র দিয়ে লেখক রাজনীতির অঙ্গনে বিশেষ কিছু চরিত্রকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন । লেখক লেখার ভেতরে ধর্মের কথা এসেছে । এসেছে মুসলমানদের যুদ্ধের সময়কার কথা । আগেরকার দিনে রাজা বাদসাদের হারেমখানার কথা । তিনি আসলে এই সব মিলিয়ে কোন একটা স্বৈর সরকারকে বোঝানোর চেষ্টা চালিয়েছেন রূপক ভাবে । </p><p>সত্যি বলতে কি, এই বই পড়ে আমি মোটেও আরাম পাই নি । লেখকের লেখার হাত খুব বেশি মজবুত নয় । অধ্যায় গুলো পড়তে গিয়ে আবার বারবার মনে হয়েছে যেন লেখক খানিকটা জোর করে লেখা গুলো লিখেছেন । </p><p>বইয়ের লেখকের সম্পর্কে আমার আগে কোন ধারণা ছিল না । আগে আমি ইনার নামও শুনি নি কোন দিন । আজকে গুগলে সার্চ দিয়ে দেখলাম লেখক এক সময়ে এরশাদের উপদেষ্টা ছিলেন এবং সব থেকে বড় পরিচয় হচ্ছে তিনি মুসা বিন শবসের ছেলে । এটা তথ্য আমাকে চমকৃত করলো । </p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj3Ie3faVQOulBfUWEPuPZA19fJccn_qVThGR94qj90mEfr7tO7JvCdX2jvy6iAnkognnOwzHQZerRDIHY7Pqu6RpOogCJLOYWgiFKqJQiWbZ4D1hk51VGd8No3fYNdrdFltOFEB-XEXJwb5lp3pM2sRbYyERt5zCzY03BUNt5lOSuarX14cIzqgdOdv6aM/s1280/cat-3258931_1280.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="853" data-original-width="1280" height="213" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj3Ie3faVQOulBfUWEPuPZA19fJccn_qVThGR94qj90mEfr7tO7JvCdX2jvy6iAnkognnOwzHQZerRDIHY7Pqu6RpOogCJLOYWgiFKqJQiWbZ4D1hk51VGd8No3fYNdrdFltOFEB-XEXJwb5lp3pM2sRbYyERt5zCzY03BUNt5lOSuarX14cIzqgdOdv6aM/s320/cat-3258931_1280.jpg" width="320" /></a></div><br /><p></p><p><br /></p><p style="text-align: center;"><b><span style="color: red;">বইয়ের নামঃ প্রেসিডেন্টের লুঙ্গি নাই</span></b></p><p style="text-align: center;"><b><span style="color: red;">লেখক ববি হাজ্জাজ</span></b></p><p style="text-align: center;"><b><span style="color: red;">গতিধারা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়েছে বই</span></b></p>অপু তানভীরhttp://www.blogger.com/profile/15173362423476261246noreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-8575508514021794233.post-54250921330369664352023-03-01T22:06:00.002-08:002023-09-08T19:59:04.374-07:00পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ কলুষ <p> আজকের পড়া বইটার নাম কলুষ । বইয়ের লেখক মহিউদ্দিন মোহাম্মাদ যুনাইদ । একই লেখকের আরেকটি বই আমি পড়েছি আগে তাই তার লেখার সম্পর্কে একটা ধারণা আমার আছে । এছাড়া সে যেহেতু সামু ব্লগে অনেক দিন যাবৎ ব্লগিং করে তাই তার লেখা সম্পর্কে ধারণা থাকাটা স্বাভাবিক । </p><p>এবার আসি বইয়ের প্রসঙ্গে । কলুস বইটির ধরন আধিভৌতিক ঘরোয়ানার । আমার সব থেকে পছন্দের ক্যাটাগরি । বইয়ের কাহিনী শুরু হয় অনেক কয়দিন আগে যখন বর্তমান সময়ের মত এতো আধুনিক যন্ত্রপাতি প্রযুক্তি ছিল না <span></span></p><a name='more'></a>। সেই সময়ে অনিরুদ্ধ আর রিফাতের পরিচয় হয় । এবং অনিরুদ্ধের মাধ্যমে রিফাতের সাথে পরিচয় হয় সাধু নারায়ন বাবুর । এটা বলা যায় গল্পের শুরুর একটা অংশ । মুল গল্প শুরু হয় এর কয়েক বছর পরে । যখন রিফাত একজন সরকারি অফিসার হিসাবে চাকরি শুরু করেছে । সেখানেই মূল কাহিনী শুরু হয় । সাধু শিবু এবং তার সঙ্গিনী হোমা বহু বছর ধরে সাধনা করে আসছে বিশেষ কিছু অর্জনের জন্য । যখন সেটা একেবারে শেষ পর্যায়ে এসে যায় ঠিক সেই সময়ে সাধু সঙ্গিনী হোমার সাথে দুর্ঘটনা ঘটে যায় । <p></p><p>তারপর থেকেই গ্রামে ঘটতে থাকে একের পর এক ভয়ানক মৃত্যুর ঘটনা । ভয়ানক ভাবে মারা যেতে থাকে গ্রামের কিছু মানুষ । ভয়ংকর এক কোন অশরীরি যেন প্রবল আক্রষে তাদেরকে মেরে ফেলতে শুরু করে । কিন্তু কেন এই মৃত্যুর ঘটনা ? ধর্ষিতা সেই মেয়েটির লাশ কিভাবে থানা থেকে গায়েব হয়ে গেল কিংবা কে কিভাবে চেয়ারম্যানকে নৃশংস ভাবে মেরে ফেলল যেখানে তার লোকজন পাশের ঘরেই ঘুমাচ্ছিলো । রিফাতের উপর চাপ আসতে থাকে এই খুনের ঘটনা গুলোর দ্রুত সমাধান করার জন্য । </p><p>এমন সময়ে রিফাতের পুরানো বন্ধু অনিরুদ্ধ এসে হাজির হয় বন্ধুর সাথে দেখা করতে । এবং এলাকাতে ঘটে যাওয়া ঘটনা সমূহের কারণে সে বুঝতে পারে যে এটা কোন স্বাভাবিক মানুষের কাজ নয় । অনিরুদ্ধ তাই তার গুরু নারায়ন বাবুকে নিয়ে আসেন । তিনি এই ভয়ংকর ঘটনা গুলোর পেছনের কারণ গুলো উৎঘাটনের চেষ্টা করেন ।</p><p>শেষ পর্যন্ত কি তিনি সক্ষম হোন ? যদি করেই থাকেন তাহলে কিভাবে? আর এই সবের পেছনের কারণ গুলো আসলে কী? সেটা বই পড়ুয়াদের জন্য ছেড়ে দিলাম । </p><p>এবার বই পড়া সম্পর্কে বলি । প্রথম কথা যেটা গত বারের পড়া বইয়ের ব্যাপারে বলেছিলাম যে প্রুফ রিডিংয়ের দিকে বিশেষ নজর দেওয়ার জন্য । এবারের বইতে সেটা বেশ চমৎকার ভাবে করা হয়েছে । তবে দুই তিনটা বানান ভুল আমার চোখে পড়েছে । এবার আসি গল্পের ব্যাপারে । আমি আগেই বলেছি আমার প্যারানরমাল বই পড়া সব থেকে বেশি পছন্দ । সেই হিসাবে এই বইয়ের কাহিনীও আমার কাছে বেশ ভাল মনে হয়েছে । গল্পের বর্ণনা এগিয়ে চলা সব মিলিয়ে গল্প আমার ভাল । সব শেষটা আমার পুরোপুরি মনপুতঃ হয় নি । পড়া শেষ করে একটা কেমন যে অতৃপ্তি রয়ে গেছে । মনে হয়েছে যদি অন্য ভাবে শেষ হত কিংবা আর কিছু হত তাহলে হয়তো আরো ভাল হত । এই বইয়ের আরো সব থেকে চমৎকার দিক হচ্ছে বইতে বর্নীত হিন্দু ধর্মের আচার ব্যবস্থা গুলোর বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে । এবং লেখকের মতে এগুলো সব সঠিক ভাবেই আলোচনা করা হয়েছে । সেই হিসাবে বইটা একই সাথে ফ্যান্টাসীর সাথে সত্যের একটা মেল বন্ধন । </p><p>এই অবশ্য সবার ভাল নাও লাগতে পারে । বিশেষ করে যারা ভৌতিক গল্প পছন্দ করেন না তাদের কাছে হয়তো এই বইভাল লাগবে না । তবে যদি প্যারানরমাল ভৌতিক ঘরোয়ানার বই আপনার ভাল লাগে তাহলে এই বই আপনার ভাল লাগবে কোন সন্দেহ নেই । </p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgO2vxzbd5X0CBzWOUNSzYR_Y8pw2Ec56oBIa1gnML6Rv2w8cLEIzDktCPd4g9GFU_fQlVcSW7lOwo5vtMA-vOfsjgYZFUaMSbeLpNhtFuT3u03iIo0DfbA_V0WouhEogs06O6yYmz430mSUTst7dj47TqsP8-M_gXQfDbesjyMV8x0u6NHDdU6p1ljJpUo/s640/flamingo-5522050_640.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="427" data-original-width="640" height="214" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgO2vxzbd5X0CBzWOUNSzYR_Y8pw2Ec56oBIa1gnML6Rv2w8cLEIzDktCPd4g9GFU_fQlVcSW7lOwo5vtMA-vOfsjgYZFUaMSbeLpNhtFuT3u03iIo0DfbA_V0WouhEogs06O6yYmz430mSUTst7dj47TqsP8-M_gXQfDbesjyMV8x0u6NHDdU6p1ljJpUo/s320/flamingo-5522050_640.jpg" width="320" /></a></div><br /><p></p><p><br /></p><p style="text-align: center;"><span style="color: red;">বইয়ের নাম কলুষ </span></p><p style="text-align: center;"><span style="color: red;">লেখক মহিউদ্দিন মোহাম্মাওদ যুনাইদ</span></p><p style="text-align: center;"><span style="color: red;">কুহক প্রকাশনি থেকে প্রকাশিত</span></p><p style="text-align: center;"><span style="color: red;">মোট পৃষ্ঠা ১২৭, মুদ্রিত মূল্য ৩৮৫ টাকা</span></p><p style="text-align: center;"><br /></p>অপু তানভীরhttp://www.blogger.com/profile/15173362423476261246noreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-8575508514021794233.post-10122740425690957852023-02-14T11:32:00.006-08:002023-09-08T20:06:44.886-07:00পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ জন্ম ও যোনির ইতিহাস <p> জান্নাতুল নাঈম প্রীতির ''জন্ম ও যোনির ইতিহাস'' নিয়ে অনলাইনে তোলপাড় শুরু হয়ে গেছে । পুরো বইয়ের কয়েকটি পাতা ছড়িয়ে পড়েছে চারিদিকে । সেই পাতা গুলোতে প্রীতি খোলাখুলি সেক্সের আলাপ করেছে । ব্যাস চারিদিকে ছিছি পড়ে গেছে । আমি শতভাগ নিশ্চিত যে ১৭৩ পাতার এই বইটা আসলে কেউ পড়েই নি । যা পড়েছে ঐ তিনচার পাতা । <span></span></p><a name='more'></a>আরও ভাল করে বললে কয়েকটা লাইনই কেবল পড়েছে সবাই । বইটা আজকে মেলা থেকেও ব্যান করে দেওয়া হয়েছে । বই না পড়ে বইয়ের ব্যাপারে এই জ্ঞানী গুণীর আলাপ এটা আমার কাছে খুব চমৎকার লাগে । বেশ কয়েক বছর ধরেই এই বোকদো৳%## অনলাইনে ঘটে চলেছে ! <p></p><p><br /></p><p>এই বইটা পড়ার ইচ্ছে আমার ছিল না । কিন্তু আজকে কী মনে করে সারা ধরে এই বইটা পড়ে শেষ করলাম । বইটা ঠিক আত্মজীবনী হয়েছে কিনা আমার সেটা জানা নেই । কারণ আত্মজীবনী বই আমি আগে যা পড়েছি এই বইতে সে সবের খুব একটা বালাই নেই । এখানে লেখিকা নিজের জীবনের কিছু অংশ তুলে ধরেছেন । আরও ভাল করে বললে তার নামে মামল হওয়ার পরে সে কিভাবে পালিয়ে বেড়ালো এবং প্যারিসে গিয়া হাজির হল সেটাই মূল ফোকাস এই বইয়ের । বইয়ের এই অংশটুকু পড়ার সময় আমি কিছু সময় আসলে লেখিকার তখনকার জীবনটা কল্পনা করার চেষ্টা করছিলাম । একবার কল্পনা করে দেখুন ২৫/২৬ বছরের একটা মেয়ের নামে মামলা হয়েছে । কেন মামলা হয়েছে কারণ একজন রাজনৈতিককে নিয়ে সে কিছু লাইণ লিখেছেন ফেসবুকে । সেটা সত্য কি সত্য না সেটা আশা করি আপনারা নিজেরাও ভাল করেই জানেন । কিন্তু কিভাবে একটা রাষ্টযন্ত্র একজন ২৫ বছরের মানুষের পেছনে এভাবে পড়তে পারে? এর থেকে ভয়ংকর ব্যাপার কি হতে পারে কোন কিছু? আমার নামে এমন কিছু হলে আমার অবস্থা যে কী হতে সেটা আমি কল্পনাও করতে পারি না । সেই তুলনাতে এই মেয়ে যে টিকে গেছে এর থেকে বড় আর কিছু হতে পারে না । সত্যই পারে না । </p><p><br /></p><p>বইয়ের একটা চ্যাপ্টারে সে নিজের সেক্স লাইফের কথা লিখেছে । সব মিলিয়ে সম্ভবত ৩ থেকে ৫ পাতা । তার ভেতরে কয়েকটা লাইনে আপনি পাবেন এই শুয়েছিলাম টাইপের কথা । এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই লাইণ গুলো কি মিথ্যা ? মিথ্যা হলে অবশ্যই এই কাজ মোটেই উচিৎ হয় নি । কিন্তু যদি সত্যি হয় তাহলে কি এই কথা বইতে লেখা উচিৎ হয়েছে? প্রশ্ন আসতে পারে কারো প্রাইভেসী এভাবে নষ্ট করা ঠিক কিনা ! আমার কাছে আমি একজনের সাথে যখন আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার শেয়ার করবো, সে আমার কাছে তার ব্যক্তিগত ব্যাপার শেয়ার করবে, তাকে চুমু খাবো কিংবা আরও অন্য কিছু করবো ব্যক্তিগত ভাবে, আমি কোন ভাবেই চাইবো না সেই জিনিস পাব্লিক্যালি আসুক । আমি নিজেও যে কাজ করবো না কখনই । এই বইতে লেখিকা ঠিক একই কাজই করেছেন । সব থেকে মজার হচ্ছে এই বইতে লেখিকা নিজেকে এমন ভাবে তুলে ধরেছেন যেখানে মনে হতে পারে আমি তো এমনিই করেছি কোন অপরাধ নেই কিন্তু ওরা খুব অপরাধ করেছে । এই ব্যাপারটা আরো ভাল করে উদাহরন যদি দেই, ধরুন আমি একটা মেয়েকে মেসেজ দিলাম । সেই মেয়েটি অন্য একটা ছেলেকে মেসেজ দিল । আমাদের দুজনের কথা একই ছিল । এই ব্যাপার লেখিকা লিখবে তানভীর বেটা এতো বদ আমাকে মেসেজ দিছে । আর নিজের বেলাতে লিখবে আমি তো এমনি সময় কাটানোর জন্য মেসেজ দিয়েছিলাম । পুরো বইতে সে এভাবেই নিজেকে তুলে ধরেছে ।</p><p>তারপরেও আত্মজীবনীতে আপনার সাথে ঘটনা সব রকম কাহিনী আপনি লিখতে পারেন । ঠিক বেঠিকের আলাপ না হয় নাই করলাম । এই বইতে আরেকটা খারাপ ব্যাপার হচ্ছে সে অন্য মানুষের ব্যাপারেও একই ভাবে যা ইচ্ছে লিখে গেছে । এখানেও উদাহন যদি দেই তাহলে এভাবে দেওয়া যায় যে আমি ওমুকের সাথে শুয়েছিলাম । ওর আগের প্রেমিকার ওমুকের সাথে শুয়েছে তার এই ছিলো ঐ ছিল এমন ছিল সত্যমিথ্যা জানি না এটা এমন হয়েছে !</p><p>লেখিকা আরেকটা ব্যাপার খুব করে হাইলাইট করেছেন সেটা হচ্ছে তিনি একজন শিল্পী । খুব করে মানুষজনকে দেখানোর চেষ্টা করেছেন দেখো আমি এই খানে আছি, এই বৃত্তি পাই এই আমি খুব প্রতিভাবান । আর দুনিয়ার সকল বিখ্যাত লেখক হচ্ছে তার অতি পছন্দের লেখক । আমি আসলে বলতেই পারি সাদাত হোসেন মন্টো আমার পছন্দের লেখক । যদিও তার লেখা আমি কোন দিন পড়ি নি । আমার কয়েকটা চেপ্টার পড়ার সময়ে কেবল এই মনে হয়েছে । </p><p>তবে সব কিছুর পরেই এই বইয়ের শুরুর দিকটা আমার কাছে সত্য আর বস্তু নিষ্ঠই মনে হয়েছে । একজন নারী আমাদের দেশে কিভাবে জীবন পার করে এটা লেখিকা বেশ ভাল করেই তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন । হ্যা এটা সত্য যে পুরুষজাতির উপরে একটা তীব্র রাগ সেখানে প্রকাশ পেয়েছে তারপরেও যা সে লিখেছে আমার মনে হয় নি তা অসত্য। এই দেশ, এই সমাজ ব্যবস্থা, রাষ্ট্রের নীতি কিংবা দেশে যে অরাজকতা চলছে সে ব্যাপারে লেখা লেখিকার প্রতিটি লাইনে কোন মিথ্যা আপনি খুজে পাবেন না । হ্যা অনেক কিছুই আপনার পছন্দ হবে না কিন্তু আপনি অস্বীকার করতে পারবেন না । </p><p>বই নিয়ে আর কী বলবো । আপনাদের কেবল বলি যে বই পড়ুন । বই পড়ে তারপর সেই বইয়ের ব্যাপারে, সেই বইয়ের লেখিকার ব্যাপারে মন্তব্য করুন। বই না পড়ে দয়া করে বোকদোোচি করবেন না । </p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhYfVWxve3z4OEChhzNYpinA3j8UHK6NkfUVqPuaiEtmKxbqVEBJS2wONcMKDc9i9QT60eNnWMrK9ZPv5pLZqViJgCZSC_1saAQr7pTu5rEZH1YXQC_cuHdoOLyZmf0JubKyBpJDAZG6ZuBxRFv35caEy33-S-VlLWXyxjGmrZrnJHwbCnB8ykNhdb4gpv1/s301/jonmo%20o%20jonir%20itihas.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="301" data-original-width="210" height="301" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhYfVWxve3z4OEChhzNYpinA3j8UHK6NkfUVqPuaiEtmKxbqVEBJS2wONcMKDc9i9QT60eNnWMrK9ZPv5pLZqViJgCZSC_1saAQr7pTu5rEZH1YXQC_cuHdoOLyZmf0JubKyBpJDAZG6ZuBxRFv35caEy33-S-VlLWXyxjGmrZrnJHwbCnB8ykNhdb4gpv1/s1600/jonmo%20o%20jonir%20itihas.jpg" width="210" /></a></div><br /><p><br /></p>অপু তানভীরhttp://www.blogger.com/profile/15173362423476261246noreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-8575508514021794233.post-69040789630397785542023-02-14T10:54:00.003-08:002023-07-24T07:59:29.054-07:00পাঠপ্রতিক্রিয়াঃ দরিয়া-ই-নুর <p>বইটাকে ঠিক উপন্যাস বলা যায় না । এমন কি উপন্যাসিকার বলার ক্ষেত্রেও ছোট হয়ে যায় । সব থেকে ভাল হয় এটাকে বড় গল্প বললে। এই লেখাটি মূলত লেখক লিখেছিলেন ঈদ সংখ্যার জন্য । সেখানে লেখাটি বেশ সমাদৃত হলে লেখক ঠিক করেন যে একই ভাবে কোন পরিবর্তন না করে এটাকে বই আকারে প্রকাশ করবেন । <span></span></p><a name='more'></a><p></p><p><br /></p><p>দরিয়া-ই-নুর বইটির গল্পটি খুব বেশি জটিল না । গল্পের শুরুতে মির্জা আশেক জেল থেকে বের হয় । জেলার সাহেব তাকে নিজে গেটের কাছে এসে পৌছে দেয় । সাধারনত এমন টা হয় না খুব একটা হয় না সেখানে স্বয়ং জেলার কোন কয়েদীকে গেটের কাছে এসে পৌছে দিতে আসে । তবে মির্জা আশেকের জন্য আসে । জেল থেকে বের হয়ে সে চার্লিকে দেখতে পায় আরো দেখতে পায় তার ভালোবাসার মানুষটিকেও । এই ভাবে গল্পের শুরু । গল্প যত এগিয়ে যেতে থাকে মির্জা আশেকের জীবনের একটা পর্ব আস্তে আস্তে সামনে আসতে থাকে । সিনেমার নায়কের মত চেহারা তার । শখও ছিল সিনেমায় অভিনয় করবে । সেখানেই তার পরিচয় হয় দুদু মাস্টারের সাথে । তার কারণেই কাজও জুটে যায় তবে প্রথম কাজ তার জন্য সুফল বয়ে আনতে পারে নি । নায়ক আর হয়ে ওঠে না । অন্য পথ দেখে । এবার তার পরিচয় হয় রোজির সাথে । তবে তার ফলে দুজনকেই বের হয়ে আসতে হয় সিনেমা লাইন থেকে । এতে অবশ্য খুব একটা আপত্তি ছিল না দুজনের কারোই । </p><p><br /></p><p>তবে ঝামেলা যেন পিছু ছাড়ে না তাদের । মায়ের মত আর্জুমান্দ বানুর চিকিৎসার জন্য টাকা জোগার করতে মির্জা ডাকাতির পথ বেঁছে নয় । সফল ভাবে সেটা শেষ করলেও দুর্ভাগ্যের কারণে তাকে জেলে যেতে হয় । তবে সব থেকে বড় ধোকাটা খায় যখন খুব কাছের মানুষ তাকে ধোঁকা দিয়ে ডাকাতির টাকা নিয়ে চলে যায় । </p><p>জেল থেকে ফিরে তাই জীবনকে গুছিয়ে নিতে শেষবারের মত একটা পরিকল্পনা করে । দরিয়া ই নুর নামের এক অতি দামী রত্ন সে চুরি করবে। সোনালী ব্যাংকের ভল্টে যা পড়ে আছে অনেক দিন । সেই দরিয়া ই নুর বিক্রি করতে তার সাহায্য লাগবে । সাহায্যের জন্য পুরানো বন্ধু পাভেলের কাছে গিয়ে হাজির । পাভেলও টাকার পরিমান শুনে রাজি হয়ে যায় । শেষ পর্যন্ত কী সফল হবে মির্জা আশেক নাকি আবারও তাকে যেতে হবে জেলে?</p><p><br /></p><p>গল্প হিসাবে দরিয়া ই নুর বেশ চমৎকার । আমি অন্তত যেভাবে শেষ হবে ভেবেছিলাম তেমন করে শেষ হয় নি মোটেও । যদিও আমার মাঝে একটা ক্ষীণ সন্দেহ বারবার মনে হচ্ছিলো এমন কি হতে পারে কোন ভাবে । তবে যখন ঘটনার মোড় নিতে শুরু করে শেষটা একটু বোঝা যাচ্ছিলো । </p><p>এক বসাতেই পড়ে শেষ করে ফেলার মত বই । </p><p><br /></p><p><span style="color: red;">বইয়ের নাম দরিয়া-ই-নুর</span></p><p><span style="color: red;">লেখক মোহাম্মাদ নাজিম উদ্দিন </span></p><div><br /></div>অপু তানভীরhttp://www.blogger.com/profile/15173362423476261246noreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-8575508514021794233.post-60881283775770745552023-02-06T01:05:00.004-08:002023-07-24T07:59:54.484-07:00পাঠ-প্রতিক্রিয়াঃ অপরাজিতার খোঁজে<p> </p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEikfMdSeqiRcHMmmwbNzURvQ87cXD1xnnOGHjlDi48ufyrAO68z_OaDaVCxoqRsz6p7w4NP_gpHaK8PF2S41dH4JZPu33oTt9uQOAKXWLUEJW4OFQRcqFzFAngxSWyznkLToaasqp3GqszhUXU6NmYd0BwyzcLbRvfvzIFvaA89o5l9sW1UKyY-VId6lQ/s1600/WhatsApp%20Image%202023-02-12%20at%202.46.59%20PM.jpeg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1200" data-original-width="1600" height="357" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEikfMdSeqiRcHMmmwbNzURvQ87cXD1xnnOGHjlDi48ufyrAO68z_OaDaVCxoqRsz6p7w4NP_gpHaK8PF2S41dH4JZPu33oTt9uQOAKXWLUEJW4OFQRcqFzFAngxSWyznkLToaasqp3GqszhUXU6NmYd0BwyzcLbRvfvzIFvaA89o5l9sW1UKyY-VId6lQ/w476-h357/WhatsApp%20Image%202023-02-12%20at%202.46.59%20PM.jpeg" width="476" /></a></div><br />ছোট গল্পের বই আমার সব সময় পছন্দের । আমার কাছে একটা উপন্যাসের বই পড়ার থেকেও দশটি ছোট গল্পের বই পড়াটা বেশি পছন্দের । এইবারের বইমেলা থেকে কেনা বইয়ের ভেতরে প্রথম পড়ে শেষ করলাম অপরাজিতার খোজে বইটি । বইটির লেখিকা একজন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া মেয়ে । বয়সে অনেক ছোট হলেও লেখার হাত তার বেশ ভাল বলা যাবে। বইটিতে মোট ১০টি গল্প রয়েছে । গতকাল সব গুলো গল্প শেষ করেছি । প্রতিটি গল্প নিয়ে আলাদা ভাবে অল্প কয়েকটা কথা বলার চেষ্টা করছি । <span></span><p></p><a name='more'></a><p></p><p><br /></p><p>বইয়ের প্রথম গল্পের নাম লাবণ্য । প্রথম গল্পটা পড়েই আমার মনটা ভাল হয়ে গেল । এমন হয় না কোন বইয়ের প্রথম কয়েকটা লাইণ কিংবা প্রথম একটা পেইজ পড়েই সেই বইটাকে ভাল লেগে যায় এই গল্পটাও ঠিক তেমন। একজন ব্যাচেলর সকাল বেলা অফিস না গিয়ে একটা পুরানো বই নিয়ে বসে । সেই পুরানো বইয়ের ভেতরেই সে একটা চিঠি খুজে পায় । এই চিঠি লেখকের খোজেই সে বের হয় । বুঝতে পারে যে যার বই হয়তো ভুল করে বইটা বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে । নয়তো এতো প্রিয় জিনিস কেউ বিক্রি করতে পারে না । যখন বইয়ের আসল মালিকের কাছে গিয়ে হাজির হয় তখন আসলে শেষ ঘটনা ঘটে । গল্পটা শেষ করে মনটা চট করেই ভাল হয়ে গেল আমার । বিশেষ করে আমার এমন করে ভাবতে ভাল লাগে সব সময় । এমন ভাবে কাছে চলে আসাটা আমার গল্পে খুব হয় । এই কারনেই হয়তো বেশি ভাল লাগলো । </p><p><br /></p><p>বইয়ের আরেকটা গল্প হচ্ছে বাড়ি । গল্পের শুরু খুব স্বাভাবিক আর গতানুগতিক ভাবে , অন্য যে সাধারণ ভুতের গল্পের মত মতই । এবং শেষটাও তেমন ভাবেই । তবে এই গল্পের ভেতরেও কোথাও যেন একটা মায়া লুকিয়ে রয়েছে । গল্পে চরিত্রের মনভাবে আমার নিজের ভেতরে এসে সঞ্চালিত হয়েছে । তারপর একটি আত্মহত্যা পরবর্তী গল্প একটা ডিটেকটিভ গল্প । এটা নিয়ে আলাভাবে কিছু বলার দরকার নেই । একটি মেয়ে ছাদ থেকে পড়ে মারা যায়। প্রাথমিক ভাবে আত্মহত্যা ভাবা হলেও মেয়েটির শিক্ষক যে কিনা আবার একজন শখের গোয়েন্দা সে মাঠে নামে এবং শেষ পর্যন্ত আসল সত্য বের হয়ে আসে । আমি আসলে গল্প শেষ করে বুঝতে পারি নি যে গল্পটা এভাবে শেষ হবে । সেই হিসাবে এটা একটা সফল গোয়েন্দা গল্প সেটা বলা যায়।</p><p>''জোছনা ভেজার দিনগুলি'' গল্পটা বলা যায় এই বইয়ের সব থেকে চমৎকার গল্প । পুরো বইটার নাম যদি এই গল্পটার নাম অনুসারে হত তাহলে ভাল হত । এই গল্পটা একটা যৌথ পরিবারের গল্প । গল্পটা একজন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া মেয়ের জবানিতে বর্ণনা করা হয়েছে । একটা পুরো পরিবারের গল্প । আমাদের খুব পরিচিত একটা গল্প তবুও এই গল্প পড়তে বড় বেশি ভাল লাগে । এই গল্পটা যেভাবে শেষ হয় মনের ভেতরে একটা অচেনা ভাল লাগা কাজ করেছে । এই গল্পের কিছু কিছু দৃশ্যে এমন ভাবে মনে দাগ কেটেছে সেটা আসলে বলে বোঝানোর মত না । </p><p>স্বপনে কিংবা জাগরণে গল্পটার ভেতরে একটা নতুনত্ব রয়েছে । তবে শেষটা আমার কেন জানি পছন্দ হল না । পছন্দ হল না বলতে খারাপ লেগেছে সেটা নয়, গল্পের শেষে সুবিচার পেল না গল্পের চরিত্রটা । অলীক গল্পটা এক নিঃসঙ্গ বৃদ্ধর গল্প । এই মেঘলা দিনে একলা গল্পটা পড়ে শেষ করে বেচার জন্য বেশ হাসলাম মনে মনে । এই রকম একটা বাস্তব ঘটনা মনে পড়লো অনেকদিন আগের । গিনি গল্পটা আরও একটু ভাল হতে পারতো । থিম ছিল চমৎকার কিছু শেষটা আরও ভাল হতে পারতো।</p><p>সর্বশেষ গল্প অপরাজিতার খোঁজে গল্পটা আমি আরও একটু অভিনব আশা করেছিলাম । বিশেষ করে এই বই অনুসারে যেহেতু পুরো বইয়ের নাম করণ করা হয়েছে এই গল্পটা হওয়ার দরকার ছিল সব থেকে চমৎকার । তবে গল্পটা অন্য গল্পের মতই । এই গল্প নিয়ে আলাদা ভাবে কিছু বললাম না । তবে একটা ব্যাপার একটু খটকা লাগলো সেটা হচ্ছে একজন ২৮ বছরের যুবকের আধিপত্য একটু বেশিই অবাস্তব করে তুলে ধরা হয়েছে । আর কয়েক বছর পার হলে এমনটা সম্ভব হত ।</p><p><br /></p><p>সব মিলিয়ে লেখিকার প্রথম বই হিসাবে বইটা আমার ভাল লেগেছে । যারা আমার গল্প পছন্দ করেন তাদের কাছেও বইটা ভাল লাগবে সেই ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই । </p><p><br /></p><p><span style="color: red;">বইয়ের নামঃ অপরাজিতার খোঁজে । </span></p><p><span style="color: red;">লেখিকাঃ সুমাইয়া আমান নিতু</span></p><p><span style="color: red;">মোট ১১২ পৃষ্ঠা । মুদ্রিত মূল্যঃ ৩০০ টাকা </span></p>অপু তানভীরhttp://www.blogger.com/profile/15173362423476261246noreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-8575508514021794233.post-63105281275435017242022-12-06T22:30:00.005-08:002023-07-24T08:00:46.011-07:00বিফোর দ্য কফি গেটস কোল্ডঃ টেলস ফ্রম দ্য ক্যাফে<p> যদি আপনি জানতে পারেন যে আপনার শহরেই এমন এমন একটা ক্যাফে আছে যেখানে গিয়ে আমি অতীতে গিয়ে ঘুরে আসতে পারবেন তাহলে আপনার মনভাব কেমন হবে? এমন যদি কিছু সম্ভব হয়ে থাকে তাহলে অতীতে গিয়ে আমি যে কয়টা প্রেম করেছি সব গুলোকে প্রোপোজ করার আগে নিজেকে সংশোধন করে আসতাম। জীবনে অনেক প্যারা কমে যেত । আমাদের জীবনে এই রকম কত ঘটনা থাকে যা করার পরে আমাদের মনে হয় যে যদি ভুলটা বদলানো যেত তো, যদি আমি অতীতে যেতে পারতাম তাহলে হয়তও এই ভুলটা ঠিক করে নিতে পারতাম । এই রকম একটা কফি হাউজ আছে জাপানে যেখানে মানুষ সত্যিই চলে যেতে পারে অতীতে । এমনই এক কিংবদন্তী চালু আছে সেখানে । টেলস ফ্রম দ্য<span></span></p><a name='more'></a> ক্যাফে গল্পের কাহিনীটা ঠিক এই রকমই । বইটা এই সিরিজের দ্বিতীয় বই । প্রথম বইটা <a href="https://oputanvir.blogspot.com/2022/04/blog-post_9.html" target="_blank">বিফোর দ্য কফি গেটস কোল্ড</a> এর ঠিক পরের পর্ব বইটা । প্রথম বইয়ের মত এই বইতে মানুষ এসে হাজির হয় ক্যাফেতে অতীতে কিংবা ভবিষ্যতে যাওয়ার জন্য ।<p></p><p><br /></p><p>বইতে মানুষ সত্যিই যেতে পারে সময় ভ্রমনে । এমন একটা গল্প চালু হলে মানুষজনের তো ভীড় উপচে পড়ার কথা সব সময় । তবে অতীত ভ্রমনের কিছু বিদঘুটে নিয়ম রয়েছে ক্যাফেতে । এই নিয়ম গুলো শোনার পরে মানুষজন আর আগ্রহবোধ করে না । কী সেই নিয়ম গুলো ?</p><p><br /></p><p>প্রথম নিয়মটা হচ্ছে অতীত কিংবা ভবিষ্যৎ ভ্রমন করলে আপনি যাই করেন না কেন সেটা আপনার বর্তমানের উপর কোন প্রকার প্রভাব ফেলবে না । ধরুন আপনার কোন বন্ধু এক্সিডেন্ট করে মারা গেল । আপনি অতীতে গিয়ে তাকে সাবধান করলে যে এই সময়ে সে এক্সিডেন্ট করবে, তাহলেও সে কিন্তু রক্ষা পাবে না । সে মরবেই । এই নিয়মটা জানার ফলেই মানুষ অতীত ভ্রমনের ব্যাপারে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে । যদি অতীতে গিয়ে কেউ অতীতকে বদলানোই না গেল তাহলে অতীতে গিয়ে লাভই বা কী ! </p><p>এরপরের নিয়মটা আরো বিদঘুটে । আপনি অতীতে গিয়ে কোন ভাবেই ক্যাফে থেকে বের হতে পারবেন না । এমন কি আপনি যে নির্দিষ্ট চেয়ারে বসে অতীতে যাবেন, সেখান থেকেও উঠতে পারবেন না । চেয়ার থেকে উঠলেই আপনি ফিরে আসবেন বর্তমানে । এবং এরই ফলে আপনি এমন কারো সাথে দেখা করতে পারবেন না যারা এই ক্যাফেতে আসে নি । অর্থ্যাৎ আপনার অতীত ভ্রমন কেবল মাত্র এই নির্দিষ্ট ক্যাফের ভেতরেই সীমাবদ্ধ থাকবে । যারা অতীতে এই ক্যাফেতে এসেছে কেবল তাদের সাথেই আপনার দেখা হবে, কথা হবে যে কোন জিনিস দেওয়া যাবে, নেওয়া যাবে ছবি তোলা যাবে ভিডিও করা যাবে । </p><p>একটা মাত্র নির্দিষ্ট চেয়ারে বসেই আপনি কেবল সময় ভ্রমন করতে পারবেন । তবে সেই চেয়ারে একজন অশরীরি আত্মা সব সময় বসে থাকে । তাকে আপনি কোন ভাবেই উঠে যেতে বলতে পারবেন না । দিনের কেবল একটা সময়ই সে চেয়ার ছেড়ে উঠে যায় ওয়াশরুমে । সেই সময়ে আপনি গিয়ে বসতে পারবেন চেয়ারে । সেই সময়টা কখন তা কেউ জানে না । এবং কেবল মাত্র একজন আপনাকে কফি পরিবেশন করলেই আপনি যেতে পারবেন অতীত কিংবা ভবিষ্যতে । তবে নিয়ম হচ্ছে কফি ঠান্ডা হয়ে যাওয়ার আগেই আপনাকে সেই কফি শেষ করে চলে আসতে হবে অতীত হতে । কফি ঠান্ডা হয়ে যায় তাহলে আপনি মারা যাবেন । অর্থ্যাৎ আপনার হাতে সময় খুব বেশি নেই । অল্প কিছু সময়ের জন্য আপনি অতীত কিংবা ভবিষ্যৎ ভ্রমন করতে পারবেন । ও হ্যা আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম হচ্ছে একজন মানুষ জীবনে কেবল একবারই অতীটে ভ্রমন করতে পারবে । </p><p><br /></p><p>এই এতো এতো নিয়ম দেখে মানুষ আর আগ্রহ করে না অতীতে যাওয়ার । তবে তার পরেও কেউ কেউ গিয়ে ঠিকই হাজির হয় অতীতে । এই রকম চারজনের গল্প নিয়ে এই বইটা । আগের বইতেও চারটা গল্প ছিল । এই বইতেও যুক্ত হয়ে চারটা গল্প । একজন অতীতে গিয়ে হাজির হয় তার ২২ বছর ধরে মৃত বন্ধুর সাথে দেখা করতে, অন্যজন গিয়ে হাজির হয় তার মায়ের সাথে কথা বলার জন্য । আরেকজন অতীতে নয়, ভবিষ্যতে যায় তার প্রেমিকার সাথে কথা বলতে । সর্ব শেষ জন একজন ডিটেকটিভ, সে ত্রিশ বছর পেছনে গিয়ে হাজির হয় তার মৃত স্ত্রীকে একটা উপহার দেওয়ার জন্য । আসলে এগুলো কোন সময় ভ্রমনের গল্প না । গল্প গুলো মানুষের জীবনের গল্প । চারজন মানুষের জীবন কিভাবে কাটছে তারা কাকে কিভাবে ভাল বাসে কিভাবে জীবনে এগিয়ে চলেছে তাদের আশা আকাঙ্খা কিংবা জয় পরাজয়ের গল্প এগুলো । শেষবারের মত নিজের মানুষের সাথে দেখা করার একটা স্পিহার গল্প । সময় ভ্রমন বলতে আমরা সাধারণ সায়েন্স ফিকশনই বুঝি কিন্তু এটা কোন ভাবেই সায়েন্স ফিকশন নয় । টেকনিক্যাল কোন ব্যাপার নেই বইতে । তবে বইটা শেষ করে নিজের মাঝে একটা প্রশান্তি অনুভব করতে পারবেন ঠিকই । </p><p><br /></p><p>প্রথম পর্বটা আগে পড়তে হবে । তারপর এই দ্বিতীয় বইটা পড়বেন। তাহলে বেশি উপভোগ্য হবে ।</p><p><br /></p><p><span style="color: red;">বইয়ের নাম বিফোর দ্য কফি গেটস কোল্ডঃ টেলস ফ্রম দ্য ক্যাফে ।</span></p><p><span style="color: red;">লেখক তোশিকাযু কাওয়াগুচির । </span></p><p><span style="color: red;">অনুবাদ করেছেন সালমান হক ।</span></p><div><br /></div>অপু তানভীরhttp://www.blogger.com/profile/15173362423476261246noreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-8575508514021794233.post-12305991631473675922022-12-02T22:40:00.006-08:002023-07-24T08:01:14.150-07:00ইফ ক্যাটস ডিসাপিয়ার্ড ফ্রম দ্য ওয়ার্ল্ড<p>একবার চিন্তা করেন তো ব্যাপারটা?</p><p>আপনি সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলেন যে পৃথিবী থেকে বেড়াল গায়েব হয়ে গেছে ! কেমন হবে ব্যাপারটা? যারা হয়তো বেড়াল পছন্দ করেন না তাদের কাছে মনে হয় ভালই হবে কিন্তু যাদের পোষা বেড়াল রয়েছে কিংবা যারা বেড়াল পছন্দে করেন তাদের কাছে মোটেই ব্যাপারটা ভাল হবে না । আবার ধরেন কেবল বেড়াল না অন্য যে কোন একটা জিনিস একেবারে গায়েব হয়ে গেল তখন ব্যাপারটা কেমন হবে? ব্লগ জিনিসটা গায়েব হয়ে গেল পৃথিবী থেকে । কোন দিন যেন ব্লগ বলে কিছু ছিলই না এমন ! তখন ব্যাাপরটা কেমন হবে? মানুষের জীবন চলবে ঠিকই কিন্তু কেবল সেখানে ব্লগ বলে কিছু থাকবে না । কিংবা কোনদিন ছিলও না এমন একটা ব্যাপার হবে । <span></span></p><a name='more'></a><p></p><p><br /></p><p>ইফ ক্যাটস ডিসাপিয়ার্ড ফ্রম দ্য ওয়ার্ল্ড বইটা জাপানিজ লেখক গেনকি কাওয়ামুরার প্রথম বই । বইটা প্রকাশের সাথে সাথে খুব সাড়া পড়ে যায় পুরো জাপান জুড়ে । পরে আরও বেশ কয়েকটি ভাষাতেই অনুবাদ প্রকাশ হয় । বইয়ের কাহিনীটাও বেশ চমৎকার । অনেকদিন পরে কোন বই একবসাতেই পড়ে শেষ করতে পারলাম । </p><p><br /></p><p>মাত্র ত্রিশ বছর বয়স্ক বইয়ের নায়ক জানতে পারে যে তার হাতে আর খুব বেশি সময় নেই । ব্রেন টিউমার হয়েছে । ডাক্তার জানিয়ে দিয়েছে যে খুব বেশি সময় নেই । বড়জোর সে আর ৬ মাস বাঁচবে । হঠাৎ করেই যুবকের কাছে সব কিছু অর্থহীন মনে হল । অবশ্য এমনটা হওয়াটা খুব বেশি অস্বাভাবিক নয় । আপনি যদি জানতে পারেন যে আপনি আর কদিন মাত্র বাঁচবেন তখন আপনার কাছে এই দুনিয়ার সব কিছুই অর্থহীন মনেভবে । </p><p><br /></p><p>অবশ্য যুবকের জীবনে খুব বেশি কিছু নেই ও । তার মা মারা গেছে তিন বছর আগে । বাবার সাথে তার কথা হয় না আরও অনেক আগে থেকেই । প্রেমিকার সাথে ব্রেক হয়ে গেছে । নিজের বলে যুবকের কেবল আছে একটা বেড়াল । এই ছাড়া আর কিছুই নেই তার জীবনে । সে মারা গেলেও আসলে কিছু যায় আসে না । সে ঠিক করলো যে মরার আগে একটা বাকেট লিস্ট তৈরি করলো । এই কাজ গুলো সে করতে চায় মরার আগে । কিন্তু এক সময়ে বুঝতে পারে যে এই সব কিছুই সে চায় না । </p><p>এই সময়ে যুবকের সাথে দেখা হয় তার মতই চেহারার একজনের সাথে । মূলত এই তার মত চেহারার মানুষটা হচ্ছে শয়তান । সে তার কাছে আসে একটা অফার নিয়ে । সে প্রথমে জানায় যে ছয় মাস নয়, আগামীকালই সে মারা যাবে । তবে এই যুবক চাইলে শয়তান তাকে জীবন দান করতে পারে । কিন্তু বিনিময়ে তাকে এই পৃথিবী থেকে একটা জিনিস গায়েব করতে হবে । একটা দিনের আয়ুর বিনিময়ে একটা জিনিস পৃথিবী থেকে উধায় করে দিতে হবে । যুবক প্রথমে ঠিক করে যে পুরো পৃথিবী থেকে মোবাইল ফোনটা গায়েব করে দিবে । কিন্তু ফোন গায়েব করার আগে একটা শেষ ফোন সে করতে পারে । যুবক তার প্রাক্তন প্রেমিকাকে ফোন করে এবং পরের দিন দেখা করতে চায় । সকালে উঠে যুবক খেয়াল করে যে তার সেলফোনটা আর নেই । পুরো দুনিয়া থেকে গায়েব হয়ে গেছে সেলফোন । যুবক যখন বাইরে বের হল বাসের ভেতরে দেখা গেল আগের মত মানুষজন আর নিজের ফোনের ভেতরে ডুবে নেই । কেউ হয়তো বই পড়ছে কিংবা কেউ হয়তো বাইরের দৃশ্য দেখছে । ঠিক মোবাইল ফোনের আগের যুগে চলে গেছে । </p><p>এইভাবে পরের দিন সে গায়েব করে দেয় সকল মুভি । তারপর ঘড়ি । যখন পছন্দের বেড়াল টা গায়েব করে দিতে বলে শয়তান তখন যুবক বেঁকে বসে । কিন্তু তার জীবনের থেকে বেড়ালের জীবন তো কোন ভাবেই বড় নয় । শেষ পর্যন্ত কী আসলেই বেড়াল গায়েব করে নিজের আয়ু আরও একটা দিন বাড়িয়ে নেয় সে ?</p><p>শেষ টুকুর না হয় নাই বললাম । এটা বই পড়ে জানতে পারবেন ! </p><p><br /></p><p>এমন কিছু বই থাকে না যার কাহিনী এমন আহামরি কিছু নয়, কোন টুইস্ট নেই, সাধারণ কাহিনী নিয়ে লেখা তারপরেও বই গুলো পড়ে মনের ভেতরে আলাদা একটা ছাপ পড়ে । এই বইটাও ঠিক এমন । বইটা পছন্দ হওয়ার আরেকটা কারণ হচ্ছে বইয়ের যুবকের সাথে আমার নিজের একটা মিল খুজে পেয়েছি আমি । </p><p><br /></p><p><br /></p><p><br /></p>অপু তানভীরhttp://www.blogger.com/profile/15173362423476261246noreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-8575508514021794233.post-78616690158473874382022-10-17T00:33:00.004-07:002023-07-24T08:01:32.671-07:00পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ জাপান সিংকস<p>দেখবেন আমাদের জীবনে এমন সব মানুষ আসবে যাদের দুর থেকে দেখে অন্য রকম মনে হবে । কিন্তু যতই আপনি তাদের কাছ থেকে দেখতে শুরু করবেন, তাদের ভেতরটা জানতে শুরু করবেন ততই তাদের উপর থেকে আপনার মন উঠে যাবে । ওয়েল এমন কেবল মানুষই না, আরও অনেক কিছু আছে । যেমন বই । একটা বই হাতে নিয়ে কিংবা ফ্ল্যাপের লেখা পড়ে আপনার মনে হবে যে ভেতরের কাহিনীটা কতই না চমৎকার হবে । কিন্তু যতই আপনি বইটা পড়া শুরু করবেন ততই<span></span></p><a name='more'></a> আপনি বুঝতে পারবেন যে বড়ই বেহুদা একটা বই পড়ছেন । সাকিও কোমাৎসুর লেখা জাপান সিংকস বইটাও আসলে তেমনই । বইয়ের ফ্ল্যাপে লেখা অংশ টুকু পড়ে মনে হয়েছিল যে খুবই চমৎকার একটা বই হতে যাচ্ছে । বইয়ের কাহিনী হচ্ছে একটা দ্বীপ রাতারাতি পানিতে ডুবে যায় । এরপর একের পর এক ভূমিকম্প হয়ে একের পর এক দ্বীপ ডুবে যেতে থাকে । বিজ্ঞানী রিসার্চ টিম খোজ খবর করে বের করে যে আর কিছু দিনের ভেতরেই জাপান ডুবে যাবে সাগরে । এবং সত্যিই ডুবে যায় । এই হচ্ছে কাহিনী । <p></p><p>এই রকম বইয়ের কাহিনী বইতে পড়তে খুব বেশি যুতসই মনে হয় না আমার কাছে । এগুলো মুভিতে দেখতে ভাল লাগে । ২০১২ মুভিটা অনেকে দেখেছেন । অথবা এমন হতে অনুবাদক আসলে যুতসই অনুবাদ করতে সক্ষম হয় নি । আমি বড় বিরক্ত হয়েই বইটা শেষ করেছি । একই শিরোনামে একটা এনিমেটেড টিভি সিরিজ দেখা যাচ্ছে নেটফ্লিক্সে । দেখা যাক সেটা কেমন হয় ! </p>অপু তানভীরhttp://www.blogger.com/profile/15173362423476261246noreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-8575508514021794233.post-54947686008727827532022-10-03T11:01:00.004-07:002023-07-24T08:01:50.583-07:00পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ সত্যটা মিথ্যা <p> সত্যটা মিথ্যা বইটা রেজা সিরিজের তৃতীয় বই । সাদাত হোসাইনের অন্যান্য বইগুলো থেকে এই রেজা সিরিজের বই গুলো আমার পড়তে ভালই লাগে । এর প্রধান কারণ হচ্ছে অন্যান্য বইগুলোতে যে অতিরিক্ত প্যাঁচাল থাকে রেজা সিরিজের বই গুলোতে সেসব কম থাকে । তবে এই তৃতীয় বইটা পড়তে গিয়ে মনে হয়েছে যে একজন লেখক আসলে নিজের লেখার অভ্যাস এবং ধরন থেকে কোন ভাবেই বের হয়ে আসতে পারেন না ।</p><span><a name='more'></a></span><p><br /></p><p>বনগিরি মানের নামের এক ছোট্ট পাহাড় ঘেরা শহরে রেজার পোস্টিং । এখানে মাদকের আখড়া । অনেক দিন থেকে এক ড্রাগ লেডি এই মাদকের চ্যানেলটাকে নিয়ন্ত্রন করে আসছে । পুলিশ তার কিছুই করতে পারছে না । আতাউর রহমান মিলা ফার্মেসীর মালিক । অনেক দিন থেকেই এই বনগিরিতে আছেন । লোকে তাকে মান্য করেন সম্মান করেন । কারণ বিপদে আপদে এই আতাউর রহমানই সবার সেবা করে থাকেন । একবার থানার ওসি সাহেবের হার্ট এটাক হওয়ার সময় এই আতাউর রহমান সময় তার চিকিৎসা করেছিলো এবং তাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলো বলে ওসি সাহেবের আতাউর রহমানের প্রতি আলাদা একটা সফট কর্নার আছে । একদিন ফার্মেসী থেকে ফেরার পথে আতাউর রহমানের উপরে হামলা হল । কেউ তাকে খুন করতে চাইলো । কিন্তু কপাল গুনে রক্ষা পেল সে । রেজার কাছে সে রিপোর্ট করতে গেলে নানান জিনিস তথ্য বের হয়ে এল । </p><p><br /></p><p>জানা গেল যে এলাকা বখাটে রবিন তার মেয়েকে খুব ডিস্টার্ব করে । রেজার মনে হল যে রবিন এই কাজ করলেও করতে পারে । বেশ ভাল রাজনৈতিক ব্যক আপ আছে তার । আগে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িতো ছিল তবে বর্তমানে কোন একটিভ কেস নেই রবিনের নামে । </p><p>অন্য দিকে আতাউর রহমানের ফার্মেসীতে কাজ করা রাহীকে কে বা কারা কিডন্যাপ করে নিয়ে গেল । তাকে কিডন্যাপও করা হল বড় অদ্ভুত ভাবে । ফার্মেসীতে গিয়ে প্রথম দর্শনে মনে হবে যেন তাকে কেউ গলা কেটে হত্যা করেছে । তারপর লাশ নিয়ে গেছে । কিন্তু দেখা গেল যে রক্ত আসলে মানুষের না, কুকুরের । পুলিশকে ঘোল খাওয়ানোর জন্য এমনটা করা হয়েছে । </p><p>ফার্মেসীতে খোজ করতে গিয়ে মেয়াদউত্তীর্ণ ঔষধ পাঔয়া গেল । এবং পরীক্ষা করে দেখা গেল যে ঐ ঔষধের ভেতরে আসলে মাদক রয়েছে । একটু চাপ দিতেই আতাউর রহমান সব বলে দিল । সে জানালো যে সে ড্রাগ লেডি রুবির সাথে মিলে এই এলাকাতে মাদকের সাপ্লাই চেইন রক্ষা করে চলেছে । সে আসলে বাধ্য হয়ে এই কাজ করেছে । তার অন্য কোন উপায় ছিল না । রাহী আসলে রুবীরই লোক । তার উপরে চোখ রাখার জন্য রাহী এখানে ছিল । কিন্তু রাহীর চোখ তার মেয়ে মিলার উপরে পড়ে তাতে সে রেগে যায় এবং তাদের ভেতরে সম্পর্ক নষ্ট হয় । পরে রাহীই আতাউর রহমানকে হত্যা করতে চায় । এছাড়া হত্যা করতে চাওয়ার আরেকটা কারণ হচ্ছে আতাউর রহমান রবিনের সাথে হাত মিলিয়ে রুবির সকল প্লান তাকে বলে দেওয়ার কথা দিয়েছে । </p><p><br /></p><p>রেজা আতাউর রহমানকে গ্রেফতার করতে চাইলে ওসি রেজাকে বাঁধা দেয় । বলে যে আতাউর রহমান যা করেছে বাধ্য হয়ে করেছে । এখন তাকে গ্রেফতার করার দরকার নেই । কিন্তু একদিন আতাউর রহমান বাসা থেকে গায়েব হয়ে যায় । ঠিক তার আগের দিন রবিন এসেছিলো তাদের বাসায় । সিকু নামের রবিনের এক চেলা মিলাকে ডিস্টার্ব করতো । তার কথা জানতে পেরেছিলো মিলার কাছ থেকে । রবিন সিকুর খোজে বের হয় । তারপর থেকে সেও গায়েব । তার কোন খোজ নেই । </p><p><br /></p><p>শেষ পর্যন্ত আসলে গল্প কোন দিকে গেল ? ড্রাগ লেডি রুবি কি ধরা পরলো? কিভাবে সে পুরো এলাকাতে নিজের ড্রাগ ব্যবসা চালু রেখেছিলো পুলিশের ধরা ছোঁয়া বাইরে ? আতাউর রহমান গেল কোথায় আর রবিনই বা গেল কোথায় ?</p><p>আতাউর রহমানের গায়েব হওয়ার পরে খালা আর মামার পরিচয়ে মিলাকে যে নিয়ে গেল পরে জানা গেল যে আতাউর রহমানের বউয়ের কোন ভাইবোন এই দেশে ছিল না । তাহলে খালা মামার পরিচয়ে মিলা কাদের সাথে গেল আর কেনই বা গেল?</p><p><br /></p><p>মোটামুটি এই হচ্ছে গল্প । গল্পের প্রথম যে সমস্যা আমার কাছে মনে হয়েছে তা হচ্ছে গল্পের যে স্থানের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে । আমি পাহাড়ি এলাকাতে মোটামুটি গিয়েছি । লেখক যে বনগিরির কথা বলেছেন আমার কাছে মনে হয়েছে সেটা আমাদের পরিচিত কোন মফস্বল শহর কেবল সেখানে পাহাড় এনে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে । লেখক যদি আরও একটু খোজ খবর নিতেন তাহলে বুঝতে পারতেন যেন বাংলার পাহাড় ঘেরা শহর গুলোর চিত্র একটু ভিন্ন রকম । </p><p><br /></p><p>গল্পের সংলাপ গুলো বারবার পড়তে গিয়ে আমার মনে হচ্ছিলো যেন বড় মেকি মেকি ভাব । মানে অনন্ত জলিলের অভিনয় আপনাদের কাছে যেমন লাগে, আমার কাছে রেজার সংলাপ আতাউর রহমানের সংলাপ পড়তে গিয়ে বারবার কেবল মনে হচ্ছিলো পাহাড় এলাকার একটা শহর সেখানে মানুষজন এভাবে কেন কথা বলবে? বলতে গেলে প্রতিটি সংলাপই বড় মেকি মনে হয়েছে শুধু !</p><p><br /></p><p>আর উপরেই বলেছি কোন লেখকই আসলে নিজের আসল লেখার ধরন থেকে বের হতে পারে না । এই বইতেও তাই ঘটেছে । বইটা আরও কিছু ছোট হলেই বুঝি ভাল হত । বাহুল্য আমার কোন কালেই পছন্দ ছিল না । </p><p>বইতে একটা স্থানে রবিনের জায়গাতে রাহীর নাম চলে এসেছে । পরবর্তি সংস্করনে এই ভুলটা ঠিক করে নেওয়ার অনুরোধ রইলো । </p><p>সাদাত হোসাইন পছন্দ করলে বই পড়তে পারেন । নয়তো পড়ার দরকার নেই ।</p><p><br /></p><p><span style="color: red;">বইয়ের নাম সত্যটা মিথ্যা </span></p><p><span style="color: red;">লেখক সাদাত হোসাইন </span></p><p><span style="color: red;">১৭৫ পেইজের বই । মূল্য ৪০০ টাকা</span></p>অপু তানভীরhttp://www.blogger.com/profile/15173362423476261246noreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-8575508514021794233.post-53539663296292083342022-08-07T11:13:00.006-07:002023-07-24T08:02:13.196-07:00পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ জিন<p>বইটার ব্যাপারে কেবল বলতে পারি যে বইটা একই সাথে অখাদ্য এবং ইন্টারেস্টিং । অখাদ্য বলছি কারণ হচ্ছে লেখকের লেখার হাত খুবই কাঁচা । কাঁচা মানে লেখকের লেখার গুণটাকে আমাদের অনন্ত জলীলের সাথে তুলনা করা যায় । বইতে অতিরিক্ত আর অপ্রয়োজনী কথা বার্তা দিয়ে ভর্তি । এমন সব দৃশ্যের বর্ণনা করা হয়েছে যার কোন দরকারই নেই । এমন বেহুদা তথ্যের সমারোহ করা হয়েছে যার কোন প্রয়োজন ছিল না । কিন্তু তারপরেও বইটা আমি আগ্রহ নিয়ে পড়া শেষ করেছি কারণ বইটার প্লটটা চমৎকার । এক জন দুর্নীতিবাজ এমপির বাচ্চা জন্ম দেওয়ার ক্ষমতা নেই । সে একজন মেয়েকে দত্তক নিয়ে আসে । তারপর থেকেই এমপির বউয়ের উপরে ভয়ানক বিপদ নেমে আসে । পরিবারের সকল মানুষের সাথে নানান অদ্ভুত সব কাজ কর্ম হতে থাকে । তারপর একজন জানা যায় কেউ ভয়ানক এক কালো জাদু<span></span></p><a name='more'></a> করেছে এমপি সাহেবের বউয়ের উপরে । শয়তানের সাথে চুক্তি করে বিপদ ডেকে নিয়ে এসেছে । জাফর নামে এক অদ্ভুত চরিত্রের ডাক্তার আসে চিকিৎসা করতে । এবং শেষ পর্যন্ত সব কিছু ঠিক করে ফেলে । আসল রহস্যও উদ্ধার করে ফেলে ।<span></span><p></p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiDof8nYjbvJ38vLl_00LlnLZlA0RfeE7N2iWIum8JoY-2OTEX95NgY1h-4u24v8sv2evVuqJ8fLT0-3RWL9ysdnv9PK5nnURRneZckLr7qAl_XKdcSaItFbXXhYCLEzo5gJ-_h9WCghNOxuQckigNxDrPZ-QncG_w0pvGK-oX02doCpmexVEom4wMvoA/s2048/297997133_755621832153882_5883275049667969780_n.jpg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="2048" data-original-width="1536" height="320" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiDof8nYjbvJ38vLl_00LlnLZlA0RfeE7N2iWIum8JoY-2OTEX95NgY1h-4u24v8sv2evVuqJ8fLT0-3RWL9ysdnv9PK5nnURRneZckLr7qAl_XKdcSaItFbXXhYCLEzo5gJ-_h9WCghNOxuQckigNxDrPZ-QncG_w0pvGK-oX02doCpmexVEom4wMvoA/s320/297997133_755621832153882_5883275049667969780_n.jpg" width="240" /></a></div><br /><p><br /></p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><div class="separator" style="clear: both; text-align: left;">বইটা ৩৩৩ পেজের লম্বা একটা বই । কিন্তু এটা যদি কোন সুলেখক লিখতেন তাহলে বইটাকে ৫০ পেইজের একটা বড় গল্পেই শেষ করে ফেলতেন । আমি অতিপ্রাকৃত গল্প পছন্দ করি বলেই বইটা পড়ে শেষ করেছি । অন্য কেউ হলে লেখককে যে কতবার গালি দিতো ! </div><div class="separator" style="clear: both; text-align: left;"><br /></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: left;">ছোট একটা উদাহরন দিই তাহলে লেখকের লেখা সম্পর্কে একটা ধারণা পাবেন । ধরুন বর্ণনা দেওয়া কথা দোকান থেকে একটা মোবাইল কিনতে গেলাম । সেই বর্ণনায় কী লিখবো, ''দোকানে গিয়ে একটা নতুন মোবাইল কিনে নিয়ে এলাম। সীম কার্ড লাগিয়ে ফোন দিলাম তোমাকে।''</div><div class="separator" style="clear: both; text-align: left;">আর এই লেখক সেটা বর্ণনা দিবে - ''আমি দরজা খুলে রাস্তায় বের হলাম। তারপর সামনের দোকানে গেলাম । সেখান থেকে একটা নোকিয়া ১২শ মডেলের ফোন কিনলাম । ফোন কিনে ফোনের পেছন পাশ খুললাম । ব্যক পার্টটা এক হাতে রাখলাম । তারপর পকেট থেকে সীম কার্ড বের করলাম । কার্ডটা মোবাইলের সীম স্লটে ঢুকালাম । তারপর আবার ব্যক পার্ট লাগালাম । তারপর মোবাইল চালু করলাম । তারপর তোামকে কল দিলাম !;;</div><div class="separator" style="clear: both; text-align: left;"><br /></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: left;">পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা এই রকম বেহুদা বর্ণনা দেওয়া । আর আরেকটা বিরক্ত ব্যাপার যে বইতে হাদিস দিয়ে ভর্তি করে ফেলা হয়েছে । একটা ফিকসন বইতে মানুষ এতো এতো হাদিস দিয়ে ভরিয়ে ফেলতে পারে তা আমার এই বই পড়লে জানা ছিল না । সত্যি বলতে এই বই সম্পর্কে আর ভাল কিছু আমি বলতে পারছি না । তবে আমি বইটা শেষ পর্যন্ত পড়েছি যে শেষে আসলে কিভাবে তারিনকে রক্ষা করা হয় সেটা জানার জন্য এবং কেনই বা তার পেছনে জিন লেলিয়ে দেওয়া হল, কেন দেওয়া হল সেটা জানার জন্য । আগেই বলে আমার অতিপ্রাকৃত ভৌতিক গল্পে আগ্রহ আছে তাই আমি শেষ পর্যন্ত গিয়েছি । আপনি যেতে পারবেন কিনা সেই বিষয়ে আমার সন্দেহ আছে !</div></div>অপু তানভীরhttp://www.blogger.com/profile/15173362423476261246noreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-8575508514021794233.post-48527877148069090242022-06-17T23:05:00.004-07:002023-07-24T08:02:26.944-07:00বাসি বকুলের ঘ্রাণ<p></p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEg5FpK4lP7yj8m5g6fnGyA6a7SEJAY67jv1FSveFwpSJtC0Qn_1jtxpc1OwbiKmYpq1DwTWCa8B8vguAa7HiiU9kstJOIhapFyITy9JN6ntYSDBr3j4STyLreQWLRB0lDuGjsfsWd5jZMwyOLID4bgCzGV8rB937jACuBZgWSU6kEUH1q1yKx_s_em5bw/s2048/289051174_723177602064972_8170309171053225229_n.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="2048" data-original-width="1536" height="320" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEg5FpK4lP7yj8m5g6fnGyA6a7SEJAY67jv1FSveFwpSJtC0Qn_1jtxpc1OwbiKmYpq1DwTWCa8B8vguAa7HiiU9kstJOIhapFyITy9JN6ntYSDBr3j4STyLreQWLRB0lDuGjsfsWd5jZMwyOLID4bgCzGV8rB937jACuBZgWSU6kEUH1q1yKx_s_em5bw/s320/289051174_723177602064972_8170309171053225229_n.jpg" width="240" /></a></div><br />১. <p></p><p>চিঠি আমাদের জীবনের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ । বর্তমান সময়ে মানুষ এই কাগজে লেখা চিঠির সাথে সম্পর্ক একেবারে শেষ করে দিলেও ইলেক্ট্রনিক চিঠির সাথে সম্পর্কে টিকে আছে বেশ ভাল ভাবেই । প্রিয় মানুষটিকে মনের কথা টুক করে জানিয়ে দেওয়া যায় সহজেই । কিন্তু আগে মানুষ চিঠি লিখতো তারপর সেটা প্রিয় মানুষের কাছে পাঠিয়ে অপেক্ষা করতো দিনের পর দিন । ঠিক মত চিঠি পৌছালো কিনা, সেই চিঠি সঠিক হাতে গেল কিনা অন্য কেউ পড়ে ফেললো কিনা ! কিন্তু যদি চিঠির ঠিকানাই ভুল হয় ? একজনের চিঠি গিয়ে হাজির হয় অন্য জনের কাছে ? উড়ো চিঠির গল্পটাও ঠিক এমনই । হলের ভুল বিল্ডিংয়ের ঠিকানাতে চিঠি আসে শোয়েব নামের এক ক্যাডেটের । কত আবেগ দিয়ে সে চিঠি লিখেছে তার<span></span></p><a name='more'></a> প্রিয় মানুষটিকে অথচ সেই চিঠি পৌছিয়েছে ভুল মানুষের দরজায় ! <p></p><p><br /></p><p>গল্প পড়ে আমার মনে বড় ইচ্ছে হল যে শোয়েব কি অবশেষে তার আসল মুনিরার কাছে যেতে পেরেছিলো? আমার গল্প হলে দেখা যেত যে ক্যাডেট শোয়েবের সাথে অন্য মুনিরার একটা প্রেম হয়ে গিয়েছে । কিন্তু বাস্তব তো আমার গল্প না । বাস্তবে এসব আসলে কিছু হয় না ! </p><p><br /></p><p> ২. </p><p>কেবল হত যদি আমাদের ব্যবহৃত পছন্দের জিনিস পত্র গুলোও আমাদের কাছে তাদের অভাব অভিযোগ করতো ! আমাদের উপরে অভিমান করতো । তখন হয়তো দেখা যেত আমার ল্যাপটপ আমাকে প্রতি নিয়ত অভিযোগ করছে যে তাকে কেন আমি এতো অবহেলা করছি ! কেন আমার এন্ড্রোয়েড মোবাইলকে বেশি সময় দিচ্ছি । বাটন ফোনটা তো তাহলে কান্নাকাটি করে শেষ হয়ে যেত । পিসি অবশ্য খুব বেশি অভিযোগ করতো না । নিয়মিত তাকে ঠিকই সময় দিচ্ছি । দেখা শুনা করছি । কোন এক রাতে ঘুম ভেঙ্গে আমি হয়তো দেখতে পেতাম তারা নিজেদের ভেতরে কথা বলছে । আমার অবহেলা কষ্ট দেওয়া নিয়ে নিজেদের মাঝে দুঃখ বিলাশ করছে । এমন সব দুঃখ বিলাশের গল্প হচ্ছে পড়ুয়া প্যাচালি --- খন্ডটা । একটা লাইন আমার কাছে বেশ মজার লেগেছে । লেখিকা সেখানে লিখেছেন - বেশ একটু অভিমানের স্বরে ম্যাককে শান্তনা দিচ্ছে কমপ্যাক । </p><p>দেশে ফেরার পরে সব কিছু কেমন যেন এলোমেলো হয়ে গেছে লেখিকার । সব আস্তে ধীরে গুছিয়ে নিয়ে আসতে আসতে লেখালেখি থেকে নিজেকে দুরে রেখেই চলেছেন অথবা রাখতে হয়েছে । আশা করি এক সময়ে সব গুছিয়ে নিয়ে এসেছে আবারও নিয়মিত তার ম্যাক আর কমপ্যাকের মনের দুঃখ গুলো দুর করবেন । সনি ভাইও যেন রাত জেগে আর কান্নাকাটি না করে সেটার দিকেও খেয়াল দিবেন । </p><p><br /></p><p>৩. </p><p>লেখিকার যাপিত জীবনের গল্প গুলো পড়তে পড়তে আমার কেন জানি বারবার মনে হচ্ছিলো যে এযেন আমারই গল্প আমি পড়ছি । ছোট বেলা তো এভাবেই কেটেছে আমাদের । বাবার বদলির চাকরি, এক স্থান থেকে অন্যস্থানে ছুটে যাওয়া । নতুন বন্ধু নতুন পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়ানো । ঈদ কিংবা অন্য ছুটির দিনে নানা/দাদা বাড়ি বেড়াতে যাওয়া । কাজিনদের সাথে হুটিপুটি রাতে ভুতের গল্প, ঝড়ে এক সাথে আম কুড়ানো, বড়দের বাড়ি ফেরার তাগাদা । এসব তো আমার সাথেও ঘটেছে । আমিও তো একই ভাবে এই জীবন পার করে এসেছি অতীতে । হঠাৎ করেই তাই বইটাকে বড় আপন মনে হতে থাকে আমার । মনে হতে থাকে যেন এগল্প গুলো যেন আমার বড় পরিচিত । আমার চোখের সামনে ঘটে যাওয়া কোন ঘটনা ! </p><p><br /></p><p>৪. </p><p>আমাদের সবার জীবনেই বলার মত কিছু না কিছু গল্প থাকে । প্রতিদিনকার ছোট ছোট গল্প নিয়েই মূলত আমাদের একটা জীবন তৈরি হয় । কারো কারো জীবনের এই গল্প গুলো না বলাই থেকে যায় । কেউ আবার বলার জন্য কাউকে খুজে পায় না আবার কেউ কেউ হয়তো সে গল্প গুলো কিভাবে বলবে সেটা বুঝতে পারে না । বাসি বকুলের ঘ্রাণ বইতে লেখিকা তার সেই জীবনের গল্প আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন । উপরে সেই গল্প গুলোর কয়েকটা গল্পের ব্যাপারে কেবল বলা হয়েছে । যদি পুরো বইয়ের গল্প গুলো নিয়ে বলতে যাই তাহলে দেখা যাবে বইয়ের থেকে পোস্টের দৈর্ঘ লম্বা হয়ে যাবে । একটু আগেই বললাম যে সবার জীবনের কিছু গল্প থাকে কিন্তু সবাই সেই গল্প বলতে পারে না । আবার আমাদের মাঝে কেউ কেউ থাকে যারা নিজেদের জীবনের এই গল্প গুলো খুব চমৎকার ভাবে বলতে পারেন । কারো কারো মুখ অতি সাধারণ ঘটনাও বড় বেশি মধুর শোনায় । মানুষ তন্ময় হয়ে সেই গল্প শুনতে থাকে । বাসি বকুলের ঘ্রাণও সেই তেমনই তন্ময় হয়ে শোনার গল্প । একবার শুরু করলে তা শেষ না করে ওঠার উপায় নেই । বিশেষ করে যখন আপনি বই পড়তে পড়তে ভাববেন যেন আরে এতো দেখি আমার কিংবা আমার পরিচিত মানুষেরই গল্প ! </p><p><br /></p><p><br /></p><p>৫.</p><p>বইটি আজই সংগ্রহ করে পড়ে ফেলতে পারেন । লেখিকার লেখার হাত নিয়ে কোন কিছু বলার দরকার আছে বলে আমার মনে হয় না । সেটা সম্পর্কে সকল ব্লগারদের একটা পরিস্কার ধারণা থাকা স্বাভাবিক ! কোন এক বর্ষণ মুখ বিকেলে বই পড়া শুরু করবেন । অলস বিকেলে চা কিংবা কফির সাথে বিছানায় আধশোয়া হয়ে বই পড়তে গিয়ে আপনার এক অনাবিল আনন্দবোধ জাগভে । মনে হবে যে মানুষের জীবনে কত চমৎকার সব ঘটনা ঘটে । আপনি নিজেও উপলব্ধি করতে পারবেন যে আপনার জীবনটাও কিন্তু কম চমৎকার নয় । বিশেষ করে লেখিকার জীবনের সাথে যখন নিজের জীবনের একটা মিল খুজে পাবেন । আপনার শৈশব কৈশোর কিংবা যুবক বয়সের সাধারণ ঘটনা গুলো নিয়ে আপনি আবার ভাবতে বসবেন একটু । মুখে তখন আপনা আপনি চলে আসবে একটা সুখস্মৃতির হাসি ! </p><div><br /></div>অপু তানভীরhttp://www.blogger.com/profile/15173362423476261246noreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-8575508514021794233.post-25738395303890852142022-04-09T13:10:00.006-07:002023-07-24T08:02:41.452-07:00পাঠ-প্রতিক্রিয়াঃ বিফোর দ্য কফি গেটস কোল্ড<p> অতীতে যদি ফিরে যাওয়ার উপায় থাকতো তাহলে আপনি কী করতেন? </p><p>এই প্রশ্নের উত্তর চট করে দেওয়া সম্ভব না । আমাদের জীবনে এমন অনেক কিছু থাকে যা আমরা বদলে ফেলতে চাই । অতীতে ফিরে গেলে আমরা হয়তো সেই সব জিনিস গুলো আমরা বদলে ফেলতে চাই । শহরের একটা নার্সিং হোমের কাছে শান্ত ছোট একটা ক্যাফে । বসার জন্য খুব বেশি জায়গা নেই সেখানে । <span></span></p><a name='more'></a>ক্যাফের দেওয়ালে তিনটা ঘড়ি রাখা আছে । তিনটা ঘড়ি তিনটা সময় দেখায় । ক্যাফের ভেতরে কোন এয়ারকন্ডিশনার নেই তবুও ঠান্ডা আবহাওয়া বিরাজ করে সব সময় । তবে এই ক্যাফের একটা বিশেষত্ব হল এই ক্যাফেতে মানুষ অতীতে ফেরৎ যেতে পারে । এই কিংবদন্তী যখন শহরময় ছড়িয়ে পড়লো তখন মানুষজন লাইন ধরে আসতে লাগলো ক্যাফেতে । কিংবদন্তী কোন মিথ্যা না । সত্যিই ক্যাফেতে করে যাওয়া যায় অতীতে । কিন্তু সমস্যা হচ্ছে বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে অতীত ভ্রমন করার বেলায় । মানুষজন যখন সেই নিয়মের কথা জানতে পারলো তখন ক্রমেই আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে শুরু করলো অতীত ভ্রমনের ব্যাপারে । <p></p><p><br /></p><p>বিফোর দ্য কফি গেটস কোল্ড বইটা মূলত চারটা গল্পের সমারহ । চারটা গল্প আলাদা আলাদা হলেও গল্পের চরিত্র গুলো একে অন্যের সাথে সম্পর্কিত । গল্পের শুরু হয় এক যুগলকে দিয়ে । ছেলেটি চাকরি নিয়ে চলে যায় আমেরিকায় । মেয়েটি অনেক কয়বার বলতে চায় যে ছেলেটিকে যেন না যায় কিন্তু নিজের ঈগোর কারণে বলতে পারে না । ছেলেটি চলে যাওয়ার এক সপ্তাহ পরে আবারও ফিরে আসে ক্যাফেতে । ক্যাফে মালিককে অনুরোধ করে যেন তাকে এক সপ্তাহ আগে আবারই সেই সময়ে ফেরৎ পাঠানো হয় যাতে সে তার প্রেমিক আমেরিকা যেতে মানা করতে পারে । তখনই ক্যাফে মালিক জানায় যে এই ক্যাফেতে করে অতীতে যাওয়া যায় ঠিকই তবে অতীতে গিয়ে যাই করা যাক না কেন সেটা বর্তমানের কোন পরিবর্তন ঘটাবে না । অর্থ্যাৎ তার প্রেমিক যে আমেরিকা চলে গেছে সেটা কোন ভাবেই বদলানো যাবে না । তারপরেও মেয়েটি চেয়ে চায় অতীতে । ক্যাফে মালিক তখন তাকে জানায় আরও কয়েকটা নিয়ম । সব থেকে গুরুত্বপূর্ন নিয়মটা হচ্ছে অতীতে যাওয়ার আগে তার সামনে দেওয়া হবে এক কাপ গরম কফি । গরম কফি ঢালার সাথে সাথেই সে অতীতে গিয়ে হাজির হবে । এবং অবশ্যই তাকে সেই কফি কাপ ঠান্ডা হওয়ার আগেই কফিটা শেষ করতে হবে এবং বর্তমানে ফিরে আসতে হবে । যদি কোন কারণে কফি ঠান্ডা হয়ে যায় তাহলে সে সারা জীবনে আটকে যাবে ঠিক ঐ সাদা পোশাক পরা মহিলার মত ! সেই মহিলাটা অতীতে গিয়ে স্বামীর সাথে কথায় বলায় এতোই মুশগুল হয়ে গিয়েছিলো যে সময় পার হয়ে গিয়েছিলো । তারপর থেকেই সে এই ক্যাফেতে বসে আছে । মেয়েটি সব জেনে চলে যায় অতীতে । দেখা করে নিজের প্রেমিকের সাথে । কিছুই বদলায় না কিন্তু তারপরেও অনেক কিছু বদলে যায় ফুমিকোর জীবনে । মেয়েটির নাম ফুমিকো ! এই গল্পটার নাম যুগল । এরপরের গল্পটার এক দম্পত্তির । স্বামীটি একটা জটিল রোগে আক্রান্ত । সে আস্তে আস্তে সব কিছু ভুলে যাচ্ছে । এমন কি এক সময়ে সে তার স্ত্রীকেও চিনতে পারে না । সেই সময়ে স্ত্রীটি জানতে পারে যে ভুলে যাওয়ার আগে স্বামীটি তাকে কিছু দিতে চেয়েছিলো । একটা চিঠি । সেই চিঠিআনতেই সে পাড়ি জমায় অতীতে । যখন চিঠিটা সে হাতে পায় তখন সব আদলেই সব কিছু বদলে যায় । এরপর আসে দুইবোনের গল্প । বড়বোন পালিয়ে চলে আসে টোকিওতে তার পারিবারিক ব্যবসা করবে না বলে । কিন্তু ছোট বোন বারবার ফিরে আসে বড়বোনের কাছে । তার সাথে দেখা করতে তাকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে । বড়বোনের ধারণা হয় যে ছোটবোন তাকে কেবল ফিরিয়ে নিতে চাচ্ছে । সে এই জন্য ছোটবোন এলেই লুকিয়ে থাকতো । দেখা করতো না । কিন্তু সেই ছোটবোন একবার টোকিও থেকে ফিরে যাওয়ার পথে কার এক্সিডেন্ট করে মারা যায় । বড়বোন তখন অতীতে ফিরে গিয়ে আরেকবার তার সাথে কথা বলতে চায় । তখনই জানতে পারে যে ছোটবোনটি তাকে কতই না ভালবাসে ! শেষ গল্পটা মা মেয়ের । ক্যাফে মালিকের বউয়ের যখন বাচ্চা হবে তখন থেকেই সে জানতো যে সে বাঁচবে না । ছোট বেলা থেকেই তার হার্ট দুবল । এতো ধকল সে সহ্য করতে পারবে না । তারপরেও সে মা হতে চায় । এবং ঠিক করে যে তার সন্তানের সাথে দেখা করবে ভবিষ্যতে গিয়ে । কেই কি আসলেই ভবিষ্যতে গিয়ে তার সন্তানের সাথে দেখা করতে পারবে?</p><p><br /></p><p>বইটা শেষ করে আপনার মনে হবে না যে খুব আহামরি কোন বই পড়লাম । মনে হবে না যে এটা কোন আউট অব দ্য বক্স লেখা কিন্তু যখন আস্তে লেখা গুলোর কথা মনে হবে তখন মনের ভেতরে একটা চমৎকার অনুভূতি সৃষ্টি হবে । জাপানি লেখা গুলো এমনই চমৎকার । </p><p>বইয়ের নাম টা বিফোর দ্য কফি গেটস কোল্ড । লেখকের নাম তোশিকাযু কাওয়াগুচির । অনুবাদ করেছেন সালমান হক ।</p>অপু তানভীরhttp://www.blogger.com/profile/15173362423476261246noreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-8575508514021794233.post-51463565614118692172022-04-05T09:06:00.002-07:002023-07-24T08:03:08.092-07:00পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ বুড়ো নদীটির পায়ের কাছে<p> বইটির নাম একটু অদ্ভুত । বুড়ো নদীটির পায়ের কাছে । আসলে এমন নামটা কেন দিয়েছে সেটা আমি নিজেও বুঝতে পারি নি । বইটা কিনেছিলাম বইয়ের প্রথম অংশ পড়েই । গল্পের প্লটটা বেশ ইন্টারেস্টিং । গল্পে বুয়েটের একজন ছাত্র একটি দারুন বিষয় আবিষ্কার করে । মানুষ কিছু চিন্তা করবে সেটা কম্পিউটার স্ক্রিনে লেখা উঠে যাবে । এই ব্যাপারটা নিয়েই কথা বলতে সে যায় চট্রগ্রামের একজন প্রোফেসরের কাছে । প্রোফেসরের নাম ড. জামাল নজরুল ইসলাম । <span></span></p><a name='more'></a>ডক্টর অব দ্য ডক্টরস নামে তিনি পরিচিত । নাদিম নামের ছেলেটি সকাল বেলা হাজির হয় তার বাসায় । বৃদ্ধ প্রফেসর মন নিয়ে নাদিমের কথা শোনে এবং তাকে উৎসাহ দেয় । নাদিমের পেপারস নিয়ে জামাল নজরুল গিয়ে হাজির হয় তার বন্ধু স্টেফিন হকিংসের কাছে । তারাও নাদিমের পেপারস পরীক্ষা করে এবং তারাও মনে করে যে এটি করা সম্ভব। কিন্তু এতে প্রচুর অর্থের দরকার যেটা তাদের হাতে আপাতত নেই । <p></p><p>এরই মাঝে জামাল নজরুল ইসলাম মারা যান । নাদিম কিছুটা হতাশ হয়ে যায় । কিন্তু তাকে অবাক করে তার সাথে এক আমেরিকান কোম্পানির লোক যোগাযোগ করে । তাকে নিয়ে চলে যায় আমেরিকারে । ম্যাক্সিকোর কোল ঘেষা এক শহরে নির্জনে নাদিম গবেষণা করতে থাকে তার থট টু স্পিচ প্রোগ্রাম নিয়ে । তাকে বলা যায় গবেষণা শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত সে কারো সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ করতে পারবে না । পুরো বিশ্ব থেকে তাকে আলাদা করে ফেলা হয় । কেবল মাত্র বার্তা বাহকের মাধ্যমে যোগাযোগ হয় । কিন্তু অন্য দিকে রাইভাল কোম্পানীর লোকজনও নাদিমের খোজ করতে উঠে পড়ে লাগে । তাকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে কোথায় রাখা হয়েছে সব কিছু । শুরু হয় দুই কোম্পানীর ভেতরে একটা ঠান্ডা যুদ্ধ । </p><p>এবং এক সময়ে রাইভাল কোম্পানী ঠিক ঠিক নাদিমের খোজ পেয়েও যায় । তবে তারা নাদিকে তুলে নিয়ে আসার বদলে অপেক্ষা করতে থাকে । যখন নাদিম তার গবেষণা শেষ করবে এবং পেপার্স রেডি হবে । এক সময়ে নাদিমের কাজ শেষ হয়ে যায় । রাইভাল কোম্পানি তাকে তুলে নিয়ে আসার সকল পরিকল্পনা শেষ করে কিন্তু তার আগেই আরও একদল গিয়ে সেখানে হাজির হয় ! </p><p><br /></p><p>নাদিম কি শেষ পর্যন্ত তার মায়ের কাছে পৌছাতে পারবে ? </p><p><br /></p><p>থ্রিলার বই আমার পছন্দ যদি সেই গল্পে গতি থাকে । খুব বেশি জটিল করে লেখা হয় নি বইটা । এবং খুব সুক্ষ ভাবেও লেখা হয় নি । মানে হচ্ছে খুনি নাটি বিষয় গুলোর খুব বেশি বর্ণনা দেওয়া হয় নি । কাহিনী এগিয়ে গেছে খুব দ্রুত যা গল্পটাকে আরও সাবলিক করে তুলেছে । শান্ত বিকেলে সময় কাটানোর মত বই হচ্ছে এটা । পড়ার পরামর্শ রইলো ।</p><p> </p><p><br /></p><p>বইয়ের নাম বুড়ো নদীটির পায়ের কাছে । </p><p>লেখক বাদল সৈয়দ </p><p>বাতিঘর পাবলিকেশন থেকে প্রকাশিত ।</p>অপু তানভীরhttp://www.blogger.com/profile/15173362423476261246noreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-8575508514021794233.post-63550724001137201502022-04-04T14:31:00.004-07:002023-07-24T08:03:37.417-07:00পাঠপ্রতিক্রিয়াঃ নেক্সট<p>সাহিত্যিকদের একটা বড় গুণ হল তারা নিজেদের লেখার ভেতরে সমাজের অসঙ্গতি গুলো তুলে ধরবেন । বর্তমান সময়ে আমাদের পরিচিত যে কয়জন লেখক আছেন তার ভেতরে সব সাহসী কয়েজনের নাম যদি আমাকে বলতে বলা হয় তাহলে সেখানে মোহাম্মাদ নাজিম উদ্দিনের নাম নিতেই হবে । তার ফেসবুকে যদি আপনারা ফলো করে থাকেন তাহলে এটা অন্তত পরিস্কার বুঝতে পারবেন যে অন্য যে কোন লেখকদের মত ক্ষমতাসীনদের চাটুকারিতা তার ভেতরে একদম নেই । বরং সেখানে আছে প্রতিবাদ । তার নেক্সট বইটা পড়তে গিয়েও আমার বারবার কেবল এই কথা মনে হয়েছে । <span></span></p><a name='more'></a><p></p><p><br /></p><p>নেক্সট বইটা হচ্ছে বেগ বাস্টার্ড সিরিজের পঞ্চম বই । বেগ বাস্টার্ড সিরিজের শেষ বইটা পড়েছিলাম অনেকদিন আগে তাই বেশ কয়েকটা চরিত্রের কথা ভুলে গিয়েছিলাম ।সেগুলো আবার মনে করতে হয়েছে । অনেক দিন পর সিরিজের বই বের হলে যা হয় আর কি ! </p><p><br /></p><p>ঘটনার শুরু হয় একজন প্রাক্তন সংসাদের ছেলেকে তার বাড়ির গেটে মেরে ফেলা হয় । সেই ছেলে আবার একটু আমেরিকান বহুজাতিক কোম্পানিতে উপরের পোস্টে চাকরি করে । তাই তার মৃত্যুতে সরকার নড়েচড়ে বসে । ডাকা হয় হোমি সাইডের জেফরি বেগকে । কারণ এইখুনের সাথে জড়িত আছে ব্লাক রঞ্জু । দিল্লীতে তাকে যখন বাবলু আগুনে পুড়িয়ে মেরে ফেলছিলো তখন জেফরি বেগ সেটা লাইভে দেখেছিলো । তাই তার দৃঢ় বিশ্বাস ছিল যে রঞ্জু বেঁচে নেই । তারই নাম ভাঙ্গিয়ে কেউ এই কাজ গুলো করছে । খোজ খবর শুরু হয়। বেরিয়ে আছছে খুন হওয়ার সাংসদের ছেলের পেছনের ইতিহাত । সেটার থেকেই খোজ পাওয়া যায় রঞ্জুর হয়ে কাজ করা একজনের মানুষ । কিন্তু বাধ্য হয়ে তাকে ছেড়ে দিতে হয় ! </p><p>এদিকে বাবলুকে খুন করার জন্য রঞ্জুর লোকজন ছুতে বেড়াচ্ছে । সবাইকে বাবলুর ছবি দেওয়া দিয়ে তার খোজ করতে বলা হয়েছেে । একজন একজনের চোখে সে ঠিকই পড়ে যায় । তাকে খুন করতে হিট টিম পৌছায় । কিন্তু বাবলুকে কি মারতে পারে?</p><p>অন্য দিকে অমূল্যবাবুও ধরা পড়ে ব্লাক রঞ্জুদের হাতে । </p><p>বাবলু কি তাকে জীবিত ফেরৎ নিয়ে আসতে পারে শেষ পর্যন্ত?</p><p>ব্লাক রঞ্জু কি আসলেই মরে নি নাকি অন্য কেউ আছে এসবের পেছনে?</p><p><br /></p><p>নেক্সট বইটা পড়ার সময় সত্যিই মনে হয়েছে লেখক সত্যিই বেশ সাহসী । অন্তত বর্তমান সময়ের কোন লেখক এই কথা গুলো নিজের বইতে লিখতে পারবে না সহজে । থ্রিলার বই হলেই এখানে আমাদের দেশের ইতিহাতের কিছু অংশ ফুটে উঠেছে । এমন কিছু সত্য যা সবাই এখন দেখেও না দেখার ভান করে আছে ।</p><p>এই বইতে পেছনের কিছু অংশ ফুটে উঠেছে । রঞ্জু আসলে কিভাবে ব্লাক রঞ্জু হয়ে উঠলো সেই গল্পটা এই বইতে লেখক ভাল ভাবে লিখেছেন । সেই সাথে ব্লাক রঞ্জুর সাথে কি হয়েছে সেটাও পরিস্কার ভাবে জানানো হয়েছে । সব মিলিয়ে বলা যায় যে একেরে চমৎকার এক প্যাকেজ । বই পড়লে আশা করি হতাশ হবে না । </p><p style="text-align: center;"><span style="color: red;"><br /></span></p><p style="text-align: center;"><span style="color: red;"> নেক্সট </span></p><p style="text-align: center;"><span style="color: red;">লেখক মোহাম্মাদ নাজিমউদ্দিন ।</span></p><p style="text-align: center;"><span style="color: red;">বাতিঘর প্রকাশনি থেকে প্রকাশিত </span></p>অপু তানভীরhttp://www.blogger.com/profile/15173362423476261246noreply@blogger.com